গ্রামীন এলাকার মানুষদের বই মুখী করে পাঠক সংখ্যা বাড়াতে এবারে মহকুমা এলাকায় সরকারী বইমেলার আয়োজন। কোভিডের পর জেলার তিনটি বন্ধ লাইব্রেরি দ্রুত খুলতে চলেছে। জারি বিজ্ঞপ্তি।

 

 

গ্রামীন এলাকার মানুষদের বই মুখী করে পাঠক সংখ্যা বাড়াতে এবারে মহকুমা এলাকায় সরকারী বইমেলার আয়োজন। কোভিডের পর জেলার তিনটি বন্ধ লাইব্রেরি দ্রুত খুলতে চলেছে। জারি বিজ্ঞপ্তি।শিলিগুড়ি।শীতের লুকোচুরির মাঝেই বই প্রেমীদের নিয়ে জমজমাট ডিসেম্বর। গ্রামীন এলাকার মানুষদের বই মুখী করে পাঠক সংখ্যা বাড়াতে এবারে মহকুমা এলাকায় সরকারী বইমেলার আয়োজন। আগামী ১০ই জানুয়ারি থেকে ১৬ই জানুয়ারী পর্যন্ত শিলিগুড়ি মাটিগাড়া ব্লকের শিবমন্দির আঠারোখাই ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে এই বইমেলা। সদ্য শিলিগুড়িতে সম্পন্ন হয়েছে উত্তরবঙ্গ বইমেলা যাতে ব্যাপক সারা মিলেছে বই প্রেমিদের। বুধবার মাটিগাড়ার বিডিও অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে স্থানীয় গ্রন্থাগার কৃত্যক কর্তৃক জানানো হয় শহর থেকে এবারে মহকুমা এলাকায় বইমেলাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এ ভাবনা বহুদিন ধরেই করে আসছিল শিলিগুড়ি মহকুমা বইমেলার উদ্যোক্তারা। শিব মন্দিরের আঠারোখাই ময়দানটি পরিসরে অনেকটাই বড় তাই এখানে বই মেলাটি অনুষ্ঠিত হবে। গ্রামীন এলাকা আম সাধারণকর বই মুখী করতে এবং গ্রামীন এলাকার পাঠকদের দরজায় পৌঁছে যেতেই এই উদ্যোগ। এবারে প্রায় ৬০-৬২টি স্টল থাকছে। শিলিগুড়ি সহায়ক জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক সৈকত গোস্বামী জানান বাংলার, ইংরেজি, হিন্দির পাশাপাশি নেপালি, রাজবংশী,ঊর্দু ভাষার বইয়ের পসরা নিয়ে হাজির থাকবেন প্রকাশকেরা। বিভিন্ন ভাষাভাষী ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে পৃথক স্টল থাকছে। মেলায় কলকাতার নয়টি প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশকেরা অংশ নেবেন। শিলিগুড়ি এবং মহকুমা এলাকায় স্থানীয় প্রকাশক সংস্থা থেকে বই বিক্রেতারা থাকবেন। বাংলাদেশের তরফে এখনো মেলায় অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা মেলেনি। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণ থেকে সরাসরি শিলিগুড়ি মহকুমা ও শহরের যে কোনো লাইব্রেরীতে সদস্য পদের জন্য নাম নথিভূক্তকরণ করতে পারবেন আগ্রহী পাঠকেরা। মেলার উদ্বোধন করবেন রাজ্যের গ্রন্থাগারিক মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
রাজ্য সরকার ছয়দিন ব্যাপী এই মেলা আয়োজনে সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। এছাড়াও সরকারি নির্দেশিকা মতে জেলা গ্রন্থাগারগুলিকে এই মেলা থেকে ন্যূনতম ৩৫ হাজার টাকা, টাউন লাইব্রেরিগুলিকে ১৩ হাজার টাকা এবং গ্রামীণ লাইব্রেরীগুলিকে দশ হাজার টাকার বই ক্রয় করতে হবে। নূন্যতম এই অর্থের অধিক টাকার বই ক্রয় করতে পারে গ্রন্থাগারগুলি। বিগত বছর ২২-২৪লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়। সহায়ক জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক সৈকত বাবু বলেন- রাজ্য সরকারের সহায়তায় এই মেলায় লাভ ক্ষতির হিসেব কষাকষির বিষয় নেই। মানুষকে বইমুখী করে সমাজের মধ্যে পুস্তক ও গ্রন্থাগারের গুরুত্ব ছড়িয়ে দেওয়াটাই উদ্দেশ্য। ই-বুক ও ইন্টারনেটের যুগেও বইয়ের মলাট ও পৃষ্ঠার স্পর্শ ছুঁয়ে দেখার একটা আলাদা অনুভুতি রয়েছে।

জীবন গঠনের ক্ষেত্রে বইয়ের ভূমিকা অনবদ্য। বর্তমান ইন্টারনেট প্রিয় প্রজন্ম-এর মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করাই লক্ষ্য। পাঠকদের আকৃষ্ট করতে ছয় দিন ব্যাপী শিলিগুড়ি মহকুমা বইমেলায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক আয়োজন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষামূলক সেমিনার এবং লেখক-সাহিত্যিকদের সমাবেশে খোলামেলা বিভিন্ন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সহায়ক জেলা গ্রন্থগার আধিকারিক জানান যুগের সঙ্গে পাল্লা দিতে বড় মাপের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিষয়টিও চিন্তাভাবনার মধ্যে রয়েছে। এদিকে কোভিডের পর বন্ধ হয়ে পড়া জেলার পাচঁটি গ্রন্থাগারের মধ্যে তিনটি লাইব্রেরিকে দ্রুত খোলার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

এরমধ্যে রয়েছে টিএ পাবলিক স্পোর্টস লাইব্রেরি, গুলমা কাছে একটি লাইব্রেরী ও শিলিগুড়ি শহরের বুকে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকে উদয়ন মেমোরিয়াল স্পোর্টস লাইব্রেরিটি দ্রুত পুনরায় খোলার নোটিস জারি করা হয়েছে। চলতি বইমেলায় এই তিনটি লাইব্রেরিতে বই ক্রয়ের জন্যও বরাদ্দ অনুমোদন করেছে রাজ্যের সরকার।তবে এখনও শহরের প্রধাননগর,রবীন্দ্রনগর গ্রন্থাগার সহ শহর লাগোয়া মাটিগাড়ার মায়াদেবী গ্রন্থাগারটি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।

 

Content Protection by DMCA.com

8 thoughts on “গ্রামীন এলাকার মানুষদের বই মুখী করতে মহকুমা বইমেলা, পুনরায় খুলছে জেলার তিনটি লাইব্রেরি

  1. Pingback: cialis 2.5mg usa
  2. Pingback: 100mg viagra cost

Comments are closed.