উচ্চমাধ্যমিকে কলা বিভাগের ফলাফলে চমক। বিজ্ঞান বিভাগকে পেছনে ফেলে এগিয়ে কলা বিভাগের পড়ুয়ারা।জেলায় পাশের হার ৮৩. ২৯%। মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলের বিশ্লেষনে ধারাবাহিক ভাবে পিছিয়ে পড়ছে শহরের কেন্দ্রের জনপ্রিয় স্কুল গুলি। এগিয়ে সৌন্দর্যায়নের ছোয়া থেকে দূরে থাকা স্কুল গুলি

শিলিগুড়ি। দার্জিলিং জেলায় উচ্চমাধ্যমিকে কলা বিভাগের ফলাফলে চমক। বিজ্ঞান বিভাগকে পেছনে ফেলে এগিয়ে কলা বিভাগের পড়ুয়ারা। দার্জিলিং জেলায় পাশের হার ৮৩. ২৯%। জলপাইগুড়ি জেলায় পাশের হার ৭৩.০৫%। দার্জিলিং জেলায় এবারে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩৬১৮।মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকে ছাত্রীদের পাল্লা ভারী।এবারে পরীক্ষার্থী ছাত্রের সংখ্যা ৫৯১৭ এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৭৭০১। মোট সফল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১৩৪৩। উত্তীর্ণের নিরিখেও এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। উত্তীর্ণ ছাত্রীদের সংখ্যা ৬৪০৮ ছাত্র সংখ্যা ৪৯৩৫।এদিকে জলাপাইগুড়ি জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭৭০৬। ৫৫৪৪ছাত্র ও ৭০৭৮ছাত্রী রয়েছে। যদিও জলপাইগুড়ি জেলায় পাশের হারে এগিয়ে ছাত্ররা ৭৫.৭১ এবং ছাত্রীদের ৭১.৮৭%।

মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকেও দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি শহরের কেন্দ্রে থাকা জনপ্রিয় বিদ্যালয়গুলিকে ছাপিয়ে তাঁক লাগানো ফলাফল হয়েছে একটু পিছিয়ে পড়া এলাকা ও গ্রামীন এলাকার বিদ্যালয়গুলিতে। দার্জিলিং জেলায় প্রথম স্থানে রয়েছে নকশলবাড়ির নন্দ প্রসাদ হাই স্কুলের অন্বেষা সাহা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭।দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শিলিগুড়ি দেশবন্ধু পাড়ার তরাই তারাপদ আদর্শ বিদ্যালয়ের সৌর দ্বীপ সিনহা ৪৮৬। তৃতীয় স্থানাধিকারি দৃষ্টিশক্তি হীন ছাত্রী রেনেসা দাস দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রতিকূলতাকে হারিয়ে সাধারনের সঙ্গে লড়াইয়ে অবিশ্বাস্য সাফল্য অর্জন করেছে সে।তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৪। শিলিগুড়ি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সে। জেলার তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে হিতাংশু সরকার। প্রাপ্ত নাম্বার ৪৮৩। অন্যদিকে শিলিগুড়ির অদূরে বাসিন্দা হয়েও রাজ্যের মধ্যে জলাপাইগুড়ি জেলাকে সেরার তালিকায় তুলে ধরেছে রিতা হালদার। বাবা ফেরি করে মাছ বিক্রি করেন ও মা পরিচারিকার কাজ করেন।এমনও দিন গিয়েছে মায়ের সঙ্গে পরিচারিকার কাজ করতে হয়েছে তাকে। রাজ্যে সপ্তম ও জেলার প্রথম স্থানাধিকারী রিতা হালদারের প্রাপ্ত নাম্বার ৪৯২। শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার (উচ্চমাধ্যমিক)ডিআই রাজীব প্রামানিক জানান শহরের স্কুল গুলির তুলনায় গ্রামীন স্কুল গুলি ফলাফলের নিরীখে এগিয়ে রয়েছে। তার অন্যতম কারণ দর্শিয়ে তিনি বলেন শহরের অভিভাবকদের তাদের শিশুদের বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করানোটাই টার্গেট হয়ে উঠেছে।

পাশাপাশি তিনি বলেন বিজ্ঞান বিভাগের তুলনায় কলা বিভাগের পড়ুয়াদের ফলাফল ভালো হয়েছে। তার অভিমত কলা বিভাগ নিয়েও নানা ধরনের পড়াশুনো রাস্তা রয়েছে এখন। তাই পড়ুয়াদের মধ্যেই আর্টসের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। ছাত্রীদের এগিয়ে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন কন্যাশ্রীর জন্য ছাত্রীরা স্কুল মুখী হয়েছে। তবে শহরের জনপ্রিয় স্কুল গুলির পিছিয়ে পড়ায় ফলাফল ও পঠনপাঠন নিয়ে পর্যালোচনামূলক বৈঠক করবেন তিনি।

You cannot copy content of this page