সচেতনতায় গলদ রেখে চললো অমৃত মহৎসবের নামে নেশা সামগ্রীর পোড়ানোর কাজ।নেই মাস্কের বালাই হুঁ হুঁ করে নাকে মুখে ঢুকে পড়ছে তপ্ত আঁচে গাঁজা ও নেশা সামগ্রী পোড়া ঝাঁঝাঁলো কটু গন্ধ। নাগাল্যান্ডই হয়ে উঠছে গাঁজার সাম্রাজ্য!এত বছরের পুরনো নেশা সামগ্রী বিনষ্টিকরন নিয়ে আইনের জালে উঠে আসছে নানা প্রশ্ন?
শিলিগুড়ি। সচেতনতার তোয়াক্কা না করে শিলিগুড়িতে চললো অমৃত মহৎসবের নামে নেশা সামগ্রীর পোড়ানোর কাজ। নেই মাস্কের বালাই হুঁ হুঁ করে নাকে মুখে ঢুকছে তপ্ত আঁচে গাঁজা ও নেশা সামগ্রী পোড়ার কটু গন্ধ। তপ্ত গরমে রীতিমতো ফুলবাড়ি ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্কে তৈরী হলো অস্বস্তির বাতাবরণ।অন্যদিকে এদিন এত বছরের পুরনো নেশা সামগ্রী বিনষ্টিকরনের বিষয়ে আইনের জালে উঠছে নানা প্রশ্ন। কারন আদালতের অনুমতি নিয়ে নারকটিক মামলায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হাই কমিশন বিনষ্টিকরনের দিনক্ষন স্থির করেন। আদালতের অনুমতির থাকলেও দীর্ঘ পাঁচ ছয় বছরের পুরনো নেশা সামগ্রী বিনষ্টিকরনে এতটা সময় নষ্ট করা হলো? বুধবার সারা দেশের পাশাপাশি শিলিগুড়ির অদূরে ফুলবাড়ি ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্কে একটি বেসরকারি জৈব বিনষ্টিকরন কেন্দ্রের শাখায় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তর ও কাস্টমের বিভিন্ন সময়তে নেশা পাচারের চক্র ভেঙে বাজেয়াপ্ত প্রায় পাঁচ বছরের বেশী সময়ের পুরোনো ১৮১৭১কেজি গাঁজা এবং ৫০কেজি হাসিস বেসরকারি সংস্থার জৈব বিনষ্টিকরন কেন্দ্রে
বিশেষ চুল্লীতে আগুনের পোড়ানো হয়। তবে এই দেখা যায় ওই যন্ত্রের সামনে সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর ভাবে চলছে কাজ। কেজি কেজি গাঠ বাধাই করা গাজা খুলে হাত দিয়েই তা ছাড়িয়ে আগুনের চুল্লিতে দেওয়া হচ্ছে। প্রবল তাপে তা থেকে ঝাঝাঁলো গন্ধ ও ধোঁয়া নাকে মুখে ঢুকে হুঁ হুঁ করে পড়ছে। টানা দু মিনিটের বেশী দাঁড়িয়ে থাকা দুষ্কর হয়ে উঠছে এলাকায়। ওই চত্বরে ডিআরআই ও কাস্টম কর্তাদের দু একজন কর্মীদের মুখে মাস্ক লাগিয়ে থাকলেও কার্যরত কর্মীদের মুখে নেই মাস্ক। এদিন রীতিমতো ঝাঁঝাঁলো ওই ধোঁয়ায় কয়েক হাত দূরত্ব পর্যন্ত অস্বস্তি তৈরি হয়।
অনুষ্ঠানে আসা অতিথিরাও গাঁজার গন্ধে অস্বস্তি বোধ করতে লাগেন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী হয়। যদিও অনুষ্ঠানে সামিল ডিআরআই এর শিলিগুড়ির ডেপুটি ডিরেক্টর অঙ্কিত কৌর এবং চিফ কমিশম অফ কাস্টম জোন অনিল গুপ্তা জানান সম্পূর্ণভাবে জৈব বিনষ্টিকরন সংস্থার বিশেষ চুল্লিতেই বিনষ্টিকরন করা হচ্ছে। বিগত পাঁচ বছরের ১২টি বিভিন্ন মামলায় বাজেয়াপ্ত গাঁজা ও হাসিস বিনষ্টিকরন করা হচ্ছে। যার মধ্যে সর্বোচ্চ বাজেয়াপ্ত নেশা সামগ্রী পরিমাণের বিষয় সেনাবেশে পাচারের চক্রের কথা উল্লেখ্য করেন রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তর। ফুলবাড়ীর কাছে এই চক্রকে পাকড়াও করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে একে৪৭ সহ ৮৪৬৮ কেজি গাজা বাজেয়াপ্ত করে ডিআরআই। এই ঘটনা ২০১৪সালের। এদিকে উত্তর পূর্ব ভারতের নাগাল্যান্ড ও মনিপুর হয়ে উঠছে গাজার উৎস সাম্রাজ্য। ডিআরআইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর জানান শিলিগুড়িকে করিডর পাচার চক্রের হদিস মিলেছে সে চক্র গুলি সবকটি নাগাল্যান্ডে মনিপুর থেকে মাস্টার প্ল্যানারদের নির্দেশ মতো কাজ করছে।
সবকটি মামলায় কেজি কেজি বাজেয়াপ্ত গাঁজার উৎপত্তিও নাগাল্যান্ডে। ফলে আসাম সরকারের ছত্রছায়ায় নাগাল্যান্ড এ অন্তরালে নেশা সামগ্রী নিষিদ্ধ গাঁজার চাষ চলছে। সহজেই আসাম সীমান্ত ও রাজ্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে টপকে শিলিগুড়িকে করিডর করছে নেশার কিং পিনেরা।সহজ সমীকরণ ধরে সাফ হয়ে উঠছে নাগাল্যান্ড ও আসামের এ রাজ্যের ওপর টার্গেট। বাংলায় নেশা জাল বিস্তার করাই লক্ষ্য এই কিং পিনদের। সেক্ষেত্রে শিলিগুড়িকে চিকেন নেক ধরে চীন পর্যন্ত পৌঁছনো সহজ। ফলে জাল বিস্তার করছে এই পথ ধরেই।