শিলিগুড়িতে টলি তারকা সোহম চক্রবর্তীর সঙ্গে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামার প্রচারের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
মন্ত্রীর দাবি দার্জিলিং আসন এবার ১০০% নিশ্চিত আমরা জিতবো। নকশাল বাড়িতে পায়ে হেঁটে প্রচার মিছিল মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে টলি তারকার সোহম চক্রবর্তীর
শিলিগুড়ি। শিলিগুড়িতে টলি তারকা সোহম চক্রবর্তীর সঙ্গে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামার প্রচারের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মানুষ দুহাত ভরে আমাদের আশীর্বাদ করছে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস দার্জিলিং আসনে এবারে আমরা জয় লাভ করবো মানুষের উচ্ছ্বাসে মাঝে শোভাযাত্রা থেকে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর কণ্ঠে বক্তব্য মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসে। মন্ত্রীর দাবি দার্জিলিং আসন এবার ১০০% নিশ্চিত আমরা জিতবো। দার্জিলিং জেলা রাজনৈতিক মানচিত্র হাতের রেখার মতো স্পষ্ট অরূপ বিশ্বাসের কাছে। জোড়া ফুলের জন্য দার্জিলিং জেলার মাটিকে উর্বর করে তুলতে অরূপ বিশ্বাসের ওপরে সর্বদা ভরসা রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়ি মহকুমা এবং পুরসভা পরপর তৃণমূলের দখলে আসার ক্ষেত্রে সারথীর ভূমিকায় ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাই লোকসভার মুখে সোমবার হুড খোলা জিপে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এগিয়ে চলে শিলিগুড়ি মহকুমার তিন নির্বাচনী ক্ষেত্র নকশালবাড়ি ফাঁসিদেওয়া এবং খড়িবাড়ি ব্লকে। নকশালবাড়ি গ্রামীন এলাকায় একাধিক জায়গায় জমজমাট প্রচার ঘিরে রাস্তার দু’ধারে সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল নজর কাড়া।এদিন জিপের পেছনে নকশালবাড়ি ব্লকের গ্রামিন এলাকার ঘরে ঘরের মহিলারা লক্ষী ভান্ডারের প্রতিকী ঘট হাতে নিয়ে শোভাযাত্রায় পা মেলায়। সোহমকে ঘিরে মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল। গোটা শোভাযাত্রা জুড়ে এলাকার লোকেরা ছুটে এসে একবার সোহমের হাত স্পর্শ করে কিংবা সেলফির তোলার আর্জি জানাতে লাগে। স্কুলের ইউনিফর্মের ছাত্রছাত্রীরা ভিড় করে সোহমকে দেখতে। একই সঙ্গে শোভাযাত্রা ঢাকের বাদ্যিতে এগিয়ে চলে। দুপুর ২টা নাগাদ রোড শো শুরু হয় ফাঁসীদেওয়া ব্লকের বিধাননগর থেকে। বিধাননগর বাজার হয়ে জগন্নাথপুর, পাইকপাড়া হয়ে শান্তি পাড়ার দিকে এগিয়ে যায়। খরিবাড়ি ব্লকের কালীঘাট বাজার হয়ে পানিট্যাংকি বাজার দুলাল জোত হয়ে ডাঙ্গরভিটা পর্যন্ত চলে রোড শো। প্রচারে জিপের সামনে ছিলেন দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামা। সন্ধ্যায় রথখোলা মোড় অরূপ বিশ্বাসের রোড শো রয়েছে। এদিন মন্ত্রী বলেন আমরা ১০০% নিশ্চিত দার্জিলিং আসলে আমরাই জিতবো।
মানুষ হাত তুলে রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে হাত নাড়ছেন, আশীর্বাদ করছেন, সনর্থন করেছেন যেভাবে তাতে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এবারে দার্জিলিং আসন আমরাই জিতবো। দার্জিলিং সিটে এবার ১০০% নিশ্চিত আমরা জিতবো বলে জানান তিনি। এদিকে শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়িতে পায়ে হেঁটে মিছিল করেন প্রার্থী গোপাল লামার প্রচারে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে টলি তারকা সোহম। এদিন ফাঁসিদেওয়া খড়িবাড়ি পর ভারত নেপাল সীমান্ত নকশালবাড়ি ব্লকে পায়ে হেঁটে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা চলে। শোভাযাত্রায় ছিলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের অভিভাবক তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, মহকুমার সভাধিপতি অরুণ ঘোষ। এলাকার মহিলা সমর্থকরা কালি, দূর্গার রূপে সুসজ্জিত ভাবে মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন। নকশালবাড়িতে পথ সভা হয়। পথ সভায় বিশাল জমায়েত হয়। প্রার্থীর হয়ে এই বিশাল জমায়েতে মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অরূপ বিশ্বাস কণ্ঠ জোরালো করে বলেন- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিব ঘরের স্কুলে যাওয়া ছেলে মেয়েটার কষ্ট বুঝেছে। আগে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে স্কুলের জামাটা ছিড়ে গেলে ছেলে বা মেয়েটাকে ইউনিফর্ম বানিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য থাকতো না অনেক বাবা মায়ের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই স্কুল যাওয়া ছেলে মেয়ে গুলিকে দুই সেট করে ইউনিফর্ম দিচ্ছে। পায়ের জুতো দিচ্ছে। স্কুলে যাওয়ার জন্য সবুজ সাথীর সাইকেল দিয়েছে। মন্ত্রী সিপিআইএমকে একহাত নিয়ে এদিনও মঞ্চ থেকে বলেন ইনক্লাব জিন্দাবাদ বলা সিপিএম গরিব ঘরের ছেলে মেয়েটার কান্না বোঝেনি। মেয়েদের শিক্ষা ও সার্বিক অগ্রগতির লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কন্যাশ্রী দিয়েছে যাতে বাবা মায়ের চিন্তা ছাড়াই এগিয়ে যেতে পারে বাংলার মেয়েরা। আবার বিবাহের সময় রূপশ্রীর অর্থ রয়েছে।বিজেপি-র বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও- শুধুই বিজ্ঞাপন। তিনি আম সাধারণের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন তাহলে বলুন আপনাদের কাকে চাই মমতা-কে না মোদিকে! সিদ্ধান্ত আপনাদের নিতে হবে। তিনি স্লোগান তুলে বলেন ভালো ছাড়া ক্ষতি নেই, দিদি ছাড়া গতি নেই। টলি তারকা সোহম চক্রবর্তী বলেন- আমি যে হারে সমর্থকদের ঢল মানুষের উচ্ছ্বাস দেখতে পাচ্ছি তাতে মনে হচ্ছে এটা প্রচার মিছিল নয় বিজয় মিছিল। ইতিমধ্যেই গোপাল লামার জয় নিশ্চিত করে দিয়েছে জনতা। এদিন শোভাযাত্রায় ধর্ম-বর্ণ সমন্বয়ের বার্তাও দেওয়া হয়। মঞ্চ থেকে ধর্ম বর্ণ সমন্বয় সৌভ্রাতৃত্ববোধের কথা উল্লেখ করেন টলি তারকা সোহম। তিনি বলেন বিজেপিকে ভোটের এক থেকে দুমাস আগে বাংলায় দেখা যায় ভোটটা একবার পেরিয়ে গেলে তাদের টিকিও বাংলায় দেখা যায় না।