রাজ্য পুলিশের কন্টেস্টেবল পদের পরীক্ষায় ভুয়ো পরিচয়ের গ্রেপ্তার বিহারের ১১জন যুবক।

শিলিগুড়ি

রাজ্য পুলিশের কন্টেস্টেবল পদের পরীক্ষায় ভুয়ো পরিচয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে গ্রেপ্তার বিহারের ১১জন যুবক।কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে চক্রের সঙ্গে যুক্ত আসল চাকুরীপ্রার্থীদের ওপরও।

রাজ্য পুলিশের কন্টেস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় ভুয়ো পরিচয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে গ্রেপ্তার বিহারের ১১জন যুবক। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কনস্টেবল পদে চাকরির আবেদনকারীর পরিবর্তে পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হয় বিহারের মাতব্বড়েরা। এডমিট কার্ডে থাকা চাকুরী প্রার্থীর নাম বলতেই ভ্যাবাচ্যাকা পরীক্ষার্থীদের কাণ্ডে সন্দেহ দানা বাধে পুলিশের। বাঙালি চাকুরীতে আবেদন কারী প্রার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে অবাঙালি কন্ঠস্বর। আর তাতেই সজাগ হয়ে ওঠে পুলিশি ইন্দ্রিয়, নিমিষে পাকড়াও করা হয় ভুয়ো পরীক্ষার্থী গ্যাংকে।

 

কোন কোন চাকুরী প্রার্থীর ভুয়ো পরিচয়ে এসেছিল বিহারের এই যুবকের। পুলিশের হাতে এসেছে আসল আবেদনকারীদের নাম-

🔴 ভুয়ো পরীক্ষার্থী বিহারের যুবক রূপেশ কুমারকে ১০হাজার টাকা দিয়েছিল রায়গঞ্জের বাসিন্দা আসল চাকুরিপ্রার্থী অভিজিৎ বর্মন।

🔴 আসল চাকুরী প্রার্থী রথীন্দ্রনাথ বর্মনের হয়ে এসেছিল রাকেশ কুমার। রাকেশকে ৫০০০টাকা অগ্রীম দিয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা চাকুরীর আবেদনকারী রথীন।

🔴আবার চাকুরী প্রার্থী অমল বর্মনেের হয়ে ভুয়ো পরিচয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসে বিহারের রাহুল কুমার।

🔴একইভাবে প্রধান নগর থানা এলাকা থেকেও ৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রধান নগর থানার হিন্দি হাইস্কুল থেকে ভুয়ো পরীক্ষার্থী বিহারের পাটনার বাসিন্দা পবন কুমার, সন্তু কুমার, নবীন কুমার, মহম্মদ আসিফ, ধর্মেন্দ্র কুমারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মোট ১৯টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৯০০০এর বেশি পুলিশে চাকুরীর পরীক্ষার্থী ছিল।

 

ডিসিপি হেডকোয়ার্টার জয় টুডু জানান মাটিগাড়া ও প্রধান নগর থানার পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে মোট ১১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।ধৃত ভুয়ো পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি যে সকল আসল চাকুরীপ্রার্থীদের পরিবর্তে পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রে এসেছিল তারা তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে।