নেশা সামগ্রী মিশ্রিত ঠান্ডা পানীয় সেবন করিয়ে আধা সামরিক বাহিনীর কোয়ার্টারে নাবালিকার সঙ্গে গনধর্ষনের
অভিযোগ সিআরপিএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। নাবালিকার আপত্তিকর একাধিক ছবি তুলে সোস্যাল মাধ্যমে ফাঁস করে শ্রী ঘরে আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান।
শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার আধা সামরিক বাহিনীর সেনা ছাউনির অভ্যন্তরে জওয়ান কোয়ার্টারে বন্ধ দরজার ভেতরে চলে নাবালিকার সঙ্গে পাশবিক নির্যাতন অভিযোগ পরিবারের। মাটিগাড়ার বাসিন্দা নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার কাওয়াখালির সিআরপিএফ ক্যাম্পে ১৫৬ ব্যাটেলিয়নের সেনায় কার্যরত জওয়ানকে গ্রেপ্তার করে মাটিগাড়া থানার পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালে। অভিযুক্ত সিআরপিএফ জওয়ান সে সময় নেশাদ্রব্য মিশ্রিত ঠান্ডা পানীয় আমের জুস নাবালিকাকে সেবন করিয়ে অপর সঙ্গীকে ডেকে এনে গণধর্ষণ করে। অভিযোগ জুস পান করে নাবালিকা কিছুটা অচৈতন্য হতেই তাকে টেনে হিঁচড়ে জওয়ান গণেশ কাওয়াখালী আধা সামরিক বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভার ফোর্স -এর ক্যাম্পের ভেতর তার কোয়াটারে নিয়ে যায়। সেখানে তার আরও এক সঙ্গী খরজুকে ডেকে এনে গণধর্ষণ করা হয় নাবালিকাকে। নাবালিকার চৈতন্য ফিরতেই তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় অভিযুক্ত জওয়ান। ঘটনার বিষয়ে পরিবার পরিজন জানতে পারলে তৎক্ষণাৎ নাবালিকাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে ক্রমাগত হুমকি দিতে লাগে ওই জওয়ান।
২০২১সালেও একইভাবে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় ওই জওয়ান। এরপর সম্প্রতি ২২শে অক্টোবর নাবালিকার এক সুপরিচিতকে টার্গেট করে সোশ্যাল মাধ্যমে ফেসবুক মেসেঞ্জারে নাবালিকার আপত্তিকর একাধিক ছবি পাঠানো হয়। এরপরই ২৩ শে অক্টোবর নাবালিকার পরিবার অভিযোগ দায়ের করে। রবিবার রাতেই গ্রেপ্তার করে মাটিগাড়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত সিআরপিএফ জবান গণেশ মাহাতো। ধৃত কোচবিহারের বাসিন্দা। কাওয়াখালীর সিআরপিএফ ক্যাম্পে কর্তব্যরত সে। সোমবার অভিযুক্তকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হলে আদালত নয় দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
আইনজীবী সম্পদ রায় জানান ফ্রুটির সঙ্গে নেশা দ্রব্য নিষেবন করিয়ে নাবালিকার সঙ্গে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে সিআরপিএফ জবান এবং তার এক সঙ্গীর বিরুদ্ধে।
46 thoughts on “ঠান্ডা পানীয় সেবন করিয়ে নাবালিকার সঙ্গে গনধর্ষন সামাজিক মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি পোস্ট শ্রীঘরে সিআরপিএফ জওয়ান”
Comments are closed.