উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চালু হতে চলেছে কক্লিয়ার
ইমপ্ল্যান্টন্ট সার্জারি। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শ্রবণ শক্তির আধুনিক চিকিৎসায়ও মনোনিবেশ করছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ইএনটি বিভাগ।
শিলিগুড়ি। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চালু হতে চলেছে কক্লিয়ার
ইমপ্ল্যান্টন্ট সার্জারি। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শ্রবণ শক্তির আধুনিক চিকিৎসায়ও মনোনিবেশ করছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ইএনটি বিভাগ। বুধবার ওয়াল্ড হেয়ারিং ডে উপলক্ষে মেডিকেল ইএনটি বিভাগ ওটোল্যারিঙ্গোলজিস্ট বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেখানে নাক কান গলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের উপস্থিতি ইএনটি বিভাগকে কিভাবে আরো আধুনিকীকরণ ও উন্নতকরণ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা চলে।
ইএনটি বিভাগীয় প্রধান ইএনটি ও হেড নেক সার্জারির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ রাধে শ্যাম মাহাতো জানান- কিছু সচেতন পদক্ষেপ নিলে ভয়ংকর শ্রবণ শক্তিহীনতা থেকে রক্ষার উপায় মিলবে। পাশাপাশি তিনি কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি চালুর পরিকল্পনা চলছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে বিষয়ে জানান। মেডিকেলে দ্রুত সেই পরিষেবা মিলবে সে মতোই কাজ চলছে বলে জানান তিনি।মূলত গুরুতর শ্রবণশক্তি হ্রাসে ভুগছেন সে সমস্ত রুগীদের ক্ষেত্রে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা আংশিকভাবে শ্রবণশক্তি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে তা কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট বলা হয়। কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের দুটি প্রধান উপাদান রয়েছে।এরমধ্যে একটি বাহ্যিক প্রসেসর এবং একটি অভ্যন্তরীণ ইমপ্লান্ট। বাহ্যিক প্রসেসর পরিবেশ থেকে শব্দ সংগ্ৰহ করে এবং তা ডিজিটাল সিগন্যালে রূপান্তর করে। এই সংকেতগুলি একটি চুম্বক এবং মাথা বা কানের অংশের ত্বকে রাখা একটি আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ইমপ্লান্টে প্রেরণ করা হয়। ইমপ্লান্টের ইলেক্ট্রোড অস্ত্রোপচার করে কক্লিয়ার মধ্যে ঢোকানো হয়, শ্রবণ স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে এবং মস্তিষ্কে সংকেত প্রেরণ করে। মস্তিষ্ক এই সংকেতগুলিকে শব্দ হিসাবে ব্যাখ্যা করে, যাতে রুগী সফল ভাবে কথা বক্তব্য এবং পরিবেশগত যাবতীয় শব্দগুলি উপলব্ধি করতে পারে।
যেকোনো বক্তব্য বুঝতে সক্ষম হয়ে ওঠে। এই বিষয়ে ইএনটি বিভাগীয় প্রধান ডাঃ রাধে শ্যাম মাহাতো জানান ডাক্তারি পড়ুয়াদের এই বিষয়গুলি নিয়ে বোঝানো হয়েছে। এদিনের মেডিকেলের ডিন উপস্থিত ছিলেন। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত আলোচনায় জানিয়েছেন এই পরিষেবা দ্রুত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চালু করতে যে যে সহায়তা গুলি প্রয়োজন তার সমস্তটা মেডিকেলের তরফে প্রদান করার বিষয় উদ্যোগী হবেন তিনি বলেই উল্লেখ্য করেছেন ইএনটি বিভাগীয় প্রধান।