হাই ডায়াবেটিক,শারীরিক অসুস্থ্য বিএলও -র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার পথে নির্বাচন কমিশন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএলও বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে হেনস্থা জেলা নির্বাচন কমিশনের।আগাম শারীরিক অসুস্থ্যতার কথা জানবার পরও কাজে অনুপস্থিতির কারনে নির্বাচন কমিশনের কঠোর শাস্তির মুখে চূড়ান্ত অসহায় স্কুল শিক্ষক বিএলও
শিলিগুড়ি। হাই ডায়াবেটিক,শারীরিক অসুস্থ্য বিএলও -র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার পথে নির্বাচন কমিশন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএলও বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে হেনস্থা জেলা নির্বাচন কমিশনের। আগাম শারীরিক অসুস্থ্যতার কথা জানবার পরও কাজে অনুপস্থিতির কারনে নির্বাচন কমিশনের কঠোর শাস্তির মুখে চূড়ান্ত অসহায় স্কুল শিক্ষক বিএলও। নির্বাচন কমিশনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে তাই পুলিশকেও নিয়ম মেনে ব্যবস্থা নিতে হন।বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২২নম্বর ওয়ার্ডে রবীন্দ্রনগর এলাকায় পৌঁছলো পুলিশের গাড়ি। চারিদিকে নির্বাচন কমিশনের খাতায় অভিযুক্ত ঠাহুরে দেওয়া স্কুল শিক্ষক মিলন কুমার দাস এর খোঁজ করতেই প্রতিবেশিরা বিস্মিত। বাড়িতে পৌছে পুলিশ জানতে পারেন স্কুল শিক্ষক বাড়িতে নেই। পরিজনে প্রতিবেশিরা আশীঘর ফাঁড়ির পুলিশকে জানায় মাস্টার মশাই অসুস্থ্য। অসুস্থ্য মাস্টার মশাই কি এমন করেছেন তাকে নিতে পুলিশ! পুলিশও সবটা বুঝতে পরও নিরুত্তর। আসলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্কুল শিক্ষক ২২নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিলন কুমার দাস নির্বাচন কমিশনের বিএলও। ২৪১নম্বর বুথ দেবাশীষ কলোনির বিএলও -র কার্যভার রয়েছে জগদীশচন্দ্র বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ের এই শিক্ষকের।
প্রশিক্ষণের আগে থেকেই কর্তৃপক্ষকে নিজ শারীরিক অসুস্থ্যতার কথা জানিয়ে ছিলেন শিক্ষক। কিন্ত নির্বাচনী আধিকারিকেরা সেসব মানতে নারাজ। তার হাই ডায়াবেটিস ও অন্যান্য শারীরিক অসুস্থ্যতা রয়েছে। বছরের বেশিরভাগ সময় অসুস্থ্য থাকেন সেকথাও জানান আগাম শিক্ষক। শারীরিক এই জটিল অসুস্থ্যতার কথা জানিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিএলও -র কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার আবেদন মানা হয়নি। তাকে ২৪২নম্বর বুথে দেবাশীষ কলোনির দায়িত্বে দেওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার কারনে ৪ঠা নভেম্বর ও ৫ই নভেম্বর কাজে যোগ দিতে পারেননি শিক্ষক। আর এতেই গড় হাজিরের দায় কড়া নির্বাচন কমিশনের তরফে আইনানুগ ব্যবস্থা বেছে নেয়। মোবাইল নম্বরে না মেলায় সরাসরি পুলিশের কাজে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে।
যদিও পরিবার ও শিক্ষকের সাফ বক্তব্য অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আগে জানানো হয় তা সত্ত্বেও যদি পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় তো যাবে। আর কি করা যাবে!পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে কমিশনের অভিযোগ মতো শিক্ষকের বাড়িতে খোঁজ নিতে পৌঁছয় পুলিশ। তার অসুস্থ্যতার বিষয় জানানো হবে।



