Site icon উত্তরবঙ্গ Journal

অবৈজ্ঞানিক আরএসএস মূল চালিত শক্তি বিজেপির-বিস্ফোরক ওম প্রকাশের

শিলিগুড়ি। নিজের হাতে লেখা নির্বাচনী পুস্তিকা নিয়ে বাড়ি বাড়ি হাজির হবেন তৃনমূল সংগঠনের শিক্ষক শিক্ষিকারা। অবৈজ্ঞানিক সংবিধান বিরোধী বিজেপি আরএসএস সঙ্ঘ পরিবারকে রুখতে রাজনৈতিক শিক্ষার পুস্তিকা প্রকাশের নির্দেশ দিলেন তৃনমূল শিক্ষক সমিতিকে শিলিগুড়ি বিধানসভার প্রার্থী ওম প্রকাশ মিস্রা। নির্বাচনী ময়দানে তৃনমূল সমর্থিত শিক্ষক শিক্ষিকাদের বাড়ি বাড়ি নিজের হাতে লেখা সেই পুস্তিকা পৌঁছে দিতে হবে। সেখানে সাম্প্রদায়িক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংবিধান বিরোধী আরএসএস যেভাবে গেরুয়া শিবিরের চালিত শক্তি হিসেবে বাংলায় প্রবেশ করছে, বাংলার সংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে, বিজ্ঞান বিরোধী থিওরিকে সামনে রেখে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জাতিগত বিদ্বেষের বিষ বাষ্প ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মানুষের মাঝে তা পুস্তিকার মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে শহরের মানুষের কাছে।এই রাজনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে নির্বাচনী চূড়ান্ত সময়ের মধ্যে দলীয় সংগঠনের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে আম সাধারনের কাছে। রবিবার তৃনমূল শিক্ষক সমিতির সমাবেশে শিলিগুড়ি বিধানসভা প্রার্থী ওম প্রকাশ মিশ্র জানান বিজেপি দুমুখোভিনয়ে চলে। সিএএ- এনআররসিতে যে জাতপাতের ত্বত্ত্ব তারা আসমে রাখেন সেই তত্ত্ব বাংলায় রাখলে বুমেরাং হতে হবে তারা জানে। আবার আসামে ভোট বাঁচাতে তারা সিএএ বিরোধী কথা বলেন আর বাংলায় এসে তা লাগুর কথা জানান। তিনি বলেন এটা বুঝতে হবে বিজেপি চালিকা শক্তি আরএসএস, রাষ্ট্রসঙ্ঘ যারা বিজ্ঞান মানে না। বিজ্ঞান বিরোধী সমান্তরাল শিক্ষা ব্যবস্থার প্রেরক তারা। যে শিক্ষায় বিজেপি নেতাদের শিক্ষিত করা হয়েছে। আর এসএস সাফ জানায় তারা সংবিধান মানেনা তার কারণ সেখানে জাত ধর্ম বর্ন বিদ্বেষ নেই। বিজেপি বাংলায় নাগপুরের সংস্কৃতি আনয়ন করতে চাইছে। বাংলার সংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে তারা ভয়ানক সাম্প্রদায়িক শক্তির দ্বারা। ওম প্রকাশ বাবু বলেন তাই এর বিরুদ্ধে শিক্ষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে বোঝাতে হবে। তিনি সেকাজের জন্য সময়ও বেঁধে দেন, সংগঠনের শিক্ষকদের তিনি বলেন পাঁচ দিনের মধ্যে সেই বৈজ্ঞানিক যুক্তি সম্মত পুস্তিকা নিজের হাতে লিখে ড্রাফটিং সম্পন্ন করুন। প্রয়োজনে তা সংশোধন করা হবে। নিজের লেখা পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করে বাড়ি বাড়ি মানুষের কাছে যান। দরকারে এর যাবতীয় খরচ তিনি নিজে দেবেন তাও জানান। একইসঙ্গে শিলিগুড়িকে ফিউচার সিটি হিসেবে মডেল গড়তে চান তৃনমূল মনোনীত প্রার্থী। তিনি বলেন শিলিগুড়ি বানিজ্যিক শহর উত্তর পূর্ব ভারতের প্রবেশ দ্বার। তবে এই শহরকে আগামী পাঁচ বছরে শিল্প শিক্ষা প্রযুক্তি বানিজ্যিক উন্নতিসাধন করে উত্তর পূর্বের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করাতেই ফিউচার সিটি মিশন নিয়ে এগোচ্ছে তৃণমূল।

Exit mobile version