বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করবো এখনও দুদিন সময় আছে। বিজেপির কোনো সর্বভারতীয় রাজ্য নেতার ক্ষমতা থাকলে দশ বছরের দার্জিলিং এর রিপোর্ট কার্ড আর শিলিগুড়ি রিপোর্ট কার্ড নিয়ে এসে মানুষের সামনে তুলে ধরুক। একদিকে আমি থাকবো, আরেকদিকে বিজেপির নেতা থাকবে খোলা চ্যালেঞ্জ জানালেন শিলিগুড়ির মাটি থেকে তৃনমূল সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিলিগুড়ি। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করবো এখনও দুদিন সময় আছে। বিজেপির কোনো সর্বভারতীয় রাজ্য নেতার ক্ষমতা থাকলে দশ বছরের দার্জিলিং এর রিপোর্ট কার্ড আর শিলিগুড়ি রিপোর্ট কার্ড নিয়ে এসে মানুষের সামনে তুলে ধরুক। একদিকে আমি থাকবো, আরেকদিকে বিজেপির নেতা থাকবে খোলা চ্যালেঞ্জ জানালেন মঙ্গলবার শিলিগুড়ির মাটি থেকে তৃনমূল সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনতার উদ্দেশ্যে তার সাব বার্তা গোপাল আমাকে জয়যুক্ত করুন, তাকে সমর্থন করে কাজের সুযোগ করে দিলে দার্জিলিং জেলায় যারা আবাসের জন্য আবেদন করেছে৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে আবাসের টাকা ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। আমাদের দিল্লির দয়া-দক্ষিন্য দরকার নেই। তৃনমূল জয়যুক্ত হলে পাহাড়ের গোর্খাদের ১১জনজাতির মর্যাদা দেবো।
মঙ্গলবার দার্জিলিং জেলা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী গোপাল লামার হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নলশালবাড়ি উত্তরা গোসাইপুরে ময়দানে জন সভা করেন তৃনমূল হাই কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন জনসভা থেকে অভিষেক বলেন-আমি চ্যালেঞ্জ করছি আজকে আমি সভা করে গেলাম, দশ বছরে বিজেপির নেতা এখানে ১৫ বছরের অধিক বিজেপির সাংসদ রয়েছে। সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া সহ রাজু বিস্তা। দশ বছর পেরিয়ে গেছে মোদিজীর শাসন কালে। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করবো এখনও দুদিন সময় আছে। বিজেপির কোনো সর্বভারতীয় রাজ্য নেতার ক্ষমতা থাকলে দশ বছরের দার্জিলিং এর রিপোর্ট কার্ড আর শিলিগুড়ি রিপোর্ট কার্ড নিয়ে এসে মানুষের সামনে তুলে ধরুক। একদিকে আমি থাকবো, আরেকদিকে বিজেপির নেতা থাকবে। ধর্মের নামে নয়, কর্মের নামে প্রতিযোগিতা হবে হুঁশিয়ারি তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ডের। তথ্যকে সামনে রেখে লড়াই হবে। তুমি দশ বছরে কি করেছ আর আমাদের মা মাটি মানুষের সরকার ১২ বছরে পাহাড় সমতল তরাইতে কি করেছে। শ্রমিকের জন্য মহিলাদের জন্য কি করেছে। ভোকাট্টা করে মাঠের বাইরে করে দেবো যদি তথ্য পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে লড়াই করার সাহস দেখায়- সাফ হুঙ্কার শিলিগুড়ি মহকুমা এলাকার মাটি থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে উঠেই প্রথমে নারী শক্তিকে সম্মান জানিয়ে বলেন- নারী শক্তি ও মাতৃশক্তি যার সঙ্গে থাকে তাকে কেউ পরাস্ত করতে পারে না।এরপরই মহিলাদের তাকে দেখতে যাতে কোন সমস্যা না হয় সেজন্য সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা ১০০জন যুবকদের তাঁর মূল মঞ্চের সামনে ডেকে নেন। এরপরই জনগনের উচ্ছ্বাসকে নির্দেশ করে তিনি বলেন দার্জিলিং লোকসভা যে সাতটি বিধানসভায় রয়েছে।এতদিন সমতলের তিন বিধানসভার লোকেরা ভাবে পাহাড়ে কার্শিয়াঙ কালিম্পঙ থেকে তো বিজেপি জিতবে। আমি আপনাদের বলছি কিন্তু আজকেই এই ভালোবাসা, সমর্থন উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা লক্ষ্য করেছি। প্রথমবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে নির্ণায়ক ভূমিকা সমতলের মানুষ পালন করে তৃনমূলকে জেতাতে চলেছে।
বিজেপি সকল্পপত্র:
এদের হাত শক্তিশালী হলে এই নির্বাচনে ২৬ তারিখে আপনার জীবনের শেষ ভোট হবে। বিজেপি নিজের সংকল্প পত্র ইউনিফর্ম সিভিল কোড এর কথা বলেছে। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তপশিলি জাতি উপজাতি তালিকাভুক্ত মায়েরা বোনেরা দিদিরা ভাইয়েরা দাদার।কারন এরা যখন ইউসিসি বলছে তার সঙ্গে বলছে ওয়ান নেশন ওয়ান ভোট। আগে পাঁচ বছরে আপনি চারবার ভোট দিতে পারতেন। বিধানসভায় দিতেন লোকসভায় দিতেন। এখন পাঁচ বছরে শুধু একবার ভোট দেওয়ার অধিকার পাবেন। বিজেপি নিজের সংকল্প পথে বলেছে। বিজেপির সংকল্প পত্রে অন্ন বস্ত্র বাসস্থান স্বাস্থ্য নিয়ে একটা কথা নেই।একটা বাক্য ব্যয় করেনি। দৈনন্দিন জীবনের জিনিসের ব্যয় কিভাবে কমাবে? তা নিয়ে একটাও কথা নেই। ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন করবে। তিনি জানেন কালো টাকা এনে দেবে, বছরে দু কোটি বেকারের চাকরি হবে, ১৫ লক্ষ টাকা করে একাউন্টে ঢুকবে এসব বলে বিজেপি একটা বড় গোল্লা দিয়েছে।
তার মন্তব্য-বিজেপির নেত্রী কোচবিহারের দীপা চক্রবর্তী সভা করে বলেছে বাংলায় যদি বিজেপি ভালো ফল করে তাহলে মায়েদের লক্ষ্মীর ভান্ডার তিন মাসের মধ্যে বন্ধ করে দেবো। সভা মঞ্চ থেকে তথ্য সহ সে অডিও ক্লিপ ও জনসাধারণের সামনে রাখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন এই সভা হয়েছে সাত দিন হয়ে গিয়েছে, এরমধ্যে বিজেপির কোন নেতা মানুষের কাছে ক্ষমা চাইনি। তিনি বলেন বিজেপির নেতাদের বলব আমি তো অডিও ক্লিপ শোনালাম যদি আমি মিথ্যে কথা বলি কথায় কথায় তো হাইকোর্টে যাও!কোর্টের রাজনীতি।আমি যদি মিথ্যে কথা বলি আমার বিরুদ্ধে মামলা করে হাইকোর্টে কেস ফাইল করুক। আমরা হাইকোর্টে প্রমাণ জমা দেব। সিপিএম ও বিজেপিকে এক আসনে বসিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে অভিষেক বলেন- সিপিএমের মতাদর্শন ছিল এলোমেলো করে দে-মা লুটেপুটে খাই আর বিজেপির দর্শন হলো গরিব করে রেখে দে- মা ভোটটা যেন পাই।অনেক হয়েছে শাসন এবারে ২০২৪ এর লোকসভায় মাটিগাড়া, ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি খড়িবাড়ি থেকে বিজেপিকে বিসর্জনের শপথ নিন। বিগত লোকসভা নির্বাচনে মাটিগাড়া নকশালবাড়ি থেকে এক লাখ ভোটে জিতেছিল বিজেপি আর বিধানসভায় ৭০ থেকে ৭২ হাজার ভোটে জিতিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী কুড়ি দিন আগে এসেছিল শিলিগুড়িতে। আমি বলেছিলাম ওরা বলছে আবাসের টাকা দিয়েছে।২০২১এর পরাজয়ের পর আর ২০১৭-২০১৮ থেকে আবাস যে সমীক্ষা হয়েছে আবাস প্লাসের নতুন তালিকা হয়েছে।সেই তালিকার যদি প্রধানমন্ত্রী শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে পারে যে তার কেন্দ্রের সরকার রাজুবিস্তা দার্জিলিং -এর বিস্তীর্ণ এলাকায় বাংলার বিস্তীর্ণ বিধানসভায় আবাস প্রকল্পে মানুষের জন্য ১০ পয়সা অনুদান দিয়েছে ২১সালের পর দিয়েছে তার তথ্য প্রমাণ তুলে ধরতে পারলে আমি আর তৃণমূলের হয়ে মানুষের কাছে ভোট চাইতে না যাবো যা। আমি রাজনীতি থেকে বিদায় নেবো গর্জন অভিষেকের।তিনি আরও বলেন আজকে প্রায় ১ মাস ৮ দিন হয়ে গিয়েছে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে পারেনি। মিথ্যে কথা বললে আমার বিরুদ্ধে ওরা হাইকোর্টে মামলা করুক। নরেন্দ্র মোদি সরকার আঁধার ও প্যানকার্ডে লিংক করার নাম করে হাজার টাকা করে নিয়ে চলে গিয়েছে। আপনার হাজার টাকা মোদি নিয়ে যাচ্ছে দিদি হাজার টাকা দিচ্ছে। দিদি দিচ্ছে মোদি নিচ্ছে।
রাজু বিস্তাকে এক হাত- যারা বসন্তের কোকিল তারা ভোটের সময় গিয়ে মুখ দেখায়। পাহাড় সমতলের সঙ্গে আমদের আত্মীক সম্পর্ক।যারা চা বাগানে কাজ করেন, যারা দিন আনেন দিন খান, গরিব লাঞ্ছিত নিপীড়িত মায়ের ভাই বোনেরা। ১৫ বছরের এই লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির সাংসদ রয়েছে। প্রতিটা লোকসভা নির্বাচনে আপনারা তাদেরকে সুযোগ করে দিয়েছেন। তৃণমূলকে এবার সুযোগ দিন। পাঁচ বছরের জন্য সুযোগ আমি চাইব না। দু’বছর পর আবার নির্বাচন দুবছরের মধ্যে যদি আপনাদের চাহিদা আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে না পারি। বিধানসভায় তৃণমূলের বিপক্ষে ভোট দিয়ে আপনারা প্রতিশোধ নেবেন। আমি আপনাদের বলছি গোপাল লামা দীর্ঘদিন আধিকারিক ছিলেন,এই জেলার ভূমিপুত্র। মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন অন্যদিকে বিজেপির যে প্রার্থী কোনদিন দার্জিলিংয়ে আপনার বিপদে আপদে কোভিডের সময় আপনার দুঃখে বিপদে তাকে পাশে পাননি। বাড়ি দিল্লিতে দার্জিলিং এর মানুষের ভোট নিয়ে দিল্লি নেতাদের ক্রীতদাস্বত্ব আর তল্পিবাহকতা করে, আপনার ১০০ দিনের টাকা বাড়ি তৈরির টাকা এই রাজু বিস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। মাটিগাড়া নকশালবাড়ি এই এলাকায় ৪৫-৪৬ টি চা বাগান রয়েছে।চা বাগানে পিএফ নিয়ে সমস্যা দু’বছর ধরে আমরা ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন করছি। রাজু বিস্তা একটাও চিঠি লিখেছে ভরা সভায় সওয়াল তোলেন অভিষেক, রাজু বিস্তা একটা চিঠি কেন্দ্র সরকার কে লিখেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোন অনুষ্ঠান দেখাতে পারবেন দার্জিলিং সমতল পাহাড় মিলে কোন জায়গায় হয়েছে! যেখানে ১০ পয়সার বাড়তি সুবিধা মানুষ পেয়েছে এরা শুধু মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এমন ভাবে ২৬তারিখ জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন মে মাসে ক্ষমতায় এসেছি পাহাড়ে জিটিএ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে আমাদের সরকার। তৃণমূলকে জয়যুক্ত করুন। ৪ঠা জুন ফল বেরোবে ১১ গোর্খা জনজাতিকে তফশিলি তালিকাভুক্ত করব আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি সভা থেকে ঘোষণা তৃনমূল হাই কম্যান্ডের। এই ১১ জনজাতির তপশিলির মহিলারা যদি তপশিলীর আইনের স্বীকৃতি পেত তাহলে লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা ১২০০ করে পেতো, তা হয়নি।
সাত দফায় নির্বাচন: এই গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে আমি জানি এক দফায় দু দফায় নির্বাচন হলে মানুষের এই দাবদাহ দেখো কষ্টের শিকার হতে হতো না। দার্জিলিং বিরোধী বাংলা বিরোধী এই বিজেপি কোভিডের সময় আট দফায় নির্বাচন করে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল।
যেখানে তামিলনাড়ু অন্ধপ্রদেশে এক দু দফায় নির্বাচন হচ্ছে সেখানে বাংলায় সাত দফায় নির্বাচন করছে যাতে বাংলা বিরোধী বহিরাগত ও পরিযায়ী পাখিরা উড়ে এসে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে। যতবার বিজেপির বহিরাগত নেতা আসবে এক একটা বিধানসভায় ৫০০০ করে ভোট কমবে। যদি বিজেপির পরিযায়ী পাখিরা চারটে সভা করে এক একটা বিধানসভা থেকে বিশ হাজার করে ভোট কমবে। জনতাকে অভিষেকের বার্তা- আপনাকে ঠিক করতে হবে। আপনার অধিকারকে সামনে রেখে ভোট দিতে হবে। ১০০ দিনের টাকা মোদি আটকে ছিল দিদি ফেব্রুয়ারিতে দিয়েছে। আপনার বাড়ির ছাদের টাকা, গরিব মানুষের ১০০ দিনের টাকা, আপনার পাড়ার রাস্তার টাকা, সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা এই বিজেপি সরকার বন্ধ করে দিয়েছে।
পদ্মের কাছে টাকা নেবেন ভোটটা জোড়া ফুলে দেবেন- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন বিজেপি নেতারা ২ নম্বরি পা থেকে মাথার চুল পর্যন্ত ২ নম্বরি। শুভেন্দু অধিকারির নাম না করে তা বলা জিতলে তিন হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর মন্তব্য বিজেপি ১৭ টা রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। এই ১৭রাজ্যের মধ্যে একটি রাজ্যে তিনহাজার বলছেতো আমি বলছি ১০০০ টাকা করে লক্ষী ভান্ডার দিলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। উত্তরপ্রদেশে লক্ষী ভান্ডার নেই, রাজস্থানে নেই মধ্যপ্রদেশে আমাদের দেখে দিতে শুরু করেছে। তাও প্রতি পরিবার পিছু একজনকে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের চারজন মহিলা থাকলে চারজনকেই দিচ্ছেন। ২কোটি ১২লক্ষ মহিলাকে দিচ্ছে। ২৫হাজার কোটি দিয়েছে। অভিষেক বলেন বিজেপির কাছে টাকা নিন দাম দর করুন, দুই দিলে ৫০০০ চান কুড়ি হাজার হলে ২৫ হাজার চান। এটা আপনাদের টাকা ইলেকশনের সময় টাকা দিতে এসেছে। পদ্মফুল থেকে টাকা নিন জোড়া ফুলে ভোট দিন। বোতামটা এখানে টিপবেন ভূমিকম্প দিল্লিতে হবে। পুজো কমিটি সমিতি ক্লাব গুলোকে ২০হাজার চাইলে ৫০হাজার চাইবেন।
৫০হাজার দিলে এক লাখ চান। নিয়ে বলবেন চিন্তা নেই আর বলুন আচ্ছে দিন আনেওয়ালা হ্যাঁ। আর ভোটটা তৃণমূলে দিন। ৪ তারিখ ভোট বাক্স যখন খুলবে বাংলা বিরোধীরা তখন চোখে সর্ষে ফুল দেখবে। নির্বাচনের সময় টাকা দিয়ে ভোট কিনতে এসেছ টাকাও নেবেন ভোটও দেবেন না ষ্পষ্ট জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তব্য অভিষেকের। যে ভাষা বোঝে তাকে সে ভাষাতেই বলতে হয়।তিনি আরও বলেন- প্রথম দফায় মাথা ভেঙেছি দ্বিতীয় দফায় কাঁধ ভাঙবো.. সপ্তম দফায় সব ভেঙে বলো হরি, হরি বোল বলে বিসর্জন দিন। এদিন বারবার সভায় তিনি উল্লেখ করেন আজ যে স্বতঃস্ফূর্ততা দার্জিলিং মাটিগাড়া নকশালবাড়ি শিলিগুড়ির মানুষের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি এই স্বতঃস্ফূর্ততা কখনো লক্ষ্য করিনি। তিনি সভায় উপস্থিত জনগণকে বলেন আপনারা একেক জন পাঁচ জনকে বলুন কিভাবে বিজেপি সরকার কিভাবে আপনাদের টাকা থেকে আপনাদের বঞ্চিত করে রাখছে।
মোদিজি ট্রেলার
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন মোদীজি বলছেন এই দশ বছরে শুধু ট্রেলার দেখিয়েছে সিনেমাটা আগামী পাঁচ বছরে দেখাবে যদি যেতে। বিজেপি আসার আগে দেশের পরিস্থিতি কি ছিল? দশ বছরের ট্রেইলারে কি দেখলেন ৪০০ টাকার রান্নার গ্যাস হাজার টাকা, ৪০ টাকার ডিজেল ৯২ টাকা, ১৭ টাকার কেরোসিন তেল ৭৫ টাকা, ৩ টাকার ডিম ৭ টাকা, ১০০ টাকার চা পাতা ২৮০ টাকা কেজি।
৭০ টাকার রসুন৪৩০ টাকা। আপনার আবাস যোজনার বাড়ির টাকা বন্ধ অথচ বিজেপি কয়েকশো কোটি টাকার খরচ করে পার্টি অফিস হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও দেশের উপরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবন তৈরি হচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে। আপনার আবাস যোজনার বাড়ির তিন লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা আটকে রেখেছে। একদিকে জুমলা একদিকে বাস্তবায়ন সিদ্ধান্ত আপনাদের। একদিকে পরিচারই রাজু বিস্তা অন্যদিকে ভূমিপুত্র গোপাল লামা। একদিকে মোদির গ্যারান্টি মানে জিরো ওয়ারেন্টি অন্যদিকে দিদির গ্যারেন্টিমান লাইফ টাইম ওয়ারেন্টি-সিদ্ধান্ত আপনাকে নিতে হবে।
প্ৰথম পর্যায় মাথা ভেঙেছি…সপ্তম দফায় সব ভেঙে চুড়ে বিসর্জন-প্ৰথম দফায় এদের মাথা ভেঙেছি। দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং বালুরঘাট রায়গঞ্জ নিয়ে এদের কাঁধ ভাঙবো। তৃতীয় দফায় এদের কোমর ভাঙবো। চতুর্থ দফায় হাত ভাঙবো। পঞ্চম দফায় পা ভাঙবো। ষষ্ঠ দফায় হাঁটু ভাঙবো আর সপ্তম দফায় সবকিছু ভেঙে গণতান্ত্রিকভাবে বলো হরি হরি বোল.. সভা জুড়ে জনতার রোল বিসর্জন। অভিষেকের কটাক্ষ বিজেপি এদের রেখে দিলে আলসার বাড়তে দিলে ক্যান্সার। কানে শুনে নয় চোখে দেখে আগামী দিনের সিদ্ধান্ত নিন। এই ভোট বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার ভোট।গোপাল আমায় জয়যুক্ত হলে বিজয় মিছিলে পায়ে পা মেলাতে আসবো এদিন সভায় বলে জানান অভিষেক।
যারা মাছ খায় তারা হিন্দু নয়-
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্রমোদির কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য তুলে বলেন- দিল্লিতে সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছে যারা মাছ খায় তারা হিন্দু বিরোধী।কারা মাছ খায়!বাঙালিরা মাছ খায়। এর জবাব ভোট বাক্সে দেব। মোদি ২০২১ যেতে নেই বলে বাংলায় সমস্ত টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।মাটিগাড়া নকশালবাড়ি বিধানসভা থেকে
যারা আমাদের ভোট দিয়েছে আমরা তাদের জন্য কাজ করেছি। যারা আমাদের ভোট দেয় নি আমরা তাদের জন্যও কাজ করেছি। আমরা বদ্ধ পরিকর। আপনাকে ভুল বুঝিয়ে ২০১৪- ১৯ এ প্রধানমন্ত্রী বড় বড় ভাষণ দিয়েছে চা বাগান শ্রমিকদের জন্য অমুক করে দেব তমুক করে দেব। ৩০০০হাজার কোটির রাম মন্দির হয়েছে আবাসের ঘরের টাকা আসেনি। জনগণের উদ্দেশ্যে তার বার্তা আপনি যদি আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি আপনার অধিকারকে নজর রেখে ভোট দিতে হবে। তা নাহলে তৃনমূল রাস্তায় নেমে লড়াই করেও কিছু করতে পারবে না। আগামী দিনের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করার দায়িত্ব আপনাদের।
উল্লেখ্য ময়নাগুড়ির দূর্ঘটনার পর থেকেই টানা উত্তরবঙ্গে মাটি আঁকড়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। সে সময়তে শিলিগুড়ি এলেও দূর্গতদের দেখতে ছুটে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী প্রচার সভা করার সুযোগ থাকলেও সেসময় দূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণ ও তৎপরতাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেন তিনি। সে সময় শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে অসুস্থ্য দুই শিশুকে দেখতে গিয়ে বলে গিয়েছিলেন আগে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাক সকলে তারপর সভা করবো। সেমত বিধ্বস্ত জমিনে পুনরায় টিন ইট কাঠ জুড়ে ঘর গড়ার কাজ শুরু হয়েছে ময়নাগুড়িতে। কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতেই দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর প্রচারে সভা তৃনমূল সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- প্রার্থী গোপাল লামার পাশাপাশি দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, চেয়ারম্যান অলক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব,উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, শিলিগুড়ি মহকুমার সদস্যরা, দার্জিলিং পাহাড় তৃনমূল সভানেত্রী শান্তা ছেত্রী, যুব সভাপতি নির্নয় রায়,ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। এছাড়া মতুয়া প্রতিনিধি মঞ্চে ছিলেন।
উল্লেখ্য ময়নাগুড়ির দূর্ঘটনার পর থেকেই টানা উত্তরবঙ্গে মাটি আঁকড়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। সে সময়তে শিলিগুড়ি এলেও দূর্গতদের দেখতে ছুটে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী প্রচার সভা করার সুযোগ থাকলেও সেসময় দূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণ ও তৎপরতাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেন তিনি। সে সময় শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে অসুস্থ্য দুই শিশুকে দেখতে গিয়ে বলে গিয়েছিলেন আগে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাক সকলে তারপর সভা করবো। মানুষ থাকলে নির্বাচন হবে। সেমত বিধ্বস্ত জমিনে পুনরায় টিন ইট কাঠ জুড়ে ঘর গড়ার কাজ শুরু হয়েছে ময়নাগুড়িতে। কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতেই দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর প্রচারে সভা তৃনমূল সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, চেয়ারম্যান অলক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব,উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, শিলিগুড়ি মহকুমার সদস্যরা, দার্জিলিং পাহাড় তৃনমূল সভানেত্রী শান্তা ছেত্রী, যুব সভাপতি নির্নয় রায়,ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। এছাড়া মতুয়া প্রতিনিধি মঞ্চে ছিলেন।