🔺শিলিগুড়িতে ব্যবসায়ী অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার মাস্টার মাইন্ড। ধৃত অপহৃত ব্যাবসায়ীর পূর্ব পরিচিত বন্ধুসুলভ। ব্যবসায়ীক লেনদেনে সংক্রান্ত ঝামেলা থেকে মোটা টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যেই অপহরণ
শিলিগুড়ি। শিলিগুড়িতে ব্যবসায়ী অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার মাস্টার মাইন্ড। ব্যাবসায়িক ও টাকা পয়সা সংক্রান্ত লেনদেন ঘিরেই রেগুলেটেড মার্কেটের ব্যবসায়িকে অপহরনের ছক কষে মূল অভিযুক্ত মহম্মদ রাজ (৩৪)। শিলিগুড়ি শালুগাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ রাজ ব্যবসায়িকে অপহরনের ছক কষে। পুলিশ সূত্রের খবর রাজ-ই মোটা টাকা দিয়ে ধৃত কৈলাস শা ও রাকেশ তামাংকে অপহরনের কাজে লাগায়। জওগায় থেকে ধৃত কৈলাস ও রাকেশের-এর মোবাইল সিবিআর ঘেঁটেই মূল অভিযুক্তর সন্ধান পায় পুলিশ। মূল অভিযুক্ত রাজ অপহরণের পর ব্যবসায়ীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে কয়েক কোটি টাকা মুক্তিপন চেয়ে ফোন করেছিল অপহৃতের পরিবারকে। শনিবার তদন্ত কারী টিম মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
তার বিরুদ্ধে অপহরণ করে আটকে রেখে প্রাণনাশের হুমকি এবং মুক্তিপণ চাওয়ার প্রমাণ এসেছে পুলিশের হাতে। ৩৬৪ (এ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করে প্রধাননগর থানার পুলিশ অপহরণ মামলার মাস্টারমাইন্ড অভিযুক্ত মহম্মদ রাজকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।মহম্মদ রাজ শিলিগুড়ির জমির কারবারি। এছাড়াও রেগুলেটেড মার্কেট সংক্রান্ত একাধিক ব্যবসা রয়েছে তার। রেগুলেটেড মার্কেটে ব্যবসায়ী অপহৃত প্রভাকর সিংহের সঙ্গে পূর্ব পরিচিত। পরিচিত বন্ধুসুলভ সম্পর্ক ছিল প্রভাকর এবং রাজের মধ্যে। ব্যবসা সংক্রান্ত টাকা পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করেই ঝামেলার জট বাঁধে।টাকার লেনদেন সেই জট ধরেই ব্যবসায়ীকে অপহরনের ছক কষে মহম্মদ রাজ। নিজে আড়াল থেকে নির্দেশিকা দিয়ে পেশাদার অপরাধীদের দিয়ে পুরো অপারেশন চালায় সে। উল্লেখ্য গত ২৪ শে জুন শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৬নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রভাকর সিংহকে বাড়ি থেকে দশ কদম দূরত্বে চম্পাসরী রোড থেকে অপহরন করা হয়। পরিবারের অভিযোগ আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে অপহরন করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীকে। ২২ঘন্টা পর রহস্যজনকভাবে নিজে বাড়ি ফিরে আসে ব্যবসায়ী। পুলিশ তদন্তে প্রথমে অপহরণে ব্যবহৃত গাড়ীটিকে উদ্ধার করে।
এরপরই গাড়ির চালক জাভেদ শেখকে ডুয়ার্স চালসার মেটেলি থেকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করেই অপহরন কারী রাকেশ ও কৈলাসকে ভারত ভুটান সীমান্ত জয়গাঁও থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কৈলাস ও রাকেশ আদতে পেশাদার অপরাধচক্রের যুক্ত জানতে পারে পুলিশ। মোটা টাকার বিনিময়ে মাস্টারমাইন্ডের নির্দেশে পুরো অপারেশন চালিয়েছিল তারা। তাদের জেরা করেই উঠে আসে মূল অভিযুক্ত মহম্মদ রাজের নাম। রাজ ফোনের মাধ্যমে ব্যবসায়িক তথ্য ও গোটা অপারেশনের নির্দেশ দেয়। কৈলাস এবং রাকেশ দুজনের মোবাইলের সিভিআর ঘেঁটে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকদের টিম মহাম্মদ রাজের বিষয়ে জানতে পারে। দেখা গিয়েছে ক্রমাগত ওই তিনদিনে একাধিক যোগাযোগ হয়েছে তাদের। রাজই কয়েক কোটি টাকা মুক্তিপন চেয়ে ফোন করেছিল প্রভাকর সিংহের পরিবারকে বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে রবিবার আদালতে পেশ করা হলে অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী রাহুল মোহন্ত-এর যদিও দাবি রাজের সরাসরি ঘটনায় জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই পুলিশের কাছে। জমি কারবারর পাশাপাশি একাধিক ব্যবসা রয়েছে তার,সে সুবাদে ফোনে কারো সঙ্গে কথা হতেই পারে। এটাই যথেষ্ট প্রমান নয়।