কেন্দ্রীয় প্রাক্তন মন্ত্ৰীকে ময়দানে নামিয়েও আদিবাসীদের আস্থা ফেরাতে ব্যর্থ ভাজপা।পাল্টা আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জমজমাট তৃণমূলের রবিবাসরীয় প্রচার

শিলিগুড়ি

কেন্দ্রীয় প্রাক্তন মন্ত্ৰীকে ময়দানে নামিয়েও আদিবাসীদের আস্থা ফেরাতে ব্যর্থ ভাজপা।পাল্টা আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জমজমাট তৃণমূলের রবিবাসরীয় প্রচার। বিগত পাঁচ বছরে দেখা মেলেনি সাংসদের।প্রাক্তণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পৌঁছতেই এলাকা জুড়ে জেগে উঠলো ভাজপার মডেল গ্রাম গড়তে দত্তক নেওয়া নকশাল নেতা কানু সান্যালের গ্রামে উন্নয়ন অবরুদ্ধ করে অন্ধকার যুগে ঠেলে দেওয়া হিতিঘিসার দগদগে ক্ষত।

শিলিগুড়ি। কেন্দ্রীয় প্রাক্তন মন্ত্ৰী অর্জুন মুন্ডাকে ময়দানে নামিয়েও আদিবাসীদের আস্থা ফেরাতে ব্যর্থ ভাজপা।পাল্টা আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জমজমাট তৃণমূলের রবিবাসরীয় প্রচার। বিগত পাঁচ বছরে দেখা মেলেনি সাংসদের।প্রাক্তণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পৌঁছতেই এলাকা জুড়ে জেগে উঠলো ভাজপার মডেল গ্রাম গড়তে দত্তক নেওয়া নকশাল নেতা কানু সান্যালের গ্রামে উন্নয়ন অবরুদ্ধ করে অন্ধকার যুগে ঠেলে দেওয়া হিতিঘিসার দগদগে ক্ষত। ভোটের মুখে ভাঁজপাড়া আদিবাসী রাজনীতি থেকে মুখ ফেরালো শিলিগুরি মহকুমা চা বলয়। ঘটা করে বিজেপির ধারাবাহিক ধাঁচেই ব্যাপক প্রচার পর্ব ঢাক ঢোল বাজিয়ে নকশাল বাড়ি আন্দলনের অন্যতম কানু স্যন্যালের বসত ভিটে সেবদুল্লাজোতে গ্রামে দাঁড়িয়েই তা মডেল গ্রাম গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখান।এরপর নকশালবাড়ি মানঝা নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে বহু জল। পাল্টা প্রায় এক দশকে গ্রাম বাসীদের তীব্র পানীয় জল কষ্টে হাইকোর্ট পর্যন্ত মামলা গিয়ে ঠেকেছে। ১৯৮৯সাল থেকে হাতিঘিষা গ্রাম পঞ্চায়েতের এই সেবদুল্লা জোত গ্রামে বসত ভিটেই বাস ছিল নকশাল নেতা কানু সান্যালের। ভাজপা সাংসদ গ্রাম দত্তক নিয়ে বিগত ১০বছর ধরে সমস্ত উন্নয়ন কাজ স্তব্দ করে দেয়। মূলত ২০১৪সালের ২১ নভেম্বর প্রাক্তন দার্জিলিং সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া নকশাল নেতা কানু স্যান্যালের হাতিঘিষার গ্রাম দত্তক নেয়। এরপর থেকেই রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে উন্নয়ন কাজে বাধা দিয়ে রীতিমতো উন্নয়ন কাজ অবরুদ্ধ করে দেয়। সম্প্রতি ওই গ্রামে পানীয় জল নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা ওঠে। সমস্যার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছতেই জলের সমস্যা দ্রুততার সঙ্গে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। আর টানা ১০বছর নকশালবাড়ি ফাঁসি দেওয়ার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় পা রাখলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। চা বাগান এলাকার শ্রমিক পরিবারকে টার্গেট করে প্রচারে নামতেই পক্ষান্তরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে চা শ্রমিক মহিলাদের শুনতে হল লক্ষী ভান্ডারের হাজার টাকা পেয়েছি। ভোট যাবে দিদির কাছেই। গুচ্ছের অভিযোগের সুরে মহিলারা বললেন বিজেপির বিধায়ক সাংসদের দেখা পাওয়া যায়না। সাংসদের মুখ দেখিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করে তাদের একযোগে মত দিদি আছেন আমাদের কথা ভাবেন। নতুন বছরের আগেই ১০০০টাকা ব্যাংক একাউন্টে ঢুকে গিয়েছে। যেখানে ভাসবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশ্বাসনে কার্যত মুখ ফিরিয়ে নেয় আদিবাসি চা শ্রমিকেরা সেখানে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানেই বিপুল জনসমর্থনে আদিবাসী যা শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে জমজমাট প্রচার চলে তৃণমূলের। বাগডোগরা চা বলয় এলাকায় চা শ্রমিক আদিবাসী পরিবারের পুরুষ মহিলা সকলকে নিয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ে তৃণমূল।