শিলিগুড়িতে সাড়ম্বরের সঙ্গে রাজ্য দিবস ও বর্ষবরণ। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীগুলিকে একত্রিত করে নববর্ষ উদযাপনে মেতে ওঠে শহর।
শিলিগুড়ি। শিলিগুড়িতে সাড়ম্বরের সঙ্গে রাজ্য দিবস ও বর্ষবরণ। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীগুলিকে একত্রিত করে নববর্ষ উদযাপনে মেতে ওঠে শহর। শনিবার রাত থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল শহরের কেন্দ্রে বাঘাযতীন পার্কে প্রস্তুতি। রাস্তা জুড়ে আলপনার মধ্য দিয়ে শহরের চিত্রশিল্পীরা কলা সংস্কৃতিতে মেতে ওঠে। এদিন নববর্ষে রাজ্য দিবস উপলক্ষে বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। রাজ্য সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুভ সূচনা হয় বর্ণাঢ্য রংবাহারি এই অনুষ্ঠানের। কুলো, ধামসা, মাদল থেকে শুরু করে রসগোল্লা বোঝাই মাটির ভাঁড়ের প্রতীকি, পুরুলিয়ার ছো নাচের মুখোশ, পালকি বেয়ারা নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা শিলিগুড়ি পরিভ্রমন করে নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রেরণ করে।
সকাল ৮.৩০নাগাদ পদযাত্রা পায়ে পায়ে এগিয়ে শহরের সংস্কৃতি চর্চিত বাঘাযতীন পার্ক থেকে শিলিগুড়ি হিলকার্ট রোড ধরে আর ভিউ মোর পর্যন্ত এগিয়ে যায়। এসো হে বৈশাখ ও রবীন্দ্র সংগীতের সুরে পদযাত্রায় নাচে গানে বর্ষবরণে মেতে ওঠে শহরবাসী। কেউ রবিবার ছুটির দিনে আরমোড়া দিতে দিতেই ব্যালকনিতে ছুটে এসে দেখতে লাগেন। আবার কেউ ছোট খুদেদের গানের সুরের সঙ্গে গুনগুনিয়ে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পালকি, কুলো এসব আঙ্গুল ধরে চিনিয়ে দিতে লাগেন। স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের পাশাপাশি এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় প্রথমে সারিতে ছিল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা। আমি আর গৌতম দেব দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দিনটিকে বিশেষভাবে পালন করি। শুধুই বাণিজ্যিক শহর নয় শিলিগুড়ি কৃষ্টি সংস্কৃতির ভান্ডারকে আরও মেলে ধরার প্রচেষ্টা। বছরভর শহরের অন্যান্য পরিকাঠামো কত উন্নয়ন নাগরিক পরিষেবার পাশাপাশি এই ভূমির খৃষ্টির সংস্কৃতি চর্চাও একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে আমরা সংযুক্ত করেছি পুরসভার কাজের মধ্যে। এদিক নববর্ষ তথা রাজ্য দিবসের এই পদযাত্রায় শহরের শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী মহলের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।