সবসময় পাশে থাকে ভোট টা তাকেই দিয়েছি। বাংলার মেয়ে মমতার হাতকেই শক্ত করতে চান ষাটোর্ধ সুলতানা খাতুন, মিনতি বালাদের।
ডাব গ্রাম ফুলবাড়ী বিধানসভায় প্রথম দফায় একাধিক বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে ব্যর্থ ভাজপা।সেন্ট্রাল বাহিনী কিছু বুথে ভোট ইচ্ছাকৃত স্লো করার চেষ্টা করেছিল অভিযোগ গৌতম দেবের
শিলিগুড়ি। যে সবসময় পাশে থাকে ভোট টা তাকেই দিয়েছি। বাংলার মেয়ে মমতার হাতকেই শক্ত করতে চান ষাটোর্ধ সুলতানা খাতুন, মিনতি বালাদের। পায়ে সমস্যা নিয়েই ভোট কেন্দ্রে এসেছেন ফুলবাড়ি নিবাসী অসহায় প্রবীনা। পরিবারে কেউ নেই। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চলছে পায়ের চিকিৎসা। এদিন সে পায়ের সমস্যা নিয়েই জটিয়াখালি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট দিতে পৌছান প্রবীনা সুলতানা খাতুন। অনেক নির্বাচন দেখেছি। পায়ের সমস্যা নিয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে ভোট কেন্দ্র থেকে ফেরার পথে পেছন ফিরে তাঁকিয়ে থাকেন কিছুক্ষণ। জিজ্ঞেস করায় বললেন জীবনে অনেক ভোট দিয়েছি। বয়স যা হয়েছে আর ভোট দেওয়া হবে কিনা জানিনা! তবে মমতা-কেই এগিয়ে রাখতে চাই। এরপরই আক্ষেপের সুরে বলেন পরিবারে কেউ নেই। স্বামী মৃত্যু হয়েছে সে অনেক কাল আগে। ওই সরকারি বার্ধক্য ভাতায় আর সকলের সাহায্যে চলে যায়। ভিক্ষা বৃত্তি করতাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াতো আর কেউ ভাতা দেয়নি আগে। এখন ওই ভাতার আর সাহায্যের টাকায় চলে যায়। ওই পাড়ার তৃনমূল নেতা পঞ্চায়েত এরাই খোঁজ খবর নেয়। যারা সারা বছর পাশে থাকে, ভোটটা তো তাদের কেই দেবো। একই সুর মিনতি বলার গলায়। তার অবশ্য অভাবের সংসার হলেও ভরা পরিবার। তিনি নাতি নাতনি রয়েছে ছোট ছোট, আমি পার্থক্য ভাতা পাই,বাড়িতে ছেলের বউরা লক্ষী ভান্ডারের মাসে মাসে টাকা পাচ্ছে তাতে কিছুটা হলেই সংসারে কাজে লাগাতে পারছি। তাইএকমাত্ৰ দিদির হাতকেই শক্ত করতে এসেছি সকাল সকাল ভোট দিতে এসেছি। ৭০বছরের প্রবীণ শফিকুল জানায়-হইচই করলে হয়না। মানুষের পাশে থাকতে হয়। ভোটের প্রথম প্রহরেই জলপাইগুড়ি লোকসভা ক্ষেত্রের হাওয়া বলছে তৃণমূলের জয় এক প্রকার নিশ্চিত। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ীর ৫৫%বুথে এজেন্টই দিতে পারেনি বিজেপি। ফুলবাড়ী ২এর ৭০%বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে ব্যর্থ ঝান্ডা ধরা ভাজপা। শিলিগুড়ি ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ডাব গ্রাম থেকে ওয়াটার রুম খুলে কড়া নজরদারি রাখছেন সেনা প্রধানের ভূমিকায় মেয়র গৌতম দেব। সকাল থেকে প্ৰথম প্রহর ১২টা পর্যন্ত নজরদারিতে ডাবর আম ফুল বাড়ি বিধানসভা ক্ষেত্র থেকে দশটি অভিযোগ এসে পৌঁছেছে তৃণমূলের ওয়ার রুমে। গৌতম দেব বলেন সমস্ত অভিযোগ ইলেকশন কমিশনের নিযুক্ত আধিকারিকদের জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ডাবগ্রাম ফুলবাড়ী বিধানসভা ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় অভিযোগ তোলেন মেয়র গৌতম দেব-সেন্ট্রাল বাহিনী কিছু বুথে ভোট ইচ্ছাকৃত স্লো করার চেষ্টা করেছিল। যেগুলো তৃনমূল গড় এলাকা সেখানে। হার নিশ্চিত জেরে চতুরাগছে গোষ্ঠীক্ষণ দলের অফিসে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনাকে
তৃণমূলের ঘায়ের দায় চাপানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। সে বিষয়ে গৌতম দেব বলেন নির্বাচনের বুথ আগুনে পুড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই। ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে তো নির্বাচন হচ্ছে না সেখানেও তাদের একটি বুথে আগুন ধরেছে বলে জানতে পেরেছি।