তিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় নট আউট গোপাল লামাকে নিয়ে শিলিগুড়িতে প্রচারে শহরের মহানাগরীক গৌতম দেবের।
শনিবার বিকেল থেকে ডোর টু ডোর প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েন শিলিগুড়ি মেয়র গৌতম দেব। বন্ধ সিঙ্কোনা বাগান থেকে চা মজদূরদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে দিল্লির বুকে সওয়াল তুলতে রূপরেখা প্রস্তুত তৃণমূল প্রার্থীগোপাল লামার। আবেগের ফানুস নয় দার্জিলিং এর সর্বাঙ্গীর উন্নয়নে নজর রেখে পাহাড়ে আরো রাস্তাঘাট স্কুলের প্রয়োজনে গুরুত্ব প্রার্থীর। রাজুর সঙ্গে লড়াই কঠিন নয়, এই নির্বাচনী যুদ্ধ গোর্খাল্যান্ড-এর ফানুস বনাম পাহাড়ের সর্বাঙ্গীন বিকাশ- উন্নয়নের আত্মবিশ্বাসি তৃণমূল প্রার্থী
শিলিগুড়ি। তিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় নট আউট গোপাল লামাকে নিয়ে শিলিগুড়িতে প্রচারে শহরের মহানাগরীক গৌতম দেবের।
শনিবার বিকেল থেকে ডোর টু ডোর প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েন শিলিগুড়ি মেয়র গৌতম দেব। তৃণমূল নেতৃত্ব পাপিয়া ঘোষ, রঞ্জন সরকারকে সঙ্গে নিয়ে মেয়র গৌতম দেব প্রার্থী প্রচারে নামেন। মূলত প্রচারের শুরু থেকেই এবারে তৃণমূল একেবারেই তৃণস্তরে অর্থাৎ পাড়ার অলিগলি থেকে বাজার জমায়েত এলাকায় ছোট ছোট বৈঠক, ডোর টু ডোর প্রচারে জোর দিয়েছে। মেয়র গৌতম দেব আম সাধারণ নাগরিকদের কাছে করজোড়ে প্রার্থী হয়ে ভোট প্রচারে নেমে আবেদন জানান। পদযাত্রার মাঝে থাকা ক্লাব, বিভিন্ন দোকানপাট ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে গিয়েও প্রার্থীর হয়ে প্রচার চালান মেয়র। একই সঙ্গে দিন কালিম্পং পাহাড়ে তামান ডেভলপমেন্ট বোর্ডের বড় অংশ যুবরা গোপাল লামার সমর্থনে মিছিল করে রাস্তায় নামে। যা ঘিরে একাংশের মাঝে অসন্তোষই রয়েছে উন্নয়ন বোর্ডের। ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে শিলিগুড়ি গ্রামীন এলাকার চার ব্লকে কয়েক দফায় মাঠ ঘাট অলিগলি চষে বেরিয়েছেন তিনি। একেবারে সাধারণ হয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন। টানা প্রায় ২০দিন ধরে সকালে এক কাপ চা খেয়ে প্রচারে নেমে পড়ছেন প্রার্থী। প্রচারের মাঝে যেখানে যেমন কর্মীদের বাড়িতে সাধারণ রান্না খাবার খেয়েই মধ্যাহ্নভোজন সেরে ফের ইন্ডোর মিটিংয়ে ছুটছেন। সকালে পায়ে হেঁটে ডোর টু ডোর প্রচার, এরপরই বিভিন্ন এলাকায় কর্মীসভা ও বিকেলে স্ট্রিট কর্ণার। শুধু প্রচার নয় মানুষের সমস্যা অসুবিধের খোঁজ খবর নিতেই অধিকাংশ সময় দেখা গিয়েছে তাঁকে। শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচারে পৌঁছতে তাকে ঘিরে মানুষের উন্মাদনাও নজরে এসেছে। প্রশাসকের ভূমিকায় পাহাড় সমতলে জনপ্রিয় তৃণমূল প্রার্থী জানান- যেখানেই যাচ্ছি মানুষের ব্যাপক সাড়া মিলছে। নাগরিকেরা নিজে এগিয়ে এসে জানাচ্ছেন আপনি দায়িত্বে থাকাকালীন আমার কাজ করে দিয়েছিলেন। কেউ করজোড়ে বলছেন আপনার দেওয়া সে শংসাপত্র এখনো আছে আর কোনো সমস্যা পড়তে হয়নি। প্রার্থী গোপাল লামা বলেন মানুষের এই অনুভূতি প্রচারে গিয়ে জানতে পেরে ভালো লাগছে। প্রশাসক হিসেবে কখন কাকে কিভাবে পরিষেবা দিয়েছি তা মনে রাখা সম্ভব হয়না। কিন্তু মানুষ উপভোক্তা তারা ভোলেনি মনে রেখেছেন। এটা একটা বিরাট পাওয়া। যা আমাকে আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে তার সঙ্গে রাজনীতির ময়দানে দক্ষ যোগ্য মানুষের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তাও অনুধাবন করিয়েছে। তৃনমূল প্রার্থী গোপাল লামার সাফ বক্তব্য- বিজেপি প্রার্থী রাজুর বিরুদ্ধে লড়াই মোটেও শক্ত নয়।কারন পাহাড়বাসীর সঙ্গে সাংসদ প্রতারণা করেছে। তাই এই নির্বাচনী যুদ্ধ গোর্খাল্যান্ড-এর ফানুস বনাম পাহাড়ের সর্বাঙ্গীন বিকাশ- উন্নয়নের। সাংসদ প্রার্থী পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও যখন পাহাড়ের সমস্যা নির্ধারণ করতে অক্ষম সে সময় গোপাল্লামার রূপরেখা ধরে নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখছে দার্জিলিং।পাহাড়ের ভূমিপুত্র হওয়ায় প্রার্থীর চোখে আগামী রূপরেখায় পাহাড়ের নতুন স্কুল স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা থেকে বন্ধ সিঙ্কোনা বাগান, পাহাড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়াএকাধিক চা বাগানের শ্রমিকদের অবস্থার পরিবর্তনের বিষয়গুলি রয়েছে। প্রার্থীর কথায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পাহাড়ি দুর্গম ক্ষেত্রে রাস্তাঘাট এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মতো বড় কাজ হয়েছে।
কথায় পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত এখনও বেশকিছু জায়গায় নতুন স্কুল চালু করা দরকার। প্রার্থী বলেন রাজ্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে চা বাগানের সমস্যা সিঙ্কোনা বাগানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে দিল্লির দরবারে আওয়াজ তুলতে হবে। পাহাড়ে চা বলয়ে কালো আঁধার ঘনিয়ে এসেছে। চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির আদায়ে দিল্লির মসনদে সওয়াল তুলতে হবে। প্রশাসক তৃণমূল প্রার্থীর এই হাতের তালুর মতো চেনা পাহাড়ের সমস্যা ও সমাধানের স্পষ্ট রূপরেখা নিয়ে বিজিপিএম ও তৃনমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষের মন্তব্য তৃনমূল প্রার্থী বিপুল ভোটে জয় ছিনিয়ে আনবে এবারে। রাজ্য সরকারের সহযোগিতা নিয়ে পাহাড়ের সমস্যা দূরীকরন করে নতুন ভোরের আলো এনে দেবে গোর্খা ভূমিপুত্র গোপাল লামা।