🔺🔺পূর্নাঙ্গ রূপে চালুর মুখে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি ব্লগ। বিবিধ প্রতিকূলতা পেড়িয়ে পরিকাঠামো গত দ্রুত কাজ শেষ করে পূর্ত দপ্তরের ও এজেন্সির সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠকের পর হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছ থেকে এইমসের ধাঁচে তৈরী এই হাসপাতালের হস্তান্তর নিতে চলেছে মেডিকেল। যুদ্ধকালিন তৎপরতার সার্জারির গুরুত্বপূর্ন বিভাগের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিতে জটিল সার্জারীর শুরু করতে চায় মেডিকেল কলেজ।
শিলিগুড়ি। পূর্নাঙ্গ রূপে চালুর মুখে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লগ। বিবিধ প্রতিকূলতা পেড়িয়ে পরিকাঠামো গত দ্রুত কাজ শেষ করে পূর্ত দপ্তরের ও এজেন্সির সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠকের পর হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছ থেকে এইমসের ধাঁচে তৈরী এই হাসপাতালের
হস্তান্তর নিয়ে যুদ্ধকালিন তৎপরতার সঙ্গে নিউরো, নেফ্রলজি এবং ইউরো, প্লাস্টিক সার্জারির গুরুত্বপূর্ন বিভাগের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিতে জটিল সার্জারীর শুরু করতে চায় মেডিকেল কলেজ। এইমসের ধাঁচে পূর্ণাঙ্গ রূপে প্রস্তুত উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি ব্লগ বৃহস্পতিবার তা হস্তান্তর নিতে চলেছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আধুনিক পরিকাঠামোর নিরীখে রাজ্যের প্রথম সারির যেকোনো বেসরকারি হাসপাতালকে টক্কর দেবে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো সম্পন্ন উত্তরবঙ্গ মেডিকেলের কলেজ ও হাসপাতালের সম্পূর্ণ পৃথক এই সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লগ। রাজ্য সরকারের বিশেষ উদ্যোগে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট এই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালটি প্রায় ১৫০কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয়ে বহুতল পরিকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ছয় তল হাসপাতাল ভবনের পৃথক পাচঁটি লিফ্ট, বর্জ্য নির্বাপক আধুনিক পরিকাঠামোগত ব্যবস্থার পাশাপাশি চিকিৎসা পরিসেবাকে মান আরও উন্নতর করতে এক্সরে, এমআরআই ইউনিট থাকছে। মূলত গুরুতর জটিল রোগ, জরুরী ভিত্তিতে অত্যন্ত সংবেদনশীল মস্তিক ও হৃদযন্ত্রের জটিল অস্ত্রপচারের সুপার স্পেশালিটির হাত ধরে নয়া অধ্যায় লিখতে চলেছে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ব্লগে প্রায় এক বছর যাবৎ বেশ কিছু আউটডোর পরিসেবা চলছে। নিউরো, ইউরো, নেফ্রোলজি, প্লাস্টিক সার্জারির আউট ডোর চিকিৎসা পরিসেবা নতুন ব্লগে রয়েছে। এবারে নিউরো, ইউরো, নেফ্রোলজি, প্লাস্টিক সার্জারির জটিল সুপার স্পেশালিটি অস্ত্রপচার গুলি চালু হবে। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক, অধ্যক্ষ ডাঃ ইন্দ্রজিৎ সাহা ডিন তথা সুপার স্পেশালিটি ব্লগ প্রজেক্টের নোডাল অফিসার ডাঃ সন্দ্বীপ সেনগুপ্ত,দুই ডেপুটি সুপারের উপস্থিতি প্রকল্পের কার্যকরী এজেন্সি এইচএসসিসি, পূর্ত দপ্তরের সিভিল এবং ইলেকট্রনিক্সের ইঞ্জিনিয়ার এবং অ্যাসিটেন্ট ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে জরুরী বৈঠক হয়। সে বৈঠকে এজেন্সি এবং উক্ত দপ্তরের তরফে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে জানানো হয় পরিকাঠামো কত এবং যন্ত্রপাতি ইনস্টলেশনের কাজ প্রায় ৮০-৯০শতাংশ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।
সুপার স্পেশালিটি ব্লগ পূর্ণাঙ্গ রূপে মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তরের জন্য উপযোগী অবস্থায় রয়েছে। এরপরই বৈঠকে বৃহস্পতিবার দপ্তরীয়ভাবে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মেডিকেল কর্তৃপক্ষের তরফে। সুপার স্পেশ্যালিটি প্রকল্পের নোডাল অফিসার তথা ডিন সন্দ্বীপ সেনগুপ্ত বলেন অধিকাংশটাই কার্যকরী সংস্থা হস্তান্তর করছে মেডিকেলকে। আমরা একটা চিঠি দেব তাদের। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ ও রুগীদের অস্ত্রপচার পরিষেবা গুলি আমরা ধাপে ধাপে চালু করবো। তিনি জানান আমাদের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে ধাপে ধাপে গুরুত্বপূর্ণ জটিল অস্ত্রপচার গুলি সুপার স্পেশালিটি ব্লগে স্থানান্তরিত করা হবে। তিনি বলেন আপাদত মেডিসিন বিভাগে সংস্কার কার্য চলছে। মেডিসিন বিভাগে সংস্কার কার্য চলাকালীন সার্জারি রুগীদের সেখানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যে কাজ সম্পন্ন হলে সুপার স্পেশালিটি সার্জারি ওয়ার্ড গুলি নিজ নিজ জায়গায় স্থানান্তর হবে। তবে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাট্যাকের মত জটিল সুপার স্পেশালিটি সার্জারির পরিষেবা এখনই শুরু করা যাচ্ছে না। এই বিষয়ে নোডাল অফিসার জানান হৃদরোগের জটিল অস্ত্রপচারের ক্ষেত্রে ক্যাথল্যাবের একটি সমস্যা রয়েছে। ক্যাথেল্যাব এলে তা চালু হবে। এই প্রক্রিয়া কিছুটা সময় লাগবে তার জন্য অপেক্ষা করে বসে না থেকে আপাদত অন্যান্য অস্ত্রপচার শুরু করা হচ্ছে।
অধিকাংশ চিকিৎসার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি বসে গিয়েছে। তিনি বলেন ডিজিটাল এক্সরে, আধুনিক এমআরআই যন্ত্র বসেছে সুপার স্পেশালিটি ব্লগে।এই সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লগ চালু হলে গুরুতর জটিল দ্রুত অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এমন রুগীকে নিয়ে আর কলকাতা ছুটতে হবে না উত্তরবঙ্গের নাগরিকদের। নিঃশুল্কে সাধারণ মানুষ অত্যাধুনিক সুপার স্পেশালিটি সার্জারি সুযোগ সুবিধা পাবে। যদিও চিকিৎসা পরিসেবার সংক্রান্ত এই কাজ অত্যন্ত জরুরী ভিত্তিতে সম্পন্ন করার কথা হলেও কেন্দ্রীয় নির্মাণ সংস্থার দীর্ঘ টালবাহানায় রীতিমতো নাজেহাল হতে হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে। এইমসের ধাঁচে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে অত্যাধুনিক সুপার স্পেশালিটি ব্লক তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সেমত কেন্দ্রীয় সরকারে কাছে রাজ্যের প্রাপ্য অর্থে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরীর কাজ শুরু হয়।