🔴 শিলিগুড়িতে ভোটের বাজারে রাম নিয়ে মোদীর টানাটানির ছবি ঘিরে সত্যবচন আওয়াজ তুলে জনতার কলরব! কার্টুন ঘিরে ভোটের বাজারে জনভিত্তিহীনতার বাস্তব চিত্র নজরে আসতেই বেকায়দায় পরিস্থিতি চিল চিৎকার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের।
শিলিগুড়ি। শিলিগুড়িতে ভোটের বাজারে রাম নিয়ে মোদীর টানাটানির ছবি ঘিরে সত্যবচন আওয়াজ তুলে জনতার কলরব! কার্টুন ঘিরে ভোটের বাজারে জনভিত্তিহীনতার বাস্তব চিত্র নজরে আসতেই বেকায়দায় পরিস্থিতি চিল চিৎকার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। সনাতন ধার্মিকতার মুখোশ খুলে সরাসরি শিলিগুড়িতে রাজনীতির ময়দানে নামলো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। শিলিগুড়ি পুরো নিগমের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের তরকে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক একটি পোস্টারকে কেন্দ্র করে অশান্তির জট পাকানোর চেষ্টা করেন এলাকায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। মূলত সামাজিক মাধ্যমে বিজেপির রাম কে টেনে রাজনীতিতে নামানোর বিরুদ্ধে একাধিক কার্টুন ছড়িয়ে রয়েছে। রামচন্দ্রকে ঈশ্বরের আসনে রেখেই সে কার্টুনের মাধ্যমে বর্তমান বিজেপির রাম নিয়ে ন্যাক্কারজনক রাজনীতির বাস্তব ছবিকে ফুটিয়ে তোলা হয়। যার সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমে সমর্থনের ঝড় নামে। নেটাগরিকরা ভাগ করে রামকে টেনে হিঁচড়ে রাজনীতিতে নামিয়ে বারংবার মোদি সরকারের ভোট মুখী প্রচার বন্ধে সরব হয়। পুরনিগমের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডেও সেই কার্টুন এঁকে সামাজিক মাধ্যমে বহু চর্চিত ছবির পোস্টার লাগানো হয়। সেখানে রামচন্দ্রকে টেনে রাজনীতিতে জোরপূর্বক নামিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি সেই ছবি তুলে ধরা হয়। অন্যদিকে সমহিমায় থাকা রামচন্দ্র ব্যাকুল চিত্তে অনুরোধ ছাড় আমাকে ছাড়। নিজের ক্ষমতায় একটা নির্বাচন জিতে দেখা।
সে পোস্টার ঘিরে ভোটের বাজারে একদিকে যখন শিলিগুড়ির নাগরিকদের হাস্যকৌতুক তৈরি হয়।
অন্যদিকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে সত্যিই সেলুকাস! প্রতিকী হলেও বর্তমানে ধর্মের নামে বিজেপির হিংসাত্বক করুন রাজনীতিতে এটাই সত্যি বলে দাবি করেন বিবেচক নাগরিক মহল। তবে ভোটের নির্বাচনের সময় থেকে নিজেদের ব্যাকফুট অবস্থা কাটাতে অযৌক্তিক কারণ দর্শীয়ে মরিয়া রাজনীতিতে নেমে পড়েছে। এদিন ভাসবা চাপের মুখে পড়ায় তাদের অঙ্গুলি হেলনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এই পোস্টার কে কেন্দ্র করে অযৌক্তিকভাবে অশান্তি সৃষ্টি চেষ্টা করে এলাকায়। রীতিমত এলাকায় যান চলাচল স্তব্ধ করে দিয়ে রাস্তায় বসে অবরোধে নামেন তারা। যাতে নাগরিকদের হেনস্থার মুখে পড়তে হয়। ভিএইচপির দাবি এই পোস্টার নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ দায়ের করবেন তারা। রাজনীতির আক্রমণ হতে পারে কিন্তু এখানে ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা সময় ধার্য করে এই পোস্টটা খুলে ফেলার হুঁশিয়ারি ও দিয়েছেন তারা নইলে অশান্তির ছক নিয়ে রাস্তায় অবরোধে নামার কথা শোনা যায় তাদের মুখে।একইসঙ্গে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারকেও স্মারকলিপি দেওয়া হবে। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের সাফ মন্তব্য রামচন্দ্র আমাদের কাছে শ্রদ্ধার সসম্মানের। তিনি সত্য পুরুষোত্তমের প্রতীক। কিন্তু তাকে পুজোর আসন থেকে নাম টেনে হিচড়ে বিজেপি রাজনীতিতে নামিয়েছে। রামকে নিয়ে রাজনীতি তো বিজেপি করে। বিজেপির মিছিলে তাহলে কেন শ্রী রামের স্লোগানকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা হয়। রাম সকলের কিন্তু বিজেপি যেন তার ওপর হিংসাত্বক পেটেন্ট জারি করেছে। আমাদের পরিষ্কার দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উন্নয়ন বনাম মোদি সরকারের উন্নয়নের নিরিখে ভোট হোক।এ বিষয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন আমার এই বিষয়ে কিছু জানা নেই। দলীয় নেতৃত্বরা রয়েছেন তারা দেখবেন বিষয়টি। অন্যদিকে এদিন মরিয়া বিজেপি শিলিগুড়ি পুরনিগমের টক টু মেয়র পুরসভার নিয়মিত নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত কর্মসূচি কে কেন্দ্র করে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তোলে। বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ এই কর্মসূচিতে নির্বাচনে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানায়। যদিও এর জবাবে পুরনিগমের মেয়র গৌতম দিয়ে পরিষ্কার জানিয়ে দেন- এটি পুরসভার নাগরিক পরিষেবার মত ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটা ৭৫সপ্তাহ হলো। নির্বাচনী বিধি-নিষদের মধ্যে বলা রয়েছে নতুন কোনো প্রকল্প সূচনা করা বা ঘোষণা করা যাবে না। এই কর্মসূচিতে আমি কি বলেছি সবটাই রেকর্ড রয়েছে। এই কর্মসূচি সম্পর্কে জেলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে জানিয়ে করা হয়েছে।
এটা নির্বাচন কমিশনের দেখার বিষয়, বিধায়কের এত মাথা ঘামানোর কি রয়েছে বলেও কটাক্ষ ছুড়ে দেন তিনি।