উত্তরবঙ্গে প্রথম দফার নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে হাড়াতে ফের বাম রাম জোট। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের ছায়া।
🔴 প্রথম দফার নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস কে আটকাতে ফের বামের ভোট যাচ্ছে রামে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় বামেদের একটা বড় অংশের ভোট এখনো আছে। তিন জেলায় বসে থাকা বাম নেতাদের উজ্জীবিত করতে আসরে নেমেছে পদ্ম শিবির। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে আগের তুলনায় তৃণমূল কংগ্রেস তাদের ঘর অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছে। তাই পদ্ম শিবির অসহায়তা কাটাতে ফের বিগত নির্বাচনের মত বামেদের ঘাড়ে ভর করে ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে। ইতি মধ্যে আলিপুরদুয়ার জেলার খয়ারবাড়ি অঞ্চলে সিপিএম নেতা শৈলেন রায় আগেই পদ্ম শিবিরে যোগদান করেছে। মাদারিহাট অঞ্চলে দিলীপ দাস সিপিএম নেতা পদ্ম শিবিরে যোগদান করেছে। এমন উদাহরণ জলপাইগুড়ি,আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় প্রচুর। এরাই বেছে বেছে বিভিন্ন বাম নেতাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে। তাদের লক্ষ একটাই তৃণমূল কংগ্রেস কে আটকাতে হবে।
কোচবিহার জেলাতে এবারের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী নিশিত কুমার রায়। মাথাভাঙ্গা এলাকায় বিস্তর দখল তার। তাই পদ্ম শিবির মাথাভাঙ্গা এলাকা সহ কোচবিহার দক্ষিণ কে টার্গেট করেছে বামেদের ভোট রামে আনতে। আর বিজেপির টাকার কাছে মাথা নত করেছে বেশ কিছু বাম নেতা। এমনটাই অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট মেঘনাদ সাহা অঞ্চলের উত্তম শর্মা বলেন, আমার বাবা সিপিএম নেতা ছিল। দীর্ঘদিন বিভিন্ন পদে ছিল। বাবার অনুগামীরা এখন পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছে। তৃণমূলকে পরাস্ত করতে বাম রাম এখানে একসাথে কাজ করছে। বিজেপি বুঝতে পেরেছে এবার তাদের ভালো ফল হবে না। তাই বামের দ্বারস্থ হয়েছে। কখনো কখনো দেখা যাচ্ছে বাম রাম একসাথে রাতের অন্ধকারে প্রচার করছে। শিশুবাড়ি হাট এলাকায় বামেদের
দুই পঞ্চায়েত রবিউল আলম সহ
আরেক মহিলা পঞ্চায়েত। এরা বিজেপির হয়ে সরাসরি প্রচার চালাচ্ছে। এর পেছনে যেমন বিজেপির টাকার সাহায্য রয়েছে।
জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের পরিস্থিতি যথেষ্ট অনুকূলে। তাই এখানেও তৃণমূলকে আটকাতে জলপাইগুড়ি সদর, মালবাজার ও ধুপগুড়ি এলাকায় বামেদের কিছু ভোট আছে। বামেদের এই ভোটও রাম শিবিরে আনতে আন্ডার গ্রাউন্ড কাজ করছে কিছু বসে থাকা বাম নেতা। এই বাম নেতারা দীর্ঘদিন থেকেই ঘরে বসে আছে। তবে বাম আমলে এদের দাপটে বাঘে গরু এক গ্যরে জল খেতো। তাই পদ্ম শিবিরের একটা অংশ ও আরএসএস কাজ করছে। তবে শহর কেন্দ্রিক এলাকায় এরা দাঁত ফোটাতে পারছে না। বেছে বেছে গ্রাম এলাকাকে টার্গেট করছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা বাম রামের জোটকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তারা বলছে নতুন কিছু নয় বাম রামের জোট অনেক আগে থেকেই সক্রিয়। তবে মানুষ সব বুঝতে পারে। তারা বুঝেই সিদ্ধান্ত নেবে।