ধৃত কেএলও মিলিট্যান্ট এর হলুদ ডায়েরিতেই একাধিক রহস্যমোচন! ডায়েরী পড়েই রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় ফারার আসামি জীবন সিংহের গতিবিধির সঙ্কেত হাতে আসছে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের। ডায়েরিতে রয়েছে জীবন সিংহ ও ধৃত কেএলও মিলিট্যান্ট এর হলুদ ডায়েরিতেই একাধিক রহস্যমোচন! ডায়েরী পড়েই রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় ফারার আসামি জীবন সিংহের গতিবিধির সঙ্কেত হাতে আসছে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের। ডায়েরিতে রয়েছে জীবন সিংহ ও পাভেল কোচের নাম।
রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের ডিএসপি সুদীপ ভট্টাচার্য্য জানান যুবক সক্রিয় মিলিট্যান্ট। ফেব্রুয়ারি মাসে সে নাগাল্যান্ডের নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী আগ্নেয়াস্ত্র ও অত্যাধুনিক অস্ত্র, বোমার প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়ে রপ্ত করে নাশকতায় ব্যবহৃত অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এর ব্যবহার। সেখানেই সরাসরি ফারার আসামি কেএলও চিফ জীবনের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তার। জঙ্গি কার্যকলাপের হাতে খড়ির পরই কেএলও জঙ্গি প্রধান জীবন সিংহের নির্দেশে নেপালে যাচ্ছিল জঙ্গি সংগঠন বিস্তারে। ফারার আসামী জীবনের নির্দেশে ফের নেপালে জঙ্গি সংগঠনের সর্দার হয়ে উঠছিল বয়স ২৬এর এই যুবক। জানা গিয়েছে তার বাবা পূর্বে লিংকম্যান হিসেবে গ্রেপ্তার হয়। তাদের বাড়িতে কেএলও জঙ্গিদের গোপন আস্তানা ছিল। কলেজের দ্বিতীয় বর্ষ থেকে সরাসরি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে সে। নাগাল্যান্ডের নিরাপদ ডেরায় গিয়ে সেখান থেকে মায়ানমারে দেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএন খাপলাঙ গোষ্ঠীর ইয়ো ইয়ংয়ের নেতৃত্বে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নেয়। তার কাছ থেকে মেলা একটি হলুদ ডায়েরি থেকেই একাধিক তথ্য। ওই ডায়েরির ধরে তদন্তে জটিল সুতোর জট ছাড়াতে নামছে পুলিশ। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত জঙ্গি মিলিট্যান্ট এর ডায়েরিতে ১৫০টির বেশী যোগাযোগ এর নাম্বার রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে একাধিক সাংকেতিক শব্দ। যার মধ্যে জীবন সিংহ এবং পাভেল কোচের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর লেখা রয়েছে। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ মনে করছে ডায়েরি ধরে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় অভিযুক্ত জীবন সিংহের মায়ানমারের ডেরা ও গোপন জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরের নকশা হাতে আসবে পুলিশের। পরবর্তী গতিবিধিরও আন্দাজ মিলবে।যাতে প্রায় এক দশক ২০১৪এর পর নেপালে ঘাঁটি গড়ার মূল উদ্দেশ্যও সামনে আসবে। স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের ডিএসপি জানান একটি ডায়েরী পেয়েছি, শতাধিক নাম্বার রয়েছে তাতে। জঙ্গি সংগঠনের চিফ হুইপদের নাম্বার রয়েছে, কামতাপুর জঙ্গী সংগঠনের ক্ষেত্র উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এবং নেপালের একাধিক ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক তব্বার নেতাদের যোগাযোগের তালিকা রয়েছে। মূলত এদের টার্গেট করে চাপ সৃষ্টি করে মোটেও অংকের টাকা আদায় করে জঙ্গি ডেরায় অস্ত্র মজুদের উদ্দেশ্যে ছিল।