🔻🔻উত্তরবঙ্গবাসীর জন্য একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উপহার ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ—দুইই মিলল মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফুলবাড়ির সড়কটি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চ।
শিলিগুড়ি। উত্তরবঙ্গবাসীর জন্য একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উপহার ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ—দুইই মিলল মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফুলবাড়ির সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চে। শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে আয়োজিত সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তিন জেলার প্রায় ২ লক্ষ পরিবারকে বিভিন্ন জনকল্যাণ প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেন।
একই মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যারা দাঙ্গা করে, তারা দাঙ্গা নিয়েই জন্মায়। আমি দাঙ্গা চাই না, আমি শান্তি চাই, শক্তি চাই, সংকট থেকে মুক্তি চাই। বাংলায় সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকে। বাংলা আজ দেশকে পথ দেখাচ্ছে।”
উন্নয়ন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ১২ লক্ষ পরিবারকে মাথাপিছু ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে গৃহ নির্মাণের অর্থ দেওয়া হয়েছে। আরও ১৬ লক্ষ পরিবার এই সুবিধা পাবেন। জলপাইগুড়িতে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ শয্যার নতুন হাসপাতালের উদ্বোধন, জয়গাঁওয়ে ৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পানীয় জল প্রকল্প, ও ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে চা-সুন্দরী প্রকল্পে গৃহ নির্মাণের ঘোষণাও করা হয়।
মঞ্চ থেকেই তিনি উদ্বোধন করেন উত্তরবঙ্গের ছয় জেলা থেকে দিঘাগামী ভলভো বাস পরিষেবা, দশটি ভ্রাম্যমাণ সুফল বাংলা সবজির গাড়ি, এবং শিলিগুড়ি পুরনিগমের বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প। পাশাপাশি রাজ্যের উদ্যোগে উত্তরবঙ্গে ওয়েবেল ডেটা সেন্টার, এসআইপি পার্ক, আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার, ২২টি নতুন সেতু নির্মাণের কথাও জানান।
চা বাগান শ্রমিকদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা ৫৯টি বন্ধ চা বাগান খুলেছি। মজুরি বাড়িয়ে ২৫০ টাকা করেছি। ছাতা, জুতো, কম্বল দেওয়া হয়েছে। চা-সুন্দরী প্রকল্পে ৮ হাজার ঘর জলপাইগুড়িতে ও ১৩ হাজার আলিপুরদুয়ারে নির্মিত হয়েছে।”
বন্যা কবলিত জলপাইগুড়ির লালটঙ ও চমকডাঙি গ্রামের ১৩১টি পরিবারকে পুনর্বাসন দিয়ে দুই গ্রামের নতুন নাম দেন মুখ্যমন্ত্রী—তিস্তাপল্লী।
জিএসটি ও অতিরিক্ত ট্যাক্স নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “একটা দেশের একটাই ট্যাক্স হওয়া উচিত। দুটো ট্যাক্স চলে না। শিল্পপতিদের মিউটেশন ট্যাক্সের নামে চাপ দেওয়া যাবে না।”
সবশেষে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “চার বছর ধরে একশো দিনের কাজ, বাংলার বাড়ি, গ্রামীণ রাস্তার টাকা বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্র। আমরা রাজ্য থেকে দিচ্ছি। কথা দিলে তা রাখি। আমি ম্যাজিশিয়ান নই, আকাশ থেকে টাকা ঝরে পড়বে না।”
উত্তরবঙ্গে উন্নয়নের পাশাপাশি রাজনৈতিক বার্তা ও প্রশাসনিক প্রতিশ্রুতিতে মঙ্গলবারের মঞ্চে পূর্ণমাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2 thoughts on “উত্তরবঙ্গবাসীর জন্য একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উপহার ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ— মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফুলবাড়ির জনসভায়”
Comments are closed.