ভোট প্রচারে মালদায় কিশোরীকে চুম্বন বিজেপি প্রার্থীর। ভোটে চুম্বন অস্ত্র তৃণমূলের। শোরগোল উত্তর মালদায়।
মালদা। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে এক যুবতিকে আদরের চুমু খাচ্ছেন উত্তর মালদার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী। আর এমনই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই মালদার রাজনীতিতে তুমুল শোড়গোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে এমন ছবি অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের (এ আই টি সি) পক্ষ থেকে তাদের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে। যদিও প্রকাশিত ছবির সত্যতা যাচাই করে নি সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল হতেই তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
এদিকে উত্তর মালদার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুর সাফ বক্তব্য , ও আমার আত্মীয়। আমার কাছে ওই মেয়েটি শিশুর মতোন। আর শিশুকে চুম্বন করা কোনো অন্যায় কাজ নয় । এটা সম্পূর্ণ তৃণমূলের চক্রান্ত । এই ধরনের অপসংস্কৃতি ওদেরই আছে।
তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি বাবলা সরকার বলেন , আমরা দেখেছি সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে কাউকে চুম্বন করছে, আবার কোনো মহিলার পিঠে হাত দিয়ে চলছেন। আসলে এই ধরনের কালচার ওদের মানায়।
তৃণমূলের এআইটিসির ফেসবুক পেজে উত্তর মালদার বিজেপি প্রার্থীর এমন ছবি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি চাঁচলের শ্রীহিপুর গ্রামের এই ছবি । মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেই ছবি নিয়ে হইচই পড়েছে জেলা জুড়েই। একই সঙ্গে জেলায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। এরকম আরো বেশ কিছু ছবি তৃণমূলের সোশ্যাল সাইডে দিয়ে বিজেপি প্রার্থীর এবং সেই দলের বিরুদ্ধে নানান রাজনৈতিক বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে।
তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি বাবলা সরকার বলেন, একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে । সেখানে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে উত্তর মালদার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা সাংসদ এক যুবতীকে চুমু খাচ্ছেন। বাংলার সংস্কৃতিতে এটি একটি নিন্দনীয় ঘটনা। ভোট ভিক্ষা করার সময় এই ধরনের ঘটনা ঘটালে ভোটে জিতলে তার মানসিকতার কি ধরনের হবে? সেটা জনগণ বিচার করবে। এই ধরনের ছবি বিজেপি দল এটি কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছে।
এদিকে পুরো বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিকৃত মানসিকতার অভিযোগ তুলেছেন উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। তিনি বলেন, এই ধরনের ছবি বিকৃত করে দল এবং ব্যক্তি বিশেষ হিসাবে বদনাম করা হচ্ছে। এই ঘটনা নিয়ে মালদা সার্ভার ক্রাইম থানায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হবে।
অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই যুবতী জানিয়েছেন, যে সময় এই ছবিটি কেউ তুলেছিল তখন পাশে তাঁর বাবা ও মা উপস্থিত ছিলেন। খগেনবাবু আমাদের আত্মীয়। তিনি আমাকে ছোট থেকেই দেখছেন, মেয়ের মতো ভালোবাসেন। যারা এই ধরনের ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করছে তারা নোংরা মানসিকতার।