🔴 ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত ফাঁসীদেওয়া ব্লকের কাঁটাতারে সীমানায় পাচারকারী বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে বিএসএফের গুলিতে নিহত দুই ব্যক্তি। অফিসে কর্মরত বিএসএফ কর্মীদের পেট্রলিংয়ে নামিয়ে সীমা প্রহরায় প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হচ্ছে বিএসএফকে।ভারতের ফেন্সিঙ লাগোয়া বাংলাদেশ সীমান্তে আততায়ীকে নিশানা করে গুলি ছোড়ে বিএসএফের। অনভ্যস্ত কর্মীদের সীমান্ত নজরদারিতে লাগানো বাড়ছে সংঘাতের ঘটনা
শিলিগুড়ি। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত ফাঁসীদেওয়া ব্লকের কাঁটাতারে সীমানায় পাচারকারী বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে বিএসএফের গুলিতে নিহত দুই ব্যক্তি। অফিসে কর্মরত বিএসএফ কর্মীদের পেট্রলিংয়ে নামিয়ে সীমা প্রহরায় প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হচ্ছে বিএসএফকে।ভারতের ফেন্সিঙ লাগোয়া বাংলাদেশ সীমান্তে আততায়ীকে নিশানা করে গুলি ছোড়ে বিএসএফের। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত কাঁটাতার সংলগ্ন ৫০০মিটারের মধ্যে এলাকা বাসীদের নজরে আসে রক্তাক্ত গুলি বিদ্ধ দেহ। নিহত তরতাজা দুই যুবকের দেহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ফাঁসীদেওয়া মানগঞ্জ এলাকায়। বিএসএফ উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের তথ্য অনুযায়ী ফাঁসীদেওয়ার ভারত বাংলা সীমান্ত ফকিরপাড়া বিওপি থেকে ৫০মিটারের দূরত্বে দেহ পড়েছিল। রাতের গুলির ঘটনার পর ৪৭/৫আর পিলারের কাছ থেকে গুলিবিদ্ধ দেহ মেলে। বিএসএফের দাবি মঙ্গলবার রাতে সাত আটজনের একটি দল বাংলাদেশের দিক থেকে ভারত সীমান্তে কাঁটাতার কেঁটে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। গরু পাচারের উদ্দেশ্যে এই দল ভারত বাংলা সীমান্ত ত্রি স্তরিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আঘাত করে। প্রথমে বাংলাদেশের দিকে কাঁটাতারের ফেন্সিঙয়ের অংশ কেটে ফেলে। এরপর মাঝের কাঁটাতারের ফেনশনের অংশ কাটতে সফল হয় তারা। সেসময়তে ওই সীমান্ত দস্যু দল এ প্রান্তে থাকা পেট্রোলিঙ টিমের নজরে আসে। বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার ডিআইজি অমিত ত্যাগী জানান প্রথমে তাদের রুখতে পেট্রোলিঙ টিম স্ট্যান্ট বোমা ও লাইট গ্রেনেড, চিলি বোমা ছুঁড়ে তাদের প্রতিহত করার জন্য বিস্ফোরকের আওয়াজ ও ধোঁয়া সৃষ্টি করে। আইবিবিএফ সীমান্ত ও আইবিবিএফ রোডের ঠিক মাঝামাঝি এই ঘটনা। তবে তাতেও প্রতিহত করা যায়নি। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে এরপরই সীমান্ত নজরদারিতে কর্তব্যরত থাকা পেট্রোলিঙ টিম ১৬৭ব্যাটেলিয়ন শিলিগুড়ি ইউনিট রাইফেল উচিয়ে ধরে। বিএসএফের দাবি সেসময় সীমান্ত থেকে ধারালো অস্ত্র জাতীয় কিছু তাদের নিশানা করে ছোড়া হয়। যা বিএসএফের রাইফেলে এসে লাগে। এরপরই এক রাউন্ড করে মোট দুই রাউন্ড গুলি চালানো হয়। যাতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে গ্যাংয়ের বাকি পাঁচ ছয়জন পালিয়ে যায়। ২৯শে এপ্রিলও ফকিরপাড়া বিওপি থেকে ৭৫ মিটারের মধ্যে কাঁটাতারের কেঁটে বেআইনি গতিবিধি নজরে পড়ে বলে দাবি বিএসএফের।
এরপরই মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনা বলে জানান নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার ডিআইজি অমিত ত্যাগী। এদিকে বুধবার সকালে স্থানীয়দের নজরে পড়তে ফাঁসি দেওয়ার থানার পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এলাকায় পৌছায়। দার্জিলিং জেলা পুলিশের তরফে টানানো হয়েছে বিএসএফের তরফে ওই দুটি অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদেহ আমাদের হস্তান্তর করা হয়। মৃত দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতারা বাংলাদেশের নাগরিক কিনা তার কোন প্রমাণপত্র মেলেনি। বিএসএফ বাংলাদেশী নাগরিক অনুপ্রবেশকারী বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। বিএসএফ-এর উত্তরবঙ্গের ঊর্ধ্বতনকর্তা জানান- মূলত এ ধরনের অনুপ্রবেশকারীদের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় পরিবারকে দেহের দাবি করে সামনে আসতে দেখা যায় না। এখনও বিজিবি দেহ বাংলাদেশের নাগরিকের সে বিষয়ে কোনো বয়ান পেশ করেনি। পরবর্তীতে বিজিবি দেহ দাবি করলে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এদিকে বাংলাদেশ নাগরিকের যথাযোগ্য প্রমাণ নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে? এলাকায় চাঞ্চল্য রয়েছে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে। বিএসএফ সূত্রের খবর নির্বাচনের কারনে প্রায় ৭৫র কাছাকাছি কোম্পানি নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টেটিয়ার থেকে মোতায়ন করা রয়েছে।তিনদফায় নির্বাচন বেশ কিছু জায়গায় সম্পন্ন হলেও জওয়ানদের ফেরানো হয়নি। নির্বাচনের আগে থেকেই অতিরিক্ত কোম্পানি বিভিন্ন এলাকায় মোতায়ন করায় সীমান্ত নজরদারির ক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বিএসএফকে। যার ফলে নজরদারিতে পর্যাপ্ত টিম চাইলেও মোতায়েন করা সম্ভব হচ্ছে না। নিয়মিত পেট্রোলিঙ-এর কাজে বাধ্য হয়ে বর্তমানে নিযুক্ত করতে হচ্ছে দীর্ঘ বছরের পর বছর অফিসে কর্মরত বিএসএফ কর্মীদের। ফলে স্বাভাবিকভাবে হেডকোয়াটার অফিস থেকে তাদের স্থানান্তরিত করায় অনভ্যস্ত হওয়ায় রাষ্ট্রীয় সীমান্ত নিরাপত্তা নজরদারি সমস্যার মুখে পড়ছে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে কম্পিউটারাইজ অফিসের কাজে যারা কার্য রত ছিলেন যে আধা সামরিক বাহিনীর কর্মীরা তাদের বর্ডারে পেট্রোলিঙ-এ পাঠাতে হচ্ছে।