ফেস্টিভ পর্বে নয়দিনে ৬৫ লক্ষ টাকার আয়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়লো বেঙ্গল সাফারি পার্ক।বড়দিন থেকে নিউ ইয়ার ফেস্টিভ সিজন ঘিরে সর্বাধিক পর্যটক সমাগমে নয়া মাইলস্টোন উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ উদ্যান বেঙ্গল সাফারী পার্কের।
শিলিগুড়ি। ফেস্টিভ পর্বে নয়দিনে ৬৫ লক্ষ টাকার আয়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়লো বেঙ্গল সাফারি পার্ক।বড়দিন থেকে নিউ ইয়ার ফেস্টিভ সিজন ঘিরে সর্বাধিক পর্যটক সমাগমে নয়া মাইলস্টোন উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ উদ্যান বেঙ্গল সাফারী পার্কের। বিশেষ করে ৩১শে ডিসেম্বর এবং ১লা জানুয়ারি এই দুইদিন চলতি আর্থিক বর্ষে পর্যটক পরিসংখ্যান ছিল সর্বাধিক বলেই দাবি সাফারী কর্তৃপক্ষের। বড়দিনের ফেস্টিভ মোড শুরু হতেই কাতারে কাতারে পর্যটকদের ঢল নামে মহানন্দা অভয়ারণ্যের বুকে বিশাল বনাঞ্চলে ওপর থাকা সাফারি পার্কে। গত রবি ও সোমবার সাফারি পার্কে যেন তিল ধরনের জায়গা মেলা হয়ে ওঠে দুষ্কর। সকাল হতেই আট থেকে আশি, পরিবার কিংবা বন্ধু বান্ধবের নিয়ে আসা দলে দলে পর্যটক ভিড়ে জমজমাট সাফারীর বনভূমি। পার্ক কর্তৃপক্ষের তরফে মেলা তথ্য অনুযায়ী গত ২৪শে ডিসেম্বর থেকে ১লা জানুয়ারি পর্যন্ত সাফারির কোষাগাড়ে ৬৫লক্ষ টাকা আয়ের অংক উঠেছে।
যা, চলতি ২০২২-২০২৩ আর্থিক বর্ষে রেকর্ড বলেই দাবি করছেন সাফারী কর্তৃপক্ষ। পর্যটক পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের সর্বাধিক সংখ্যক পর্যটক সমাগম হয়েছে বর্ষবিদায় এবং বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে রবিবার ও সোমবার। ৩১শে ডিসেম্বর পর্যটক সংখ্যা ছিল ৬৫৬৮ ও ১লা জানুয়ারি ৭৯৫৬। শুধুমাত্র দুদিনের আয়ের এসেছে সাফারির কোষে ১৫লক্ষ ৬৫হাজারের কাছাকাছি। ৩১শে ডিসেম্বরে আয়ের অংক ৬.৫৬লক্ষ টাকা,১লা জানুয়ারি ৯.৯লক্ষ টাকা। রাজ্য বনদপ্তরের তরফে বেঙ্গল সাফারিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। শুধুমাত্র পরিকাঠামো উন্নয়ন নয় নিত্যনতুন বন্যপ্রাণের আগমনে পর্যটকদের চোখে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। উন্মুক্ত বনাঞ্চলে বন্যপ্রানীদের বিচরণ ক্ষেত্রে পর্যটকদের সাফারির সুযোগ মেলা এই বন্যপ্রাণ উদ্যান পর্যটন মানচিত্রে পাকাপাকিভাবে নিজের জায়গা করে নিয়েছে।
ক্রমশ দূরদূরান্ত ও দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা সাফারী মুখী হওয়ায় দেশের পর্যটন মানচিত্রেও উত্তরবঙ্গের বেঙ্গল সাফারী নিজ স্থান দখলে নিয়েছে। পর্যটকদের ব্যাপক চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবারে ইংরেজী নতুন বছরের আগে নিউ ইয়ারের এক সপ্তাহ ব্যাপী উৎসব মুখরিত সময়তে পাঁচটি বন্যপ্রাণ ও বিদেশি প্রজাতর পাখি সাফারিতে পর্যটকদের সম্মুখে আনা হয়। ইতিমধ্যেই তিনটি ম্যানড্রিল বানর ও দুই জোড়া সাদা হরিণ (হোয়াইট বাককে)পরীক্ষামূলক ভাবে পর্যটকদের সামনে আনা হয়েছে। চনমনে মেজাজে নতুন অতিথি গিভনের জাল মই বেয়ে লাফিয়ে ওপরে ওঠা। আনার দ্রুত নেমে আসা। মই আদলে বন্যপ্রাণীদের বিশেষ খেলনা সামগ্রী ধরে কখনো এ প্রান্ত তো কখনো ওদিক চনমনে মেজাজে লাফিয়ে বেড়ানো আট থেকে আশি সকলের মুখে হাঁসি ফুটিয়েছে। এই বন্যপ্রাণীদেরই অধিকাংশকে আনা হয় জামশেদপুর টাটা জুওলজিক্যাল পার্ক থেকে বেঙ্গল সাফারিতে।এরওপর বিদেশি প্রজাতির পাখি হেলমেটেড কুরাশো পাখি,মারাবু স্ট্রক,হোয়াইট চাইনিজ গ্যজি সহ বেশ গিভন চলতি বর্ষ বিদায় ও নতুন বছরের আগমনকে কেন্দ্র করে এই ফেস্টিভ সময়তে পর্যটকদের সামনে আনা হয়েছে। যা ঘিরে পর্যটকদের ব্যাপক উৎসাহ নজরে আসছে। বেঙ্গল সাফারি পার্কে নতুন অতিথিদের আগমন ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। হিমালয়ের ব্ল্যাক বিয়ার এনক্লোজারে পর্যটকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়ে যাচ্ছে খুদে ভাল্লুক ছানার। যা বর্তমানে সাফারিতে রয়্যাল বেঙ্গল ব্যঘ্র পরিবারের পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।আবার খুব দ্রুত সাফারিতে পর্যটকদের জন্য আসতে চলেছে পশুরাজ সিংহ জুটি। এসব চমকের কারণেই ২৪শে ডিসেম্বর থেকে১লা জানুয়ারি এই সময়রে চলতি বর্ষে সর্বোচ্চ অংকের আয়ের মুখ দেখেছে সাফারি পার্ক। পর্যটক পরিসংখ্যানও রেকর্ড ছুঁয়েছে বলে জানান সাফারী ডিরেক্টর কমল সরকার।