আজ থেকে চালু দুধিয়া সেতু সমাজিক মাধ্যমে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।রবিবার ট্রায়ালরান সম্পন্ন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১৬দিনের মাথায় দ্রুততার সঙ্গে দুধিয়া বালাসন নদীর উপর বিকল্প সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করে পুনরায় স্বাভাবিক মিরিক ও দুধিয়ার মাঝে সংযোগ। রবিবার দুধিয়া এলাকায় বিকল্প হিউম পাইপ সেতুর ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়
শিলিগুড়ি।আজ থেকে চালু দুধিয়া সেতু।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১৬দিনের মাথায় দ্রুততার সঙ্গে দুধিয়া বালাসন নদীর উপর বিকল্প সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করে পুনরায় স্বাভাবিক মিরিক ও দুধিয়ার মাঝে সংযোগ। রবিবার দুধিয়া এলাকায় বিকল্প হিউম পাইপ সেতুর ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়।পর্যবেক্ষণ ও ফিটনেস রিপোর্টের পরই সোমবার থেকে এলাকাবাসী চলাচলের ও যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে এই সেতু। মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে সেতু চালুর ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন-আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে মিরিককে শিলিগুড়ির সঙ্গে সংযুক্ত করা দুধিয়া এলাকার বিকল্প হিউম পাইপ ব্রিজ (ভেন্টেড কজওয়ে)-এর নির্মাণকাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল থেকে এই সেতুর উপর দিয়ে স্বাভাবিক যান চলাচল পুনরায় শুরু হবে।
৪৬৮ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি ৭২ মিটার দীর্ঘ এবং ৮ মিটার প্রস্থের হিউম পাইপ কজওয়ে নিয়ে গঠিত, যেখানে ১২০০ মিমি ব্যাসের মোট ১৩২টি হিউম পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে। ১০.১০.২০২৫ তারিখে শুরু হওয়া এই নির্মাণকাজ মাত্র ১৬ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, দিনরাত এক করে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও কর্মীরা কাজ চালিয়ে গিয়েছেন।

১৯৬৫ সালে নির্মিত পুরনো সেতুটি কাঠামোগতভাবে দুর্বল হয়ে পড়ায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যেই ৫৪ কোটি টাকার ব্যয়ে একটি নতুন সেতু নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে, যার কাজ বর্তমানে জোরকদমে চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর আরও জানিয়েছেন-আমি পশ্চিমবঙ্গ জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের (পূর্ত) প্রশংসনীয় কাজের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যারা মাত্র ১৬ দিনের মধ্যে এই চ্যালেঞ্জিং প্রকল্পটি সম্পন্ন করে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করেছে এবং স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীদের জন্য বিরাট স্বস্তি এনে দিয়েছে।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তিন থেকে চার মাসের সেতুর্নির্মান কাজ আঠারো দিনের মাথায় সম্পন্ন করে চালু হচ্ছে দুধিয়ায় অস্থায়ি সেতু। এই সেতু দিয়ে দশ টনের ওজনের যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারবে। ৫ই অক্টোবর ভোর রাতে বিপর্যয়ের প্রবল জলস্রোতে ভেঙে যায় মিরিক ও দুধিয়ার মাঝে সংযোগকারি দুধিয়া ব্রিজ। যার জেরে মিরিক ও দুধিয়ার মাঝে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে ১৫দিনের মধ্যে অস্থায়ি সেতু তৈরীর নির্দেশ দেন। সেমত বিপর্যয়ের ৪৮ঘণ্টার মধ্যেই চূড়ান্ত নকশা তৈরি করে পরিকল্পনা নিয়ে কাজে নেমে পড়ে পূর্ত দপ্তর। জলের প্রবল স্রোতের মাঝেই কাজ শুরু হয়।জেলা পূর্ত দপ্তরের কারিগরি বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদীর উপর সেতুর নির্মাণ সহ মূল রাস্তার সঙ্গে অ্যাপ্রোচ রোড নিয়ে ৪৬৮মিটার দীর্ঘ অংশ নির্মাণ কাজ করা হয়েছে। এরফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মিরিক ও দুধিয়ার মাঝে সরাসরি যোগাযোগ চালু হবে।
মিরিক হয়ে পুনরায় সহজেই পৌছে দার্জিলিঙ যাতায়াতেও সুবিধা হবে পর্যটকদের। কারিগরি বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে- নদী বক্ষে ৬০ থেকে ৭০মিটার লম্বা অস্থায়ি সেতুর নির্মাণ। যার কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে নদী পার ধরে অ্যাপ্রোচ রোড।নদীর উপর মোট ১০০মিটার হিউম পাইপ বসিয়ে হবে সেতু। পূর্তদপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে ৬০মিটার কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।এরমধ্যে নদী বক্ষে ৭০মিটার লম্বা হিউম পাইপ বসিয়ে অস্থায়ী সেতুর কাজ চলছে। তবে এই ৭০ মিটার নদীবক্ষে অস্থায়ী সেতুর মাঝের অংশে বেশ কিছু জায়গায় নদীর প্রবল জলস্রোতের কারণে প্রতিকূলতা এসে পড়ে। সেতুর ১০মিটার অংশের কাজের একটা বড় ডাইভার্সন নকশা ধরে ঘুর পথে ধরে নদী বক্ষের উপর এই সেতু নির্মাণ কাজ করা হয়। ফলে ১০মিটারের অংশের সেতু নির্মাণে একাধিক ডাইভার্সন রয়েছে। যা চ্যালেঞ্জিং ও কিছুটা বাড়তি সময়ে প্রয়োজন। পূর্ত দপ্তরের আধিকারিক জানান- প্রায় ৬০-৭০ মিটারের হিউম পাইপের অস্থায়ী সেতু এবং কিছুটা অ্যাপ্রচ রোডের কাজ রয়েছে। কারিগরি অংশের কাজ চলে জোর কদমে। সকাল থেকে দিন রাত কাজ করে এই কাজ সম্পন্ন করেছে কর্মীরা। প্রবল জলস্রোতের কারনে চ্যালেঞ্জ আরও বেড়ে যায়। পরীক্ষামূলকভাবে ট্রায়াল রান সম্পন্ন করে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই অস্থায়ি সেতু।সেতুর কাজ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঊর্ধ্বতন আধিকারিকেরাও। পূর্ত দপ্তরের সূত্রে জানা গিয়েছে- ছোট যানবাহন এই চলাচল করতে পারবে।
১০টন পর্যন্ত যাত্রী ও পণ্য বাহি যানবাহন চলাচল করতে পারবে এই সেতু দিয়ে। অন্যদিকে স্থায়ী সেতুরও এক বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। মিরিক মহকুমার ঊর্ধ্বতন আধিকারীকের তরফে জানানো হয়েছে-সেতু ভেঙে পড়ার কারণে অস্থায়ী সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত মিরিক এবং দুধিয়ায় যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। নিত্যদিনের প্রয়োজনে সাধারণ মানুষকে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই এই সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী। সেতুর কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। অস্থায়ী হিউম পাইপ ও পাথর বাধাই করে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে মাটির ফেলে শক্ত করা হবে রাস্তা। মূলত এ ধরণের অস্থায়ী সেতু নির্মাণ কাজে তিন থেকে চার মাস সময় লেগে যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১৬দিনের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে রেকর্ড গড়েছে পূর্ত দপ্তর। আপাদত পরীক্ষামূলকভাবে ছোট যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারবে অস্থায়ী সেতু দিয়ে। ফলে মিরিক এবং দুধিয়ার মাঝে সংযোগ স্থাপন হবে। সমস্ত রকম পরীক্ষামূলকভাবে ট্রায়াল রান সম্পন্ন করে পূর্ত দপ্তরের ফিটনেস রিপোর্ট এর পরই পুরোদস্তুরে ছোট যান চলাচল এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য খুলে যাচ্ছে অস্থায়ী সেতুটি।
বিপর্যয় কাটিয়ে দুধিয়া সেতু ধরে পুনরায় সংযোগ স্থাপন। হিউম পাইপের সেতু ধরে বিচ্ছিন্ন মিরিক ও দুধিয়ার মাঝে যোগসূত্র স্থাপনে পর্যটক মহলে খুশির হাওয়া। মুখ্যমন্ত্রির নির্দেশে তিনমাসের কাজ ১৬দিনের মধ্যে সম্পন্ন করে সোমবার খুলে দেওয়া হলো শিলিগুড়ি দুধিয়া সেতু।
শিলিগুড়ি।বিপর্যয় কাটিয়ে দুধিয়া সেতু ধরে পুনরায় সংযোগ স্থাপন। হিউম পাইপের সেতু ধরে বিচ্ছিন্ন মিরিক ও দুধিয়ার মাঝে যোগসূত্র স্থাপনে পর্যটক মহলে খুশির হাওয়া। মুখ্যমন্ত্রির নির্দেশে তিনমাসের কাজ ১৬দিনের মধ্যে সম্পন্ন করে সোমবার খুলে দেওয়া হলো শিলিগুড়ি দুধিয়া সেতু। সকাল ১১টা থেকেই স্বাভাবিক হয় যানচলাচল। উচ্চ পর্যায়ের আধিকারীকদের উপস্থিতি শুরু হয় যানচলাচল। বিপর্যয়ের ১৬দিনের মাথায় কম সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগে আমজনতা থেকে পর্যটক মহলে খুশির হাওয়া। মিরিক ও দুধিয়ার মাঝ বরাবর চিড়ে গিয়েছে বালাসন নদী। ভৌগলিক কারনে এই দুই অংশের মানুষ নিত্য প্রয়োজনে দুই ক্ষেত্রের উপর নির্ভরশীল। ৪ঠা অক্টোবর বীভৎস সে রাতে ভেঙে পড়ে পর্যটক প্রিয় দুধিয়া সেতু। যার জেরে মিরিক ও দুধিয়ার মাঝে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে চূড়ান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় দুই অংশের মানুষকে। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আনা নেওয়া থেকে শুরু করে ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়ে। সোমবার থেকে চালু হয় দুধিয়া সেতু সমাজিক মাধ্যমে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।রবিবারই সম্পন্ন হয় ট্রায়ালরান। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১৬দিনের মাথায় দ্রুততার সঙ্গে দুধিয়া বালাসন নদীর উপর বিকল্প সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করে পুনরায় স্বাভাবিক হয় মিরিক ও দুধিয়ার মাঝে সংযোগ। ১০টন পর্যন্ত যাত্রী ও পণ্য বাহি যানবাহন চলাচল করতে পারবে এই সেতু দিয়ে। অন্যদিকে স্থায়ী সেতুরও এক বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। মিরিক মহকুমার ঊর্ধ্বতন আধিকারীকের তরফে জানানো হয়েছে-সেতু ভেঙে পড়ার কারণে অস্থায়ী সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত মিরিক এবং দুধিয়ায় যান চলাচল এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য খুলে যাচ্ছে অস্থায়ী সেতুটি। মূলত উত্তরবঙ্গে বিপর্যয় ক্ষয়ক্ষতির জড়া কাটিয়ে দ্রুত পাহাড় ও সমতলে এই পথ ধরে যোগাযোগ সুদৃঢ় হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে এলাকাবাসী স্থানীয় ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। খুশির হাওয়া পর্যটক মহবলে। কারন এই রুট ধরেই মিরিকের সারি সারি চা বাগিচা আর পাইন গাছকে সঙ্গী করে ভরপুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এই পথ ধরেই কার্শিয়াঙ সহ অফবিট ডেস্টিনেশনে পৌছতে বেছে নেয় পর্যটকেরা। মেঘ বৃষ্টির এক অদ্ভুত খেলায় মেতে ওঠে মিরীকে পর্যটকেরা।ফলে পর্যটন ব্যবসায় নতুন করে বিপর্যয়ের কালো যবনিকা কেঁটে আশার আলো ফুঁটে উঠেছে। রাজ্য সরকার যখন উত্তরবঙ্গের ক্ষত সারাতে ব্যস্ত সেসময় উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতিকরন ছাড়া একটি আলপিন পর্যন্ত ছুঁয়ে দেখেনি কেন্দ্র। বিপর্যয়ের আর্থিক সহযোগিতা তো দূরের কথা! শুধুই রাজনীতির কাদা ছুঁড়তে ব্যস্ত ভাজপা সাংসদ থেকে জন প্রতিনিধিরা। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রাণ শিবির থেকে বিধ্বস্ত এলাকা সরেজমিনে দূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এলাকা পর্যবেক্ষণ করেছেন। ১৫দিনের মধ্যে দুধিয়া সেতু নির্মাণ সম্পন্নের দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো কাজ সম্পন্ন করে খুলে দেওয়া হয় সেতু। পূর্ত দপ্তরের কারিগরি বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে- নদী বক্ষে ৬০ থেকে ৭০মিটার লম্বা অস্থায়ি সেতুর নির্মাণ। যার কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে নদী পার ধরে অ্যাপ্রোচ রোড।নদীর উপর মোট ১০০মিটার হিউম পাইপ বসিয়ে হবে সেতু। পূর্তদপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে ৬০মিটার কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।এরমধ্যে নদী বক্ষে ৭০মিটার লম্বা হিউম পাইপ বসিয়ে অস্থায়ী সেতুর কাজ চলছে। তবে এই ৭০ মিটার নদীবক্ষে অস্থায়ী সেতুর মাঝের অংশে বেশ কিছু জায়গায় নদীর প্রবল জলস্রোতের কারণে প্রতিকূলতা এসে পড়ে। সেতুর ১০মিটার অংশের কাজের একটা বড় ডাইভার্সন নকশা ধরে ঘুর পথে ধরে নদী বক্ষের উপর এই সেতু নির্মাণ কাজ করা হয়। ফলে ১০মিটারের অংশের সেতু নির্মাণে একাধিক ডাইভার্সন রয়েছে। যা ছিল চ্যালেঞ্জিং!



