🔺দলীয় শৃঙ্খলা লংঘনের দায়ে রেগুলেটেড মার্কেটে আইএনটিটিইউসির প্রভাব খাটানো নেতা উমা শঙ্করকে বহিষ্কার। জেলা কমিটি থেকে নাম কাটা পড়লো উমা শঙ্করের। ছয় বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
শিলিগুড়ি। দলীয় শৃঙ্খলা লংঘনের দায়ে রেগুলেটেড মার্কেটে আইএনটিটিইউসির প্রভাব খাটানো নেতা উমা শঙ্করকে বহিষ্কার করলো আইএনটিটিইউসি । জেলা কমিটি থেকে নাম কাটা হলো উমা শঙ্করের। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি থেকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘনকারী উমা শঙ্করকে। শিলিগুড়ির নিয়ন্ত্রিত বাজার সম্প্রতি বারবার রাজনৈতিক ঝামেলা অশান্তি বিক্ষোভ খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে শিলিগুড়িতে নিয়ন্ত্রিত বাজারে তৃণমূলের নামে দাদাগিরি চালিয়ে যাচ্ছিল উমা শঙ্কর। পদে না থাকার পরও বাজার কমিটির সম্পাদক হিসেবে নিজ পরিচয় দিয়ে শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করছিলেন বলে, অভিযোগ জেলা কমিটির। সম্প্রতি শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারে দার্জিলিং জেলা আইএনটিটিইউসির নেতৃত্বদের বিরুদ্ধাচারণ, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে বারংবার তার বিরুদ্ধে। শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা তো নাম জড়িয়ে পড়ে উমাশঙ্করের। এমনকি এক শ্রমিকের ওপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ ওঠে উমাশঙ্করের ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সে বিষয়ে আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি হস্তক্ষেপ করলে সভাপতি নিৰ্জল দের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ তোলেন উমা শঙ্কর। জেলা তৃনমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষের বিরুদ্ধেও বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। দার্জিলিং জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি নিৰ্জল দে অনৈতিক কার্যকলাপ চালাচ্ছেন বলে দাবি উমা শঙ্করের। পদের নামে অনৈতিক লেনদেন ও গতিবিধি চালানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি, এরপর থেকে আইনএনটিটিইউসির দুই গোষ্ঠীর তরফে বাজারে শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করে বিক্ষোভ ধর্নাও অব্যাহত। আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি নিৰ্জল দে বলেন দলীয় শৃঙ্খলালঙ্ঘনের দায়ে জেলা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে আইএনটিটিইউসি জেলা কমিটি থেকে উমা শঙ্করের নাম বাতিল করা হয়েছে। শুধু তাই নয় জেলা কমিটির সিদ্ধান্তে ছয় বছরের জন্য আইএনটিটিইউসি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাকে। তিনি বলেন সংগঠনের উর্দ্ধে কেউ নয়। পাশাপাশি দার্জিলিং জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি নির্জল দের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলায় ব্যক্তিগতভাবে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্জল দে বলেন তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন তাই ব্যক্তিগতভাবে উমাশংকরের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছি। অন্যদিকে উমাশঙ্করের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি দার্জিলিং জেলা তৃণমূল। এই পুরো বিষয়ে তৃণমূল জেলা আইএনটিটিইউটি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা উমাশঙ্কর বলেন- আমার কাছে কোন শোকজ এর চিঠি পাঠানো হয়নি। কোন কাগজ আসেনি। আমি এই সমস্ত বিষয়ে কিছুই জানিনা। ও পদে বসে নিজ মর্জি খাটিয়ে চালাচ্ছে। মানহানির মামলা নিয়ে তার মন্তব্য ও আমার নামে বলেছে আমিও ওর নামে করবো।