আচমকা ট্রেনে এসে পড়ায় বেঘোরে প্রাণ গেলো শিশু সহ তিনজনের।শিলিগুড়ির অদূরে সাহুডাঙ্গী রেল ব্রিজ থেকে  পড়ে যায় পরপর কাগজ কুড়োনি দুই মহিলা ও এক নাবালিকা শিশুর

আচমকা ট্রেনে এসে পড়ায় বেঘোরে প্রাণ গেলো শিশু সহ তিনজনের।শিলিগুড়ির অদূরে সাহুডাঙ্গী রেল ব্রিজ থেকে পড়ে যায় পরপর কাগজ কুড়োনি দুই মহিলা ও এক নাবালিকা শিশু। খবর লেখা পর্যন্ত তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় স্তম্ভিত শিলিগুড়ি। জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩.৩০- ৪টা নাগাদ কাগজ কুড়োনি দুই মহিলা এক শিশুকে সঙ্গে নিয়ে সাহুডাঙি রেল সেতুর ওপর চলে যায়। একটি এক্সপ্রেস ট্রেন ওই লাইন দিয়ে যাওয়ার পরই তারা সেখানে যায়। তবে আচমকা সেসময় একটি মালবাহী গাড়ি চলে আসে সেতুর ওপর আপার লাইনে। এরপরই রেল সেতু থেকে শিশুটি সহ তিনজন পরপর পড়ে যায়। সেতুর স্তম্ভের নীচের ভিত্তি প্রস্থর ওপর গিয়ে পড়ে শিশুটির তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয়। অপর দুই মহিলা প্রথমে সেতু থেকে ভিত্তি প্রস্থরের ওপর পড়ে সেখান থেকে গড়িয়ে পড়ে যায় নদীতে। তিনজনেরই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। তবে ট্রেনের ধাক্কায় সেতু থেকে নিচে পড়েছিল তিনজন নাকি ট্রেন এসে পড়ায় প্রাণ বাঁচাতেই মরণ ঝাঁপ দেয় সেতু থেকে তারা সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। যদিও স্থানীয়দের বক্তব্য এক্সপ্রেস ট্রেনটি কিছুক্ষণ আগেই পেড়িয়ে যায়। কোনো সিগন্যাল ছিল না ফলে তিনজন কাগজ কুড়োতে ওই সেতুর ওপর চলে যায়। আচমকা মালবাহী একটি ট্রেন অপার লাইনে ছুটে আসে। সেসময় কোনো দিকেই যাওয়ার উপায় ছিল না তাদের। ট্রেনের কাঁটায় মৃত্যুর হাত থেকে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টায় সেতু থেকে ঝাঁপ দেয় শিশুটিকে নিয়ে তারা। শিশুটি সেতু থেকে সোজা ব্রিজের পিলারে নিচে ক্রঙকীটের ওপর পড়ে মৃত্যু হয়। মহিলা দুজন পিলারে পড়ে পরে নদীতে পড়ে। মহিলার কিছুক্ষন বেঁচে ছিল। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই তিনজনের মৃত্যু হয়। তারা এনজেপি থেকে আমবাড়ি পর্যন্ত কাগজ কুড়োয়। এদিও পেটের টানে কাগজ কুড়োতে এসেছিল।তবে ওই এলাকার বাসিন্দা নয় তারা। অন্যদিকে ঘটনার পরই রেল পুলিশ ও এনজেপি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। দেহটি তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের এসিপি ইস্ট শুভেন্দু কুমার জানান মৃত দেহ তিনটি রেলের সেতু থেকে নিচে পিলার ও নদীতে পড়ায় বিষয়টি পুলিশের আয়তাধীন। তবে কোনো ভাবে ট্রেনের আঘাতে প্রাপ্ত হয়েছিল কিনা তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেকের কাছে ওই মালবাহী গাড়ির লক বুক চাওয়া হয়েছে। যদি ট্রেনে কাটা বা আঘাতের ঘটনা থাকে তাহলে নিয়ম অনুযায়ী লক বুকে নথিভুক্ত থাকা উচিৎ। মালবাহী গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ করে চালকের গাড়ি থামানোর মতো উপায় ছিল কিনা সেসব রেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের অনুমান ওই তিনজন এনজেপি এলাকার বাসিন্দা। এদিকে ঘটনাটি পুলিশের আওতাধীন বলেই দায় এড়ান রেল পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিক জশপ্রীত সিংহ।

 

 

 

 

You cannot copy content of this page