বিজেপি কি করেছে? দিদি লক্ষ্মীভান্ডারের ১০০০টাকা করে দিয়েছে। জমির অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করছে রাজ্য বক্তব্য রেল কলোনির মহিলাদের। তাহলে কেন বিজেপিকে ভোট দেবো, পাঁচ বছরে ভাজপা সাংসদের টিকিও খুঁজে পাওয়া যায়নি বিক্ষুদ্ধ ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির জনতা। বিজেপি সাংসদ বিধায়কের কার্যত রনংদেহি বিরুদ্ধে সোচ্চার দিন আনি দিন খাই পরিবারের মহিলারা।
জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে শিলিগুড়ি ডাব গ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা ক্ষেত্রে বিজেপি সাংসদ বিধায়কের ভূমিকায় ক্রুদ্ধ জনতা। জনতার পাশে থাকার অঙ্গীকার প্রচারে ইউএসপি জলপাইগুড়ি প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়ের
শিলিগুড়ি।বিজেপি কি করেছে? দিদি লক্ষ্মীভান্ডারের ১০০০টাকা করে দিচ্ছে। তাহলে কেন বিজেপিকে ভোট দেবো, পাঁচ বছরে ভাজপা সাংসদের টিকিও খুঁজে পাওয়া যায়নি বিক্ষুদ্ধ ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির জনতা। বিজেপি সাংসদ বিধায়কের কার্যত রনংদেহি বিরুদ্ধে সোচ্চার দিন আনি দিন খাই পরিবারের মহিলারা। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে শিলিগুড়ি ডাব গ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা ক্ষেত্রে বিজেপি সাংসদ বিধায়কের ভূমিকায় ক্রুদ্ধ। ভুল শুধরে এবারে দিদির ওপর পূর্ন আস্থা রাখছে আম জনতা। বিগত ২০১৯এর নির্বাচনে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা দখলে নেয় ভাজপা,এরপর বিধানসভার ক্ষেত্রেও এই ক্ষেত্র দখল নেয় পদ্ম বিধায়িকা শিখা চ্যাটার্জি। তবে এরপর থেকেই পদ্মের হাত চলে যাওয়ায় মাশুন গুনতে হয় এলাকা বাসীদের। এলাকায় নাগরিক পরিষেবা থেকে উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। কোন সমস্যা অসুবিধেতেই জনগণ বিধায়িকা সাংসদের দেখা পাননা। পঞ্চায়েতে এই ক্ষেত্রের ৮০%ভোট পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছে তৃনমূল।
তাই এবারে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ী এলাকায় আম জনতার দরবার থেকে কলরব উঠছে পোস্টার ম্যান ভাজপা সাংসদ ডঃ জয়ন্ত রায়ের বিরুদ্ধে। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি এলাকার মানুষের ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলছেন পোস্টার ম্যান সাংসদের পাঁচ বছরের টিকিও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন ভোটের মুখে পোস্টারেই তার মুখ দেখছে জনতা। তিনি আসলে পোস্টার ম্যান সাংসদ। বিধায়িকার ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে জনতা। সম্প্রতি ভোটের মুখে শিলিগুড়ি সংযুক্ত ওয়ার্ড এলাকায় পা রাখতেই ভাজপার জলপাইগুড়ি সাংসদ জয়ন্ত রায় ও বিধায়িকার ওপর চড়াও হয়ে এলাকা ছাড়া করে জনতা।বিগত সময়তে জলপাইগুড়ি বিধানসভা ক্ষেত্র থেকে দুদফায় প্রাক্তন রাজ্যের মধ্যে গৌতম দেব মন্ত্রী হয়ে এলাকায় হাল বদলে দেন। গুচ্ছের উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে নগরায়নে আর্থ সামাজিক স্থিতি বদলে গিয়েছে এলাকার। বর্তমানে বৃহত্তর শিলিগুড়ির দাবেদার এই এলাকা। কিন্তু পরবর্তী ভাজপার হাতে ক্ষমতা যাওয়ায় নাগরিক পরিষেবা উন্নয়ন কাজ মুখ থুবড়ে পড়ে স্থায়ী অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।লোকসভা ভোটের মুখে এই এলাকার রেল কলোনি এলাকার বাসিন্দারা ভাজপার বিমুখ হয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। বিগত কয়েক প্রজন্ম ধরে রেলের জমিতে বসবাস সীতা রানী জানান বিজেপিকে কেউ ভোট দেবো না। বিজেপি কি করেছে? দিদির লক্ষ্মীভান্ডারের ১০০০টাকা করে মিলছে। দিদি একমাত্র গরীব খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবেন।আর বিজেপি ধমক চমক দিয়ে পায়ের তলা জমিটুকু ছিনিয়ে নিতে চায়। ওই এলাকার বাসিন্দা শোভা মিস্ত্রি, রাজাহোলির বাসিন্দা নাজমা বেগমরা সুর চড়াও করে জানায় বিজেপি শুধু রাতের বেলা রেল পুলিশ পাঠিয়ে আমাদের উচ্ছেদে ধমক চমক দেয়। উৎখাতের ভয় দেখিয়ে নিত্য হেনস্থা করে চলেন তারা। বিগত প্রায় কারো ৩২ কারো ২১বছর ধরে এই এলাকায় রেলের অব্যবহৃত জমিতে বসবাস। তারা বলেন আগে রেলের ওয়াগান কয়লা ভেঙে চলতো সংসার। কিন্তু এখন কোনোরকমে ভিটে সম্বল করে ছোট ছাপড়া দোকান বা টোটো চালিয়েই পেট চালিয়ে যাচ্ছি। এই ভিটে মাটিটুকুর সহায় ছিনিয়ে নিতে উদ্দত হয়েছে বিজেপি। তাদের নেতাদের দেখা মেলেনা। তারা মানুষের জন্য কিছু করতে পারে না। ওই এলাকায় মসজিদ ও একটি মন্দির পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে ঐক্যের বার্তা দিয়ে রয়েছে। সেখান কার ধর্মপরায়ণ সমঝদার ব্যক্তিরা জানান গৌতম দেব মন্ত্রী থাকাকালীন ও পরবর্তীতে পুরনিগমে বসেও এলাকায় জমির পাট্টা প্রদানে উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু বিজেপি শাসিত রেল সম্বল হীনা করে উচ্ছেদ করতে উদ্যত হয়েছে। সাংসদকে দেখা যায়নি। তিনি পাঁচ বছরে এলাকায় আসেনি। এই এলাকার মানচিত্রই সাংসদের অজানা। এদিকে প্রচারে পাঁচ বছরে বিজেপি সাংসদের ফাঁকিবাজির ধারনা বদলাতে হচ্ছে ময়দানে নেমে তৃনমূল প্রার্থী অধ্যাপক নির্মল চন্দ্র রায়কে। তিনি বলেন বিগত পদ্ম সংসদের কারণে মানুষের মধ্যে জনপ্রতিনিধি সম্পর্কে এক ধরনের বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে। প্রচারে গিয়ে সেই ধারণা বদলের কাজেই নামতে হয়েছে তাকে। তিনি বলেন মানুষ ওই এলাকার একটাই প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন আপনাকে জয়যুক্ত করলে আমাদের সমস্যা অসুবিধায় পাশে পাবো তো। এতেই বুঝতে পারছি পাঁচ বছর মানুষ কতটা জনপ্রতিনিধির বিষয়ে অসহায় হয়ে পড়েছিল। তাদের সেই ভুল ধারণা বদল করে পাশে থাকাবো আশ্বস্ত করছি। সেটাই প্রচারে মূল মন্ত্রের মতো কাজ করছে তৃনমূলের। যা জলপাইগুড়ি প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায় কে অনেকটাই এগিয়ে রাখছে নির্বাচনী ময়দানে।