ভোটের সময়তে নাগরিক পরিসেবা অব্যাহত রাখতে পানীয় জল ও বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক মেয়র গৌতম দেবের।
মেগা জল প্রকল্পের সার্ভেতে যাদবপুরের কারিগরি বিশেষজ্ঞ।
শিলিগুড়ি। ভোটের সময়তে নাগরিক পরিসেবা অব্যাহত রাখতে পানীয় জল ও বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক মেয়র গৌতম দেবের। মেগা জল প্রকল্পের সার্ভেতে যাদবপুরের কারিগরি বিশেষজ্ঞ। একদিকে প্রচার অন্যদিকে নাগরিক পরিসেবা দুই দিকেই তপ্ত গরমে ছুটে বেড়াচ্ছেন মেয়র গৌতম দেব। শহরে গ্রীষ্মের দাবদাহে পানীয় জলের পরিষেবা বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ব্যাহত হওয়ার খবর মিলেছে। টক টু মেয়র সে সংক্রান্ত অভিযোগ আসতে সোমবার পিএইচই ও পুরো নিগমের পানীয় জল বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে মেয়র। বৈঠকের পর তিনি বলেন মেগা জল প্রকল্পের ৫১৮ কোটি টাকা প্রকল্প হাতে নিয়েছে পুরসভা। এর ৬৭ শতাংশ অর্থ রাজ্য সরকার এবং পাঁচ শতাংশ পুরসভা দিচ্ছে। প্ৰথম পর্যায়ে টেন্ডার হয়েছে। গাজোল ডোবার তিস্তা থেকে ফুলবাড়ী জল প্রকল্প পর্যন্ত পাইপলাইন বসানোর কাজও শুরুর মুখে। কিন্তু তিস্তা থেকে এই জল আনয়নের ক্ষেত্রে নকশায় কিছুটা সমস্যার ছেড়ে বিভ্রাটের মুখে পড়ছে মেগা জল প্রকল্প। এদিন মেয়র গৌতম দেব বলেন পাইপ লাইনের প্রযুক্তিগত কিছু পরিবর্তন করতে হবে। যাদবপুরের বিশিষ্ট কারিগরি অধ্যাপক আসছেন। তিনি সার্ভে করে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবেন। এরপরই শুরু হবে কাজ। ১৫দিন ধরে কাজটা করা হবে। শেষও হয়ে যাবে। কিছু প্রযুক্তি গত কারণে বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলের কিছু সমস্যা হচ্ছে। লিকেজের জন্য এ ধরণের ঘটনা ঘটছে। তিনি বামেদের তুলে ধনা করে বলেন আগের বোর্ড এসব নজর দেয়নি।এতদিন ধরে সকলে ঘুমোচ্ছিলেন। আমাদের চাহিদার তুলনায় ৪০ শতাংশ জলের ঘাটতি রয়েছে। একটা নতুন পামপিং স্টেশন কয়েক দিনের মধ্যেই চালু হবে। এবং তেত্রিশ নম্বর ওয়ার্ডে আরও একটি পাম্পিং স্টেশন টেন্ডার করতে হবে তবে নির্বাচনী বিধিনিষেদের কারণে এ সময় তা করা সম্ভব নয়। চৌঠা জুনের পর এই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাবে বলে জানান মেয়র গৌতম দেব। এছাড়া বিভিন্নভাবে কোথাও পাইপ কেটে এবং কোথাও গ্যারেজের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই জল চুরি আটকাতে সক্রিয়ভাবে বড় অফিসারদের নজরদারি নির্দেশ দেন মেয়র।