🔺🔺রাতের শিলিগুড়িতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হাতেই নিগৃহীত পুর নিগমের মেয়র পারিষদ। শিলিগুড়ি সেবক রোডের পানশালায় বার সিঙ্গারকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বনাম মেয়র পারিষদের মাঝে বচসা। অপর পক্ষের ছোড়া মদের বোতলে মাথায় আঘাত মেয়র পারিষদের
শিলিগুড়ি।রাতের শিলিগুড়িতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হাতেই নিগৃহীত পুর নিগমের মেয়র পারিষদ। শিলিগুড়ি সেবক রোডের পানশালায় বার সিঙ্গারকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বনাম মেয়র পারিষদ মাঝে বচসা। অপর পক্ষের ছোড়া মদের বোতলে মাথায় আঘাত মেয়র পারিষদের। সেবক রোডের পানশালা থেকে তৃনমূলের মাসল ম্যান আতিক- সহ আরও এক জনকে আটক করে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। তৃণমূল ছাত্র পারিষদের পরিচিত মুখ সৌরভ ওরফে মার্ডারের ঘনিষ্ঠ অভিযুক্তরা। যা জেরে প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ হেফাজত থেকেই রাতেই ছাড়িয়ে নিয়ে আসা হয় দুই অভিযুক্তকে।ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে। রাতে এই ঘটনার পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই চর্চায় উঠে আসে রাতের শহরের এই ঘটনা। জানা গিয়েছে শিলিগুড়ি সেবক রোডের বাণিজ্যিক বহুতলের একটি জনপ্রিয় বারে রাত ১২টা নাগাদ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সৌরভ ওরফে মার্ডার ঘনিষ্ঠ দলবলের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন পুরনিগমের মেয়র পারিষদ কমল অগরওয়াল।
জানা গিয়েছে মদ্যপ অবস্থায় বার সিঙ্গারকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। এক পক্ষের মতে বার সিঙ্গার যুবতীর ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন মেয়র পারিষদ। ওই বারে সেসময়তে আমেজে থাকা তৃণমূল ছাত্র পারিষদের পরিচিত মুখ সৌরভ ওরফে মার্ডারের ঘনিষ্ঠ দল ও মেয়র পারিষদের মাঝে ঝামেলা বাধে।উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বারের ফ্লোরে বোতল শুরু হয়। ডাঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা তৃণমূল মাসল ম্যান হিসেবে পরিচিত আতিক- মেয়র পারিষদ কে নিশানা করে মদের বোতল ছোড়ে। ছোড়া মদের বোতল উড়ে এসে মেয়র পারিষদ এর মাথায় আঘাত করে।আহত হয় মেয়র পারিষদ। ঘটনার পরই বার কর্তৃপক্ষের তরফে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ অভিযুক্ত আতিক সহ আরো একজনকে গ্রেফতার করে। শহরে জানাজানির সম্মান খোঁয়া যাওয়ার ভয়ে পুলিশের ম্যারপ্যাচে যেতে রাজি হয়নি কোনো পক্ষই। সম্মানের রক্ষার প্রশ্নে বিষয়টা আড়ালের চেষ্টা করেন মেয়র পারিষদ কমল অগরওয়াল। পাল্টা তৃনমূল তৃণমূল ছাত্র পারিষদের পরিচিত মুখ সৌরভ ওরফে মার্ডার ঘনিষ্ঠ অভিযুক্তদের পুলিশের হেফাজত থেকে দলীয় প্রভাবে রাতেই ছাড়িয়ে আনা হয়। আতিকের বিরুদ্ধে এর আগেও গুচ্ছের অভিযোগ রয়েছে।তবে সর্বদাই দলীয় হাত তার মাথায় থাকায় কিছুই করা সম্ভব হয়না পুলিশের পক্ষে। সোমবার এই ঘটনার পর মঙ্গলবার বোর্ড বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ তথা ১০নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কমল অগরওয়াল।
কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক মহল জুড়ে তৃণমূলের অন্দরে জোর চর্চা চলেছে। মুখ টিপে হাসচ্ছেন তৃনমূল কাউন্সিলরদের একাংশ। এই বিষয়ে কমল অগরওয়াল বলেন আমি পাঠশালা বন্ধ হওয়ার পর এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সে সময় সেখানে মদের বোতল ছোড়াছুড়ি চলছিল। একটি বোতল উড়ে এসে আমার মাথায় লাগে। যাতে মাথা ফেটে গিয়েছে। বিষয়টিকে অযথা সেভাবে গুরুত্ব দিতে চাইনি, তাই কোনো অভিযোগ করিনি থানায়।