ভাজপা সাংসদ পাহাড়ে অনৈতিক ব্যবসা করতে এসেছে। জল জীবন মিশন থেকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের কাজের নামে সাংসদ নেতা নিজের শেয়ারের কোম্পানিকে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছে বিস্ফোরক অভিযোগ ভাজপা বিদ্রোহী বিধায়ক বিষ্ণু প্রসাদ শর্মা ওরফে বজগইয়ের। রাজনীতির নামে রাজু বৃষ্টির হাত ধরে পাহাড়ে একটা বড় আর্থিক দুর্নীতির চক্র চলছে বলেও দাবি। তথ্য প্রমান রয়েছে তুলে ধরব লোকসভার মুখের বিজেপির সাংসদ প্রার্থীর উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ভাজপা বিদ্রোহী বিধায়কের
শিলিগুড়ি। ভাজপা সাংসদ পাহাড়ে অনৈতিক ব্যবসা করতে এসেছে। জল জীবন মিশন থেকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের কাজের নামে সাংসদ নেতা নিজের শেয়ারের কোম্পানিকে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছে বিস্ফোরক অভিযোগ ভাজপা বিদ্রোহী বিধায়ক বিষ্ণু প্রসাদ শর্মা ওরফে বজগইয়ের। রাজনীতির নামে রাজু বৃষ্টির হাত ধরে পাহাড়ে একটা বড় আর্থিক দুর্নীতির চক্র চলছে বলেও দাবি। বিজেপি সরকারকে একহাত করেন পাহাড়ের বিদ্রোহী বিধায়ক বজগই।তার স্পষ্ট খোলামেলা মন্তব্য ২০০৯ থেকে টানা দ্বিচারিতা করে চলেছে গোর্খাদের সঙ্গে। কেন্দ্র সরকারের উচ্চ পদস্থরা নিজে গোর্খাল্যান্ডের কথা বলেছিলেন আমাকে। আর সাংসদ এবং বিজেপি সরকার রাজ্যের সর্বত্র এক সুরে কথা বলছে পাহাড়ে উঠতেই ভিন্ন সুরে কথা বলছে তারা। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে-
সাংসদ তহবিলের অর্থ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে খরচ করতে না পারার ব্যর্থতার বিরুদ্ধে জনতার কাঠগড়ায় দাঁড় করান সাংসদকে বজগই। শুধু মিথ্যাচার নয় সরকারি প্রকল্পের নামে আর্থিক দূর্নীতির বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোকসভার মুখে তুলে ধরার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। মূলত বিজেপি সরকারের গোর্খাল্যান্ড ইসু কে কেন্দ্র করে বিতাড়িতা এবং গোর্খাদের সঙ্গে সাংসদ রাজু বিস্টের প্রতারণাকে সামনে রেখেই নিচ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী ময়দানে লড়াইয়ে নেমেছেন পদ্ম বিধায়ক বজগই। তিনি বলেন পাহাড়ে জলজীবন মিশনের ইমপ্লিমেন্ট এবং প্ল্যানিং কমিটির সদস্য সাংসদ রাজু বিস্ট। ন্যাওড়া ভ্যালি এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। পাহাড়ের সাংসদ ও সাংসদ ঘনিষ্ট নেতারা সরকারি সব প্রকল্পের নামে নিজেদের ব্যবসায়িক বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে। জাতীয় সড়ক ১০প্রকল্পেও ভোটের মুখে দুর্নীতি করছে সাংসদ। তার বিস্ফোরক অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের সরকারি প্রকল্পগুলিতে পাহাড়ে নেতার কোম্পানি কাজ করছে। সাংসদের নিজ শেয়ারের সেল কোম্পানিকে গুলিকে সরকারি প্রকল্পে। অনৈতিকভাবে সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাংসদের এই ব্যক্তিগত ব্যবসায়ী বৃদ্ধির সক্রিয় দুর্নীতি চক্রের সমস্ত তথ্য প্রমান রয়েছে বলেও হুঁশিয়ারি বজগইয়ের। পাহাড়ি প্রচারে গিয়ে সেই বিষয়গুলিকে জনতার সামনে রাখবে বজগই। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সাংসদের একটি অডিও ক্লিপ রয়েছে বজগইয়ের হেফাজতে। যা লোকসভা নির্বাচনের মুখে সাংসদের বিরুদ্ধে মোক্ষম ধ্বংসের অস্ত্র হয়ে উঠবে। অন্যদিকে তিনি বলেন দলের বাইরে গিয়ে কেন লড়বো। দলের নির্দিষ্ট সংবিধান রয়েছে তা অনুযায়ী নির্দল প্রার্থী হলে ইস্তফা দেওয়ার কোন বিষয় নেই। সে অনুযায়ী দলে থেকেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। শরিক দলগুলিকে অর্থের বিনিময়ে বিজেপি নিজের ঝোলায় পুড়েছে। বিদ্রোহী বিধায়ক কটাক্ষ ছুড়ে বলেন যে দলগুলি একসময় গোর্খাল্যান্ডের গোর্খাদের দাবির বিষয় নিয়ে রাজনীতির কথা বলতো তারা এখন সব বিজেপির ওই ঝোলার প্রলোভনে ঝোলায় ঢুকে বসে রয়েছে। শরীক দলের নেতারা শুধু বিজেপির সঙ্গে রয়েছে তাদের সমর্থকরা সঙ্গে নেই। ভাজপার কাছে একটা বড় ঝোলা রয়েছে রাজনৈতিক মহল বলে ইলেক্টোরাল বন্ড দিয়ে এই ঝোলা তৈরী হয়েছে বিজেপির। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বিজেপি নেতৃত্ব কৈলাস বিজয়বর্গীয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে আমাকে বুঝিয়েছে রাজনৈতিক স্থায়ী সমাধানের নামে যে ভাজপা রাখছে তা আসলে বিচ্ছিন্ন রাজ্য গোর্খাল্যান্ড। কিন্তু তা আসলে ভাজপার ভেলকি হয়ে জনতার সামনে রয়েছে এখন। পাহাড়বাসি গোর্খারা এই প্রতারণার বিরুদ্ধে এবারে জবাব দেবে বলেও দাবি বিদ্রোহী পদ্ম বিধায়কের। আলুওয়ালিয়ার সময়তে হাতিঘিষাকে গ্রামকে দত্তক নেওয়া হয়। রাজু সেখানেও কোনো উন্নয়ন করেনি বলেও সাফ জানান তিনি। তিনি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন বিধানসভায় আমি পৃথক রাজ্য থেকে জনজাতির স্বীকৃতির দাবি তুললে বিজেপির বিধায়কেরা আমাকে সমর্থন করেন না উপরমহলের অঙ্গুলি হেলনে। এবারে দিল্লীতে গিয়ে কেন্দ্রের কাছে জবাব চাইবো সরাসরি বলেও দাবি রাখেন তিনি। অন্যদিকে রাজবংশী ভাষার স্বীকৃতি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে সওয়াল তুলবেন বলে জানান তিনি। পাশাপাশি রাজবংশী বিষয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার পর থেকেই অনন্ত মহারাজ তার আন্দোলনের ইস্যু থেকে সরে গিয়েছেন।তারা আত্মতুষ্টির রাজনীতিতে নেমে জনতার দাবি বুঝতে চায় না। এদিন ভাজপার সনাতনী গো রক্ষক বাহিনী যুব সভাপতি তরুণ তলাপাত্র তার সমর্থকদের নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনে বজগইকে সমর্থন জানান।