শিলিগুড়ি

ভাষার ঐতিহ্য রক্ষা আমাদের অঙ্গীকার থিমকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় বই মেলায় রাজ্য জনশিক্ষা প্রসার বিভাগ ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দপ্তরের

ভাষার ঐতিহ্য রক্ষা আমাদের অঙ্গীকার থিমকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় বই মেলায় আয়োজন রাজ্য জনশিক্ষা প্রসার বিভাগ ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দপ্তরের।বিগত বছরের আয়ের অংক টপকে বই মেলায় ২৫লাখ টাকার বেশি বই বিক্রির টার্গেট। বই ক্রয়ে বরাদ্দ বৃদ্ধির ঘোষণা গ্রামীণ শহর ও জেলা লাইব্রেরীগুলির। স্থানিয় ভাষা লোক সংস্কৃতির প্রসারে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে লিটিল ম্যাগাজিনের জন্য নিঃশুল্ক স্টল। দেশদ্রোহিতা, সংহতি বিনষ্টকারী, জাতিবিদ্বেষ, গণতন্ত্র বিরোধী বই বিক্রির উপর থাকছে নিষেধাজ্ঞা।

শিলিগুড়ি। ভাষার ঐতিহ্য রক্ষা আমাদের অঙ্গীকার থিমকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় বই মেলায় আয়োজন রাজ্য জনশিক্ষা প্রসার বিভাগ ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দপ্তরের।
বিগত বছরের আয়ের অংক টপকে বই মেলায় ২৫লাখ টাকার বেশি বই বিক্রির টার্গেট। বই ক্রয়ে বরাদ্দ বৃদ্ধির ঘোষণা গ্রামীণ শহর ও জেলা লাইব্রেরীগুলির। স্থানিয় ভাষা লোক সংস্কৃতির প্রসারে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে লিটিল ম্যাগাজিনের জন্য নিঃশুল্ক স্টল। দেশদ্রোহিতা, সংহতি বিনষ্টকারী, জাতিবিদ্বেষ, গণতন্ত্র বিরোধী বই বিক্রির উপর থাকছে নিষেধাজ্ঞা। নম্ভেবর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে চলেছে বইমেলা। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি মহকুমা সহ উত্তরবঙ্গের ছয় জেলাকে নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিলুল্লাহ চৌধুরী। তিনি উত্তরবঙ্গে নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই জেলায় জেলায় বইমেলা আয়োজনের ঘোষণা করেন। এদিন উত্তরের দার্জিলিং, কালিম্পঙ, জলপাইগুড়ি,আলিপুরদুয়ার,কোচবিহার জেলা ও শিলিগুড়ি মহকুমা ডিএলও, এডিএলও,এসএমপিএ,ডিএমইইওএস -দের নিয়ে বৈঠক করেন বিভাগীয় মন্ত্রী। মন্ত্ৰী বলেন স্থানীয় ও লোক সংস্কৃতির উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে।বাংলার সঙ্গে হিন্দি,উর্দু,নেপালি, সাঁওতালি ভাষার বইগুলিকে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে। স্টল বন্টনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাষাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে দশ শতাংশ বরাদ্দ থাকবে। এদিন সংবাদমাধ্যমকে মন্ত্রী পরিষ্কার জানান কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের বই বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা থাকছে। এ ধরনের প্রকাশনা সংস্থাকে স্টল প্রদান করা হবে না। দেশদ্রোহিতা, সংহতি বিনষ্টকারী, জাতিবিদ্বেষ, গণতন্ত্র বিরোধী বই বিক্রী করা হবেনা মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা সংস্থ্যাগুলিকে তা পরিষ্কার জানাতে হবে। তেমন কিছু নজরে এলে কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেবে। পড়ুয়া অধ্যাপকদের নিয়ে চলবে শিক্ষার প্রসার মনোজ্ঞ আলোচনাসভা। জেলার লোক সংস্কৃতি নাচ গান বিভিন্ন পরিবেশনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে। অন্যদিকে বই মেলা থেকে বই ক্রয় বাবদ গ্রামীণ শহর ও জেলার গ্রন্থাগার গুলির অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। এদিন মন্ত্রী জানান গ্রামীণ গ্রন্থাগারের ক্ষেত্রে ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮হাজার টাকা করা হয়েছে। শহরে ২০হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে২৫হাজার,জেলায় ৪০থেকে ৪৫হাজার টাকা করা হবে। বিগত বছর সর্বোচ্চ বই মেলা থেকে আয়ের রেকর্ড করে মালদা জেলা ১ কোটি ৯৩লক্ষ ১১হাজার ২০২, মুর্শিদাবাদ ১ কোটি ৩৮লক্ষ দার্জিলিং ১০কোটি ৩৪লাখ ও কালিম্পঙ ১০লক্ষ টাকা। দার্জিলিঙ গোর্খা রঙ্গমঞ্চে মল রোডে ২৪শে নভেম্বর থেকে ২৭শে নভেম্বর পর্যন্ত বই মেলা চলবে। শিলিগুড়ি মহকুমায় বাঘাযতীন পার্কে ২৫শে ডিসেম্বর থেকে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বই মেলা আয়োজনের ঘোষণা করা হয়েছে।