শিলিগুড়ি শহরকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গ্রামীণ ব্লকের বিদ্যালয়। উচ্চমাধ্যমিক দশম স্থান অধিকার করে জেলার মুখ উজ্জ্বল করলো মৌসুমী পাল।

শিলিগুড়ি

শিলিগুড়ি শহরকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গ্রামীণ ব্লকের বিদ্যালয়। উচ্চমাধ্যমিক দশম স্থান অধিকার করে জেলার মুখ উজ্জ্বল করলো মৌসুমী পাল।

 

শিলিগুড়ি। শহরকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গ্রামীণ ব্লকের বিদ্যালয়। উচ্চমাধ্যমিক দশম স্থান অধিকার করে জেলার মুখ উজ্জ্বল করলো মৌসুমী পাল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েই আইন নিয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে বিচারপতি হওয়ার লক্ষ্য মৌসুমীর। শিলিগুড়ি শহর ছাড়িয়ে শিলিগুড়ি মহাকুমার ফাঁসিদেওয়ার প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকায় মুরালিগঞ্জ হাই স্কুলের ছাত্রী ৪৮৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধাতালিকায় দশম স্থান অধিকার করেছে।রাজ্যের মেধা তালিকায় মৌসুমী নাম প্রকাশ পেতেই চিতলঘাটা পোস্ট অফিস বিধান নগর ভুট্টাখালী এলাকাবাসী উল্লাসে ফেঁটে পড়ে। কলা বিভাগের ছাত্রী মৌসুমীর বিভিন্ন বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বাংলা-৯৬,ইংরেজী-১০০, ভূগোল-৯৮,ইতিহাস-৯৯, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে-৯৫। বৈকল্পিক এডুকেশনে বিষয়ে তার প্রাপ্ত নম্বর- ৮৩। ফল প্রকাশের পরই শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার তরফে ডিআই নিজে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তা তুলে দেয় কৃতি ছাত্রীর হাতে। বাবা গোকুল পালের পুরোনো ব্যাটারি কেনাবেচার ব্যবসা, মা অঞ্জনা পাল গৃহবধূ। মৌসুমী জানায়- ভালো ফল হবে তা আশা করেছিলাম তবে রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান করে নিতে পারব এতটা প্রত্যাশা করিনি। নিজের নাম মেধা তালিকায় জানতে পেরে হাত পা কাঁপতে শুরু করে। মাকে ফোন করে জানাই তাড়াতাড়ি বাড়ি এসো। বরাবরই ইংরেজি পছন্দের বিষয়। ইংরেজিতে ১০০ তে ১০০ পেয়ে খুশী ছাত্রী। পড়াশোনা জীবনের অত্যন্ত দরকারি সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই দিনে সাত থেকে আট ঘন্টা লেখাপড়া চালিয়ে গিয়েছে মেয়ে বলেই জানায় মা অঞ্জনা পাল। তিনি বলেন মেয়েকে কখনোই পড়াশুনোর কথা বলতে হয়নি, বর্তমান যুগের অন্যান্য ছেলে-মেয়েদের মত মোবাইলে আশক্তি একেবারেই নেই। নিজস্ব মোবাইল চাইনা কৃতি ছাত্রীর। অবসর সময়ে ছবি আঁকতে ভালোবাসি সে। অবসরে গল্পের বই, গান শুনেই সময় কাটে। ভবিষ্যতে বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন ঘটনা, আইনি জটিলতা গভীরভাবে ছাপ ফেলেছে কৃতি ছাত্রীর মনে তা থেকেই আইন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার আগ্রহ তৈরি হয়েছে ছাত্রীর।ছাত্রী জানায় আইনি বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে বিচারপতি হওয়ার লক্ষ্য। মায়ের ইচ্ছা আইনি বিষয় নিয়ে পড়াশুনো করি সেদিকেই এগোবো। উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে দশম এবং জেলায় প্রথম স্থান অর্জনকারী কৃতি ছাত্রী জানায় চারজন গৃহ শিক্ষক ছিল তবে তার সঙ্গে এই ফলাফলের পিছনে গ্রামীন এলাকার বুকে মডেল মুড়ালিগঞ্জ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামসুর আলম সহ প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বড় অবদান রয়েছে।প্রধান শিক্ষক শামসুর আলম জানান এই স্কুলটি গ্রামীন এলাকাতে হলেও মডেল স্কুলের স্থান পায়। কৃতী ছাত্রী মৌসুমী স্কুল ও এলাকার নাম উজ্জ্বল করেছে।

6 thoughts on “শিলিগুড়ি শহরকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গ্রামীণ ব্লকের বিদ্যালয়। উচ্চমাধ্যমিক দশম স্থান অধিকার করে জেলার মুখ উজ্জ্বল করলো মৌসুমী পাল।

  1. Pingback: clomid how much
  2. Pingback: canada cialis

Comments are closed.