🔴 বাসস্থানে দিল্লির উল্লেখ্য করে বহিরাগত তকমাকে শীলমোহর দিলেন মনোনয়নে বিজেপির সাংসদ প্রার্থী রাজু বিস্ট। বিজেপির দার্জিলিং সাংসদ প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। দুই ফৌজদারি মামলায় আদালতে বিচারাধীন সাংসদ প্রার্থী রাজু বিস্ট।
শিলিগুড়ি। বাসস্থানে দিল্লির উল্লেখ্য করে বহিরাগত তকমাকে শীলমোহর দিলেন মনোনয়নে বিজেপির সাংসদ প্রার্থী রাজু বিস্ট। বিজেপির দার্জিলিং সাংসদ প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। দুই ফৌজদারি মামলায় আদালতে বিচারাধীন সাংসদ প্রার্থী রাজু বিস্ট। একে প্রতারনা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি তার ওপর বহিরাগত প্রার্থী পাঁচ বছরে বিরোধী শিবির তো দূর খোদ পাহাড়বাসি জনতার এই ক্ষোভ প্রশমনে ব্যর্থ হয়েছে ভাজপার সাংসদ রাজু বিস্ট। বিগত পাঁচ বছর ধরে সাংসদ প্রার্থীর পরিযায়ী ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধি তৃনমূল।মুখ্য বিরোধী রাজনৈতিক শিবির ছাড়াও পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলি ও দার্জিলিঙ পাহাড় সমতলের আমজনতা দার্জিলিং সাংসদের গাঁয়ে স্থায়ীভাবে সেঁটে দিয়েছেন বহিরাগত তকমা। বিভিন্ন সময়তে সাংসদে নিখোঁজের পোস্টারে সরগরম হয়ে উঠেছে দার্জিলিং পাহাড়ি ক্ষেত্র।
সমতলেও পাঁচ বছরে শহরের বড় অংশে দেখা মেলেনি সাংসদের তা নিয়ে সরব হয়েছে প্রায়শই জনগন। যা ঘিরে পাহাড়ে নির্বাচনের আগে থেকে বহিরাগত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভূমিপুত্র প্রার্থীর দাবি সোচ্চার হয়ে ওঠে। তার প্রেক্ষিতে যদিও রাজু ঘনিষ্ঠ বিজেপির একাংশ বহু সময়তে দাবি করেছে তিনি শিলিগুড়ি মাটিগাড়ায় তার বাসস্থান এখন। সে ঠিকানা নাকি সাংসদের বর্তমানে এই পাঁচ বছরে স্থায়ী ঠিকানা হয়েছে। সেখানকার ভোটার কার্ডও রয়েছে মনিপুরের নাগরিক দিল্লি নিবাসী সাংসদের কাছে। প্রাক্তন সাংসদ রাজু বিস্তকে বহিরাগত তকমা সেঁটে দিয়ে নিজ দলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে পাহাড়ে পদ্মকে প্রতিকূল অবস্থার মুখে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি বিধায়ক বিপি বজগই। রাজুর বহিরাগত প্রার্থীর তকমার সঙ্গে কার্যত নীরব লড়াই চালান বিজেপি মোদি শাহ ঘনিষ্ঠ শ্রীঙলা।আর সরাসরি বহিরাগত প্রার্থীর তকমাকে এবারে বিজেপির সাংসদ প্রার্থী রাজু বিস্ট মনোনয়ন দাখিলে খোদ শীলমোহর দিয়েছেন। স্থায়ী বাসস্থান হিসেবে তিনি পরিষ্কার মনোনয়নপত্রে উল্লেখ্য করেছেন দিল্লির ঠিকানা। ১৮/৭৫ পাঞ্জাবি বাগ ওয়েস্ট, দিল্লীতে স্থায়ী বাসস্থান তাঁর। যা পক্ষান্তরে বিরোধী এবং সংসদীয় ক্ষেত্রে জনগণের বহিরাগত তক্মাকেই সীলমোহর দিয়েছেন সাংসদ প্রার্থী। স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী বসবাসের ঠিকানা হিসেবে দার্জিলিং জেলার উল্লেখ করেননি তিনি। সম্পত্তি হিসেবে মাটিগাড়া উত্তরায়ন টাউনশিপের আবাসনের কথা জানিয়েছেন। তা যোগাযোগের ঠিকানা হিসেবে নয় স্থাবর সম্পত্তির হিসেব-নিকেশের ঘরেই উল্লেখ্য করেছে সেই সম্পত্তির।সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে প্রাক্তন দার্জিলিং সাংসদের নাম প্রার্থী
পদে ঘোষণার পর থেকেই জনগণ এয়ারপোর্ট সাংসদ বলে দেগে দিয়েছেন রাজু বিস্টকে। সামাজিক মাধ্যমে নেটিজনেরা দাবি করেছেন একমাত্র বাগডোগরা বিমানবন্দরেই যাতায়াতের প্রচার মাধ্যমের ঝলকানিতে তার কিছু ছবি দেখা দিয়েছে বিগত বছর গুলিতে। শিলিগুড়ির শহর এবং দার্জিলিং পাহাড়ে কোথাও সাধারণ মানুষের সমস্যা, অসুবিধায় দেখা মেলেনি সাংসদের। বিশেষ করে করোনা কালে দিল্লিতে গৃহবন্দী হয়ে ছিলেন তিনি।
যখন তার লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ ভয়ংকর সমস্যার মুখে দাঁড়িয়ে ছিল তখন দিল্লিতে সামাজিক মাধ্যমে শুধু থালা বাজিয়ে দ্বীপ প্রজ্জ্বলনের বিজেপির করোনা ভ্যানিশের আজব থিওড়ি ধরে সামাজিক মাধ্যমে দিল্লিতে তার ছবিই দেখছে সাধারণ জনতা। তাই পোস্টার ম্যান সাংসদের ভুমিকায় বারবার বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে পাহাড়। যার জেরে লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে থেকেই ভূমিপুত্র প্রার্থীর দাবিতে বিজেপির শরিক দলগুলি সরব হয়। সাংসদ লাপাতা হওয়ায় শরিক দলগুলিকে চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। বিজেপি সাংসদে জল জীবন মিশন নিয়ে আর্থিক দূর্নীতি থেকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, প্রতারণায় শরীক দলগুলিকে চাপের মুখে পড়তে হয়েছে বিগত দিনে। সে কারণেই একাধিক আঞ্চলিক দল এবারে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছে। তৃণমূল বরাবরের মতোই দাবি দার্জিলিং সাংসদ বসন্তের কোকিল। তৃনমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ জানান পরিযায়ী পর্যটকের ভূমিকাতেই তার দেখা গেলে। দার্জিলিংয়ে প্রচুর মানুষ পর্যটক আসেন তেমনি সাংসদ বিগত পাঁচ বছরে পরিযায়ী ভূমিকা নিয়ে অবতরণ হন। অন্যদিকে বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অরুণ মন্ডল পূর্বে দাবি করেন- সাংসদের খাপরাইলে স্থায়ী ঠিকানা রয়েছে। পাঁচ বছরে সেখানে স্থায়ী ঠিকানা সাংসদের। যা খোদ নস্যাৎ করেছে পদ্মের বহিরাগত সাংসদ প্রার্থী। অন্যদিকে সংসদের নামে রয়েছে সরকারি সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতির পিডিপিপি এক্টে রয়েছে মামলা। আদালতে দুটি ফৌজদারি মামলায় বিচারাধীন সাংসদ প্রার্থী।তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালে কলকাতায় এন্টালি পুলিশ স্টেশনে একটি মামলা রয়েছে। ২০২২সালে একটি সিভিল লাইন মামলা। এবং শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে ২০২০সালে নিউজলপাইগুড়ির থানায় পিডিপিপি এক্টে মামলা জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে ওঠে। যদিও জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে ওই মামলার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।