শিলিগুড়ি। তৃণমূল মহিলা কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা বহিষ্কৃত নেতার।রাজ্য নেতৃত্ব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ধরে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় মহিলা কাউন্সিলর ও তার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, প্রাননাশের হুমকির অভিযোগ। দুষ্কৃতী মূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আইনী পথে তৃনমূল। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৯নাম্বার ওয়ার্ডের তৃনমূল মহিলা কাউন্সিলর পিঙ্কি সাহার অভিযোগ শুক্রবার রাতে তাকে এবং তার স্বামী তথা ৩৯নাম্বার ওয়ার্ডের তৃনমূলের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ সাহাকে মদ্যপ অবস্থায় ওই এলাকারই দলের বিরুদ্ধাচরনে দায়ে বহিষ্কৃত স্বপন দাস তার দলবল নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। মহিলা কাউন্সিলর ও তার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, লাঠিসোঠা নিয়ে আক্রমন করার পাশাপাশি তাদের প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। তৃণমূল কাউন্সিলরের অভিযোগ ধারালো অস্ত্র ছিল তাদের কাছে। যা দিয়ে বাড়ির দরজায় লাথি গুতো মারতে লাগেন অভিযুক্তরা। তৎক্ষণাৎ পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মহিলা কাউন্সিলর পিঙ্কি সাহা বলেন দলের বিরুদ্ধে গিয়ে পুর নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান ওই এলাকার তৃনমূলের প্রাক্তণ ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট স্বপন দাস। দুমাস আগেই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। নির্বাচনের হারের পরই আক্রোশে নানাভাবে মহিলা কাউন্সিলরকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ কটুক্তি ছুড়তে শুরু করে অভিযুক্ত স্বপন এবং তার সঙ্গরা। তার এই সমস্ত কার্যকলাপের সঙ্গী ওই এলাকার বাসিন্দা স্বপন বাবুর ঘনিষ্ঠ দীনেশ সরকার ও বঙ্কা মজুমদার। ক্রমাগত এ ধরনের আক্রমণ বাড়তে থাকে। তবে শুক্রবার রাতে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যায়। মদ্যপ অবস্থায় স্বপন দাস কাউন্সিলরের বাড়িতে এসে দলবল নিয়ে চড়াও হয়। কাউন্সিলরের স্বামীর ওপর আক্রমন হানে। বাধা দিতে মহিলা কাউন্সিলর পিঙ্কি দেবী এগিয়ে এলে তাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য বাক্য নিক্ষেপ করতে লাগে স্বপন বাবুর নেতৃত্বে মদ্যপ দলটি। এখানেই শেষ নয় মহিলা কাউন্সিলরের অভিযোগ সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ধরেও অবমাননাকর বাক্য নিক্ষেপ করতে লাগেন ওই মদ্যপ বহিস্কৃত নেতা। দলের জেলা নেতৃত্বদের নাম তুলেও অসঙ্গতিপূর্ণ মন্তব্য করেন। মহিলাা কাউন্সিলর ও তার স্বামীকে প্রাণনাশের হুমকি দেন স্বপন বাবুর সঙ্গে থাকা পাঁচ -ছয় জন ব্যক্তি। ঘটনার পর শনিবার তৃনমূল বহিস্কৃত নেতা স্বপন দাস সহ মোট পাঁচজনকে চিহ্নিত করে ভক্তিনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন তিনি। তার সঙ্গে এদিন স্বপন বাবু শাস্তির দাবিতে থানায় ভিড় জমায় ওয়ার্ডের দলীয় কর্মী ও এলাকাবাসীরা। এদিকে বাড়ির ওপর এসে চোখ রাঙানি,শাসনি দিয়ে প্রাণ নাশের হুমকির ঘটনায় আরও দুইজনকে চিহ্নিত করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদের মধ্যে রঞ্জিত দত্ত ও হিরেন রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে দার্জিলিং জেলা তৃনমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ জানান পুরো বিষয়টি আমর জানা নেই। বেশ কিছুদিন ধরেই কাউন্সিলর জানিয়েছিলেন তাকে ও তার পরিবারকে উত্যক্ত করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তার সাফ মন্তব্য
অভিযুক্তরা অন্যায় করে থাকলে আইন আইনের পথে ব্যবস্থা নেবে। অন্যদিকে স্বপন দাসে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা জানান তিনি তার বাড়িতে সঙ্গী সাথীদের নিয়ে ক্যারাম খেলছিলেন। সে সময় মহিলা কাউন্সিলর এর স্বামী বিবেকানন্দ সাহা তাকে চোখ রাঙানি ধমক দিতেে লাাগেন। ভক্তিনগর থানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিক জানান কাউন্সিলরের ওপর হামলার অভিযোগে অভিযুক্তদের প্রত্যেককে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।