উত্তরবঙ্গ জুড়ে শিলিগুড়িতে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন সমর্থন তৃণমূলে। রাজবংশী কামতপুরিদের সাথে প্রতারনা করেছে কেন্দ্র। ভাজপার রাজ্যসভার সাংসদ পদ পেয়ে রাজবংশী মানুষের আবেগ নিয়ে প্রতারণা করেছেন অনন্ত মহারাজ- লোকসভার মুখে বিজেপি ও অনন্ত মহারাজকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে উন্নয়নে আস্থা রেখে তৃণমূলকে সমর্থন উত্তরের রাজবংশী, কামতপুরি জনগনের
শিলিগুড়ি। উত্তরবঙ্গ জুড়ে শিলিগুড়িতে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন সমর্থন তৃণমূলে। রাজবংশী কামতপুরিদের সাথে প্রতারনা করেছে কেন্দ্র। ভাজপার রাজ্যসভার সাংসদ পদ পেয়ে রাজবংশী মানুষের আবেগ নিয়ে প্রতারণা করেছেন অনন্ত মহারাজ- লোকসভার মুখে বিজেপি ও অনন্ত মহারাজকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে উন্নয়নে আস্থা রেখে তৃণমূলকে সমর্থন উত্তরের রাজবংশী, কামতপুরি জনগনের। সোমবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয় উত্তরবঙ্গের রাজবংশী মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন ভাজপা সরকার। তারা স্বশাসিত অঞ্চলের নামে কোচবিহারে রাজবংশী মানুষের মধ্যে ভোটমুখী জিগির তোলে। সে কারণে বিগত লোকসভায় ভাজপাকে সমর্থন দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে তা ভোট মুখী প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়ে রয়েছে। তারা কোনো কিছুই করেননি। এদিন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন পরিচিতি জনপ্ৰিয় মুখ নিপক বর্মন, পবিত্র বর্মন, লক্ষ্মীকান্ত বর্মনরা জানান- তৃনমূল রাজ্য বিভাজনের পক্ষে নয় পরিস্কার জানিয়েই রাজবংশী কামতাপুরীদের সার্বিক উন্নয়নে নজর আরোপ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী কামতপুরি ভাষার ২০০ স্কুলের স্বীকৃতি দেওয়া থেকে উন্নয়ন বোর্ড গড়ে তুলে ভাষা সংস্কৃতি রক্ষা ও আমাদের জাতির উন্নয়নে কাজ করেছে। তৃণমূল রাজবংশীদের উন্নয়নে কাজ করেছে। তাই রাজ্য সরকারের উন্নয়নের ওপর পূর্ন আস্থা রয়েছে। সেই আস্থা থেকেই রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলকে সম্প্রতি ১২ই এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীর সফরে আমরা আরো কিছু উন্নয়নমূলক দাবি জানাবো। তাদের দাবি এই উন্নয়নমূলক দাবি গুলির পূরণে আমরা আশাবাদী তৃণমূল কাজ করবে। ১২ ই এপ্রিলের বৈঠকের পরই সে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হবে বলেও জানান সাধারণ সম্পাদক পবিত্র বর্মন ও সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত বর্মন এবং মুখপাত্র নীপক বর্মন। মূলত দুটি ভাগে কোচবিহারে বিভক্ত এই জিসিপিএ। তার মধ্যে একটি মাথায় রয়েছে দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্নতাবাদে বিশ্বাসী গ্রেটার কোচবিহারের বীজ বপন করে আসা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ নগেন্দ্র রায় তথা অনন্ত মহারাজ।আর রাজ্যসভার সাংসদ পথ পেয়েই যে ইস্যুকে সামনে রেখে তার আন্দোলন এবং সমর্থক তাদের দাবি থেকে পিছু হঠেছেন তিনি। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন-এর আদি নেতা হিসেবে দাবি করা সভাপতি লক্ষীকান্ত বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক পবিত্র বর্মনের দাবি অনন্ত মহারাজের নেতৃত্বে চলা এই শিবির এখন তাকে প্রতারক দেগে মাথার উপর থেকে হাত সরিয়ে নিচ্ছে। কারণ বিজেপি অনন্ত মহারাজকে সাংসদ পথ দিয়ে তার মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন। পৃথক রাজ্য নিয়ে টু শব্দটি করছে না অনন্ত মহারাজ। সমর্থকদের তথা উত্তরবঙ্গের রাজবংশীদের ভাবাবেগ কে নিয়ে তিনি নিজ স্বার্থ চরিতার্থের খেলা খেলেছেন। তাই
তারা জানান গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে বড় অংশের ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে রাজবংশীদের। সেখানে সর্বত্র উত্তরবঙ্গের সব জেলায় এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন করবে এই শিবির। কারণ তারা বুঝে গিয়েছে বিজেপি শুধুমাত্র পৃথক রাজ্যের নামে বিচ্ছিন্নতাবাদকে উস্কানি দিয়ে ভোট যন্ত্র হিসেবে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জনজাতির মানুষকে ব্যবহার করছে। তারা জানেন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যে বড় অংশে রাজবংশী ভোট রয়েছে সেখানে তৃণমূলের সমর্থনে প্রচারে নামবেন তারা। তাদের খোলা চ্যালেঞ্জ বিজেপির এবারে ধস নামবে উত্তরবঙ্গের বুকে। কোচবিহারে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথের গড়েই তৃণমূল সমর্থন জোরালো ভাবে সঙ্গবদ্ধ হচ্ছে রাজবংশীরা। হরে উত্তরবঙ্গে সর্বত্র রাজবংশী পরিবারে দরজায় কড়া নাড়িয়ে তারা তৃনমূলের সমর্থনে ভোট প্রার্থনা করবেন। উত্তরবঙ্গ জুড়ে বিজেপিকে ভোটের চোট দিয়ে পদ্মকে উত্তরের মাটি থেকে উৎখাত করবে রাজবংশী সমুদয় বলেও দাবি জিসিপিএ-এর। অন্যদিকে তারা বলেন শুধুমাত্র রাজবংশী নয় অন্যান্য জন্ম জাতির মানুষকেও সচেতন করেও বিজেপির বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ করতে ময়দানে নামছেন তারা। তৃনমূলের কাছে উন্নয়নের দাবি পূরণের আশ্বাস না মিললে তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে নোটায় ভোট দিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে এগোবেন। তবে তারা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী তৃণমূল রাজবংশীদের সর্বাঙ্গীর উন্নয়নে এতদিন কাজ করে এসেছে, তাই তাদের আগামীর উন্নয়নমূলক দাবিগুলি পূরণের আশ্বাস মিলবে।