সিপিএম কংগ্রেসকে পাশে নিয়েই অকপটে গোর্খাল্যান্ড-এর বিচ্ছিন্নতাবাদ ইস্যু। আঞ্চলিক দল থেকে প্রার্থী টেনে সাংবাদ মাধ্যমের সম্মুখে অস্বস্তিতে সিপিএম কংগ্রেস। বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বদের সম্মুখে আঞ্চলিক দলের গোর্খাল্যান্ডের দাবির মুখে বেকায়দায় বাম কং-এর জোট।
ষ্পষ্ট ভাজপার সুরে দার্জিলিং-এর পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের আবেগের সুড়সুড়ি দিয়ে ভ্রষ্টহীন রাজনীতিতে নেমে হায়েস্ট পার্ট অফ রিজিওন্যাল অটোনমি-র অর্থাৎ স্বশাসিত অঞ্চলের ভেলকি! রাজনৈতিক উদ্দেশ্যহীন ঝান্ডার অস্তিত্ব বাঁচাতেই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ অস্তাচলে যাওয়া বাম কংগ্রেস জোটের।
শিলিগুড়ি। সিপিএম কংগ্রেসকে পাশে নিয়েই অকপটে গোর্খাল্যান্ড-এর বিচ্ছিন্নতাবাদ ইস্যু। আঞ্চলিক দল থেকে প্রার্থী টেনে সাংবাদ মাধ্যমের সম্মুখে অস্বস্তিতে সিপিএম কংগ্রেস। ষ্পষ্ট ভাজপার সুরে দার্জিলিং-এর পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের আবেগের সুড়সুড়ি দিয়ে ভ্রষ্টহীন রাজনীতিতে নেমে হায়েস্ট পার্ট অফ রিজিওন্যাল অটোনমি-র অর্থাৎ স্বশাসিত অঞ্চলের ভেলকি! রাম-বাম ঘর বেধেছে অনেক আগেই। রাজ্য রাজনীতিতে তা নতুন নয়। বিগত লোকসভায় বাম ও কংগ্রেসের ভোট বিজেপিতে স্থানান্তরের হুইপ জারি করেছিলেন খোদ শিলিগুড়ির বাম ও কংগ্রেস শিবিরের নেতৃত্বরা এবারে এ রাজ্যে কংগ্রেস বামপন্থির বাইপাস থিওড়ি ধরে গোর্খাল্যান্ড উস্কানির আঁচে আগুন ধরিয়ে হায়েস্ট পার্ট অফ রিজিওন্যাল অটোনমির হ্যাজ তুলে ভাঁজাপার দেশজুড়ে স্বায়ত্তশাসিত ভূখণ্ডের অভিসন্ধিকেই এগিয়ে দেওয়ার ছক কষেছে। দার্জিলিঙ-এর রাজনৈতিক স্থায়ি সমাধানের নামে বিজেপির গোর্খাদের ভোট হরনের রাজনীতির ভেলকি দিয়ে এসেছে এতদিন।পাঁচ বছরে ভাজবার রাজনৈতিক স্থায়ী সমাধানের অর্থ কি? বা আদত পরিকল্পনা কিছুই পেশ করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীও সম্প্রতি একই সুরে কথা বলায় পাহাড় বাসিও বিজেপিকে প্রতারক বলে দেগে দিয়েছে। এবারে ভোটের মুখে সে শব্দবন্ধ বদলে দিয়ে রিজন অ্যাসপিরেশনের কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য টেনে ভাজপার সাংসদ প্রার্থী। মূলত পাহাড়ে গোর্খাদের পৃথক রাজ্যের গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে উসকে দিয়ে শুধুমাত্র আবেগের সুড়সুড়ি রাজনীতি করে চলেছে বিজেপি। আর এই পথে এবারে ভাজপার ফানুসে বাড়তি অক্সিজেন যোগান দিতেই অবলুপ্তির পথগামী রাজ্যে বাম কংগ্রেস জোটঘোট দার্জিলিঙ ইস্যুকে রাজনৈতিক পরিকল্পনাহীন ভেলকি সামনে আনছে। দীর্ঘ রাজ্যে বাম ও কেন্দ্রে কংগ্রেস জামানা থেকেই দার্জিলিং পাহাড় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে কেন্দ্র করে। জনজাতির স্বীকৃতি নিয়েও তৎকালীন বাম ও কংগ্রেস সরকার ভোট লুণ্ঠনের রাজনীতি করে চলে। আঞ্চলিক দল হামরো পার্টির প্রার্থী টেনে ভোটে ময়দানে ঝান্ডার শেষ অস্তিত্বটুকু রক্ষায় নেমেছে অস্তাচলের পথগামী কংগ্রেস ও বাম জোট। শনিবার শিলিগুড়ি হিককার্ট রোডের বামেদের জেলা কার্য্যালয় অনিল বিশ্বাস ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে হামরো পার্টির মুনিষ তামাং-কে নিয়ে অজয় এডওয়ার্ড-এর হামরো পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে গোর্খা ল্যান্ড ইস্যুতে বেকায়দায় পড়তে হয় বাম কংগ্রেস জোট নেতৃত্বদের। এদিন বৈঠকে একদিকে বামের জেলার বরিষ্ঠ নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী সদস্য জিবেশ সরকার,ও আমন্ত্রিত সদস্য অশোক ভট্টাচার্য ও দার্জিলিং জেলা সিপিএমের আহ্বায়ক সমন পাঠক অন্যদিকে রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার। আর তাদের উপস্থিতিতে কংগ্রেস প্রার্থী মুনিষ তামাঙ ও হামরো পার্টির প্রতিষ্ঠাতা অজয় এডওয়ার্ড গোর্খাল্যান্ড ফাইনাল মিশন বলে দাবি করে। সে উদ্দেশ্যই পদ্ম ঘর ছেড়ে হামরোর ইন্ডিয়া জোটে শামিল হয়ে ভোটের লড়াই। ১১ জনজাতির স্বীকৃতি এবং গোর্খাল্যান্ডের দাবির ঘোষণা করে তারা। আর এতে ভোটের মুখে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিতর্কিত পৃথক রাজ্যের দাবীকে কেন্দ্র করে বেকায়দা পরিস্থিতির মুখে পড়ে বাম ও কংগ্রেস। আঞ্চলিক দল যখন নিজেদের মিশন ঘোষণা করেছে তখন সে বিষয়ে জোট সঙ্গী বাম ও কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় দুই পক্ষেরই কোন সদার্থক জবাব ছিল না। তাহলে তো পরিষ্কারভাবে বিজেপির ছোট রাজ্যের অভিসন্ধিকেই স্বীকৃতি দিচ্ছে বাম ও কংগ্রেস জোট। পদ্ম শিবিরকে প্রকাশ্যে মদত দিয়েই নির্বাচনী লড়াইয়ের নামে অন্ধকার রাজনীতির খেলায় মেতেছে বাম কংগ্রেস শিবির উঠছে সে প্রশ্নও। এ বিষয়ে প্রশ্ন বানের মুখে কার্যত বুমেরাং বাম ও কংগ্রেস জোটের নেতৃত্বরা।বাম বরিষ্ঠ নেতা রাজ্য সিপিএমের সম্পাদক মন্ডলির সদস্য জিবেশ সরকার কোন সদার্থক উত্তর দিতে পারেননি। পরিস্থিতি সামলে তার দাবি আমরা সংবিধানের মধ্যে থেকে দার্জিলিং পাহাড়ি ক্ষেত্রে জন্য হায়েস্ট পার্ট অফ রিজিওনাল অটোনমির অর্থাৎ স্বশাসিত ভূখণ্ডের কথা বলে পৃথক রাজ্যের উস্কানিকে সুড়সুড়ি দিচ্ছেন তারা। কংগ্রেসের শংকর মালাকারের বেকায়দায় পড়ে কার্যত বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে মন্তব্য পাহাড়ের ১১ জনজাতির স্বীকৃতির দাবি নিয়ে লড়ছি।সংবিধানের মধ্যে থেকে গোর্খাদের সর্বোচ্চ অধিকার সংরক্ষণ করার দাবি। তাহলে দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি কংগ্রেস সরকার থাকাকালীন কেন করা যায়নি। জনজাতির স্বীকৃতি দিতে পারিনি কংগ্রেস সরকার সে প্রশ্নের কোনো সন্তোষজনক উত্তর ছিল না জেলা কংগ্রেস সভাপতি শংকর বাবুর কাছে।
দার্জিলিং জেলায় কংগ্রেস হামরো পার্টি থেকে সদ্য কংগ্রেসে যোগদান করিয়ে মনীষ তামাংকে প্রার্থী করেছে।পেশায় দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনীষ তামাং দীর্ঘদিন বড় অংশ নিয়ে গোর্খাদের পৃথক রাজ্যের দাবি তুলে এসেছেন। অথচ আবার কংগ্রেস নিজের ইস্তেহারে পৃথক রাজ্য বা গোর্খাল্যান্ডের বিষয়ে কোনো উল্লেখ করেনি। জনজাতির স্বীকৃতির বিষয়টিও স্পষ্ট নেই। ফলে পরিষ্কার বর্তমান পরিস্থিতিতে বাম কংগ্রেস রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যহীন হয়ে পড়েছে। শুধুই অস্তিত্বহীনতার মুখে দাঁড়িয়ে ঝান্ডা বাচাতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বাম কংগ্রেস জোটের বলেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা।