ভিন রাজ্য বিহারের মেডিকেল কলেজে ভর্তির নামে ছাত্রীর কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকার আর্থিক তছরূপ। শিলিগুড়ি থেকে অভিযুক্ত সাইবার প্রতারককে গ্রেপ্তার করলো লালবাজার সাইবার থানার পুলিশ।
শিলিগুড়ি: ভিন রাজ্য বিহারের মেডিকেল কলেজে ভর্তির নামে ছাত্রীকে কয়েক লক্ষ টাকার আর্থিক প্রতারনা। অনলাইনেই প্রতারনার জাল। শিলিগুড়ি থেকে অভিযুক্ত সাইবার প্রতারককে গ্রেপ্তার করলো লালবাজার সাইবার থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে পেশ করা হবে কলকাতা সিএমএম আদালতে। অভিযুক্তের নাম সুমন্ত্র গুপ্ত। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা লালবাজার সাইবার থানার মহিলা অফিসার সহ তিন সদস্যের টিম শিলিগুড়ি মিলনপল্লী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ধৃতকে। শুক্রবার ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করে দুদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান সরকারি আইনজীবী সুদীপ রায় বাসুনিয়া। ধৃতের নামে কলকাতার একাধিক থানায় সাইবার প্রতারনার মামলা রয়েছে। কয়েক বছর ধরেই ধৃতের সন্ধান চালাচ্ছিল লালবাজার থানার পুলিশ। কোভিড সময়কে কাজে লাগিয়েই কিশানগঞ্জ মাতা গুরুজী মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজে ভর্তির নামে অনলাইনে প্রতারনার জাল বিস্তার করে চিকিৎসক পুত্র সুমন্ত্র। কলকাতার নিবাসী এক ছাত্রীকে কিশানগঞ্জের ওই মেডিকেল কলেজে ভর্তির নাম করে অনলাইনের তিন লক্ষ টাকা আদায় করে। ওই কলেজের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি থেকে কলেজের প্রতীক ও দপ্তরিয় শীলমোহর জাল করে অভিযুক্ত ভর্তির ভুয়ো নথি ও কলেজের আইডি কার্ড অনলাইনেই ছাত্রীকে দেয়। শিলিগুড়ি আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে পরবর্তীতে ছাত্রী সশরীরে কিশান্গঞ্জ এর ওই মেডিকেল কলেজে হাজির হতেই ভুয়ো চক্রের বিষয়টি সামনে আসে। ওই কলেজে ভর্তির খাতায় নামই নেই তার। ছাত্রীর অভিভাবক লালবাজার থানায় ছাত্রীর অভিযোগ দায়ের করে। শিলিগুড়ি আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে কলকাতার একাধিক থানায় অনলাইন প্রতারনা সংক্রান্ত মামলা রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। লালবাজার সাইবার তদন্তকারী থানার ওয়ানটেন্ড তালিকায় নাম রয়েছে অভিযুক্তের।
বেশ কিছুদিন ধরেই কুখ্যাতের সন্ধানে ছিল পুলিশ। সম্প্রতি অভিযুক্ত শিলিগুড়িতে গাঁ ঢাকে দেয় । তার গতিবিধির বিষয়ে লালাবাজর সাইবার থানার কাছে খবর পৌঁছতেই বৃহস্পতিবার রাতে লালবাজার থানার সাইবার বিভাগের তিন সদস্যের পুলিশ টিম শিলিগুড়ি থানার সহায়তায় শহরের মিলনপল্লী চিল্ড্রেন পার্ক এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালত দুদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে ৪ঠা সেপ্টেম্বরের মধ্যে অভিযুক্তকে কলকাতা সিএমএম আদালতে পেশের নির্দেশ দেয় বলে জানান সরকারি আইনজীবী সুদীপ রায় বাসুনিয়া। ধৃতের বিরুদ্ধে ৬৬/৬৬ আইটি এক্ট সহ ৪২০,৪৭১,৪৬৫,৪৬৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।