চাকরির নেপথ্যেই কি রয়েছে কংগ্রেস বিধায়কের অনৈতিক প্রভাব? সিবিআই তদন্তের নির্দেশে পরই অভিযুক্ত শিক্ষিকা শান্তা মন্ডলের আচমকা উত্থান প্রতিপত্তির পেছনের সমীকরন মেলাচ্ছেন শিলিগুড়ি দেশবন্ধু পাড়ার বাসিন্দারা। শান্তা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলছে যোগসূত্র। শিক্ষিকার অনৈতিক চাকরির জন্য তৃনমূল নয় প্রাক্তণ কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার এর সুপারিশের চিঠি পাঠান তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। কার্যত দু দিন গৃহবন্ধি রয়েছেন শান্তা মন্ডল। হাইককোর্টের নির্দেশের পরও বীরপাড়া স্কুলে যোগ দেননি তিনি।

 

শিলিগুড়ি শ্রী গুরু বিদ্যা মন্দিরের প্রধান শিক্ষিকা শান্তা মন্ডলের সম্পূর্ণ অনৈতিভাবে একাধিক বার বদলির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশে দেয় হাইকোর্টের জলাপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। হাইকোর্টের জলাপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা শান্তা মণ্ডলের শিলিগুড়ি শ্রী গুরু বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষিকা পদে রয়েছেন বলে জানায়।যা সম্পূর্ণ বেআইনী। শুক্রবারের মধ্যেই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকাকে তার পূর্বতন বীরপাড়া স্কুলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। শুক্রবার ৫ই আগস্টের মধ্যে যোগ না দিলে চাকুরির নিয়ম বিধি লঙ্ঘন হবে। তবে তারপরও নিরুত্তাপ ভাবেই আদালতের নির্দেশে অমান্য করে পুরোনো পদে এদিন বীরপাড়া হাইস্কুলে যোগদান করলেন না অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা। শুক্রবার শিলিগুড়ি তার দেশবন্ধু পাড়ার বাড়িতে সিবিআইয়ের কর্তারা এসে টেনে বের করবেন প্রধান শিক্ষিকাকে সে নিয়ে উৎসুকতা ছিল প্রতিবেশীদের মধ্যে। তবে কলাপসিবল গেট লাগিয়ে ঘর বন্দি হয়ে ছিলেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার পরিবারের সদস্যরা।

কংগ্রেস করেন অভিযুক্ত ও তার ভাই। নকশালবাড়ির প্রাক্তণ কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকারের সঙ্গে অত্যন্ত সু সম্পর্ক তার। সে প্রভাবে খাটিয়েই কি আইন বহির্ভূত ভাবে পাঁচ বছরের কম সময়তে তিনবার বদলি শিক্ষিকার? কারন শিলিগুড়ি শ্রীগুরু বিদ্যা মন্দিরের মামলাকারী সহকারী প্ৰধান শিক্ষক প্রসন্নসুন্দর তরফদার জানাচ্ছেন গত বছরের নভেম্বর মাসে শিক্ষিকার বারংবার অনৈতিকভাবে বদলির অভিযোগ দাখিল করে মামলা করেন তিনি। তার আইনজীবী একরামুল বাড়ি জানান দক্ষিণ দিনাজপুরে কিছুদিন চাকরির পর ২০১৬ সালে শিলিগুড়ির শ্রী গুরু বিদ্যামন্দিরে সহকারি প্রধান শিক্ষিকা পদে কাজে যোগ দেন। এরপর ২০১৯সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রধান শিক্ষিকা পদের পরীক্ষায় দিয়ে লিয়েন নিয়ে বীরপাড়া স্কুলে প্রধান শিক্ষিকার পদে যান। পরবর্তীতে কিছুদিনের মধ্যেই ফের শিলিগুড়ির অমিয় পাল চৌধুরী স্মৃতি বিদ্যালয় ফের বদলি নেন। তবে সেখানে যোগ না দিয়েই ফের স্কুল শিক্ষা কমিশনে বদলির জন্য দরখাস্ত করেন। এরপরই শ্রী গুরু বিদ্যামন্দিরে প্রধান শিক্ষিকা পদে নিয়োগ পত্র হাতে হাজির হন তিনি। আর এতেই ঘন ঘন সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে বদলির বিষয়টি সামনে আসে। দু বছরে তিনবার বদলি হয় শিক্ষিকার। শ্রী গুরু বিদ্যামন্দিরে অনৈতিক ভাবে জন্য বদলির শঙ্কর মালাকার তৎকালীন  শিক্ষা মন্ত্রিকে বিধায়ক লেটার হেডে সুপারিশের চিঠি পাঠান। এমনকি ঘনিষ্ঠ শিক্ষিকার বদলির বিষয়টি বিধানসভাতেও উত্থাপিত করেন।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন বরাবরই শান্তা দেবী প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতেন। আচমকায় চাকরি পেয়ে যান। যার জেরেই চাকুরীর নিয়োগের ক্ষেত্রেও অস্বচ্ছতার প্রশ্ন উঠছে? অনৈতিক ভাবে একাধিকবার বদলির পর স্কুলে রীতিমতো অন্যান্য শিক্ষিকাদের বদলির ভয় দেখিয়ে প্রভাব খাটাতেন প্রাক্তণ এই কংগ্রেস নেত্রী তথা কংগ্রেস বিধায়ক ঘনিষ্ঠ এই শিক্ষিকা।

 

You cannot copy content of this page