রাজনীতির ময়দানে জায়গা পাচ্ছেনা তাই ভোটের আগে এই ধরনের নোংরা অশান্তির সৃষ্টির চেষ্টা করছে সাফারির সিংহের নামকরণ ঘিরে বিজেপির ছত্রছায়ায় ভিএইচপির বিরুদ্ধে পরিষ্কার অভিযোগ দাগলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাঁহা হাঁসদা। ত্রিপুরাও কেন্দ্র রাজ্যকে ম্যালাইন করার চেষ্টা করছে অভিযোগ বন মন্ত্রীর। উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের উত্তেজনায় ফের এ যুগে অগ্নি পরীক্ষার মুখোমুখি সীতা! এবার একেবারে ভিন রাজ্য ত্রিপুরা থেকে আসার পরই রাজ্যের দেওয়া নামের জেরে সরাসরি আইনি কাঠগড়ায় আদালতের মামলার মুখে দাঁড়াতে হচ্ছে সিংহী-কে। বাইরে যখন বিতর্ক সাফারির অন্দরে তখন খোশ মেজাজে পশুরাজ জুটি!
শিলিগুড়ি। রাজনীতির ময়দানে জায়গা পাচ্ছেনা তাই ভোটের আগে এই ধরনের নোংরা অশান্তির সৃষ্টির চেষ্টা করছে সাফারির সিংহের নামকরণ ঘিরে বিজেপির ছত্রছায়ায় ভিএইচপির বিরুদ্ধে পরিষ্কার অভিযোগ দাগলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাঁহা হাঁসদা। ত্রিপুরা থেকে এ রাজ্যে সিংহ আনয়ন ঘিরে তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ফের এ যুগে অগ্নি পরীক্ষার মুখোমুখি সীতা! এবার একেবারে ভিন রাজ্য থেকে আসার পরই নামের জেরে সরাসরি আইনি কাঠগড়ায় আদালতের মামলার মুখে দাঁড়াতে হচ্ছে সিংহী-কে। যুগ বদলে এ যেন ফের অগ্নিপরীক্ষার মুখে পড়তে হলো সীতাকে! যদিও সাফারী ও রাজ্য বন দপ্তরের তরফে এই সিংহ দ্বয়ের কোনো নামকরন করা হয়নি।নতুন করে নামকরণের চিন্তাভাবনা করে প্রশাসনিক উপর মহল মুখ্যমন্ত্রীকে প্রস্তাব পাঠানো হবে সিংহ জুটি সাফারিতে আগমনের দিনেই রাজ্য বনদপ্তর থেকে এমন পরিকল্পনার বিষয়ে জানান বন কর্তারা।পুরুষ ও স্ত্রী সিংহ দুটি ত্রিপুরা সিপাহীজলা চিড়িয়াখানায় আকবর ও সিতা এই দুই নামে পরিচিত ছিল।আর এই নাম নিয়ে জল ঘোলা করে সাফারী পার্ক ও রাজ্য বন দপ্তরের বিরুদ্ধে সিংহীর নাম বদলের দাবি জানিয়ে বিজেপির ছত্রছায়ায় উগ্র হিন্দুত্ব বাদি সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা দাখিল করেছে। হিন্দু ধর্মের ধব্জা উড়িয়েও সীতা নামকরণকে ঘিরে এক স্ত্রী-র অগ্নিপরীক্ষার তাজা ক্ষতের কুণ্ঠাবোধে সহজাত ভাবে আজও কন্যা সন্তানের এমন নামকরন থেকে এড়িয়ে চলে ধর্ম বিশ্বাসী পরিবার!পাছে যদি কন্যাকে অগ্নি পরীক্ষার মুখে পড়তে হয় ধর্মভীরু মানুষের মনে এ কুণ্ঠা বিরাজমান একবিংশ শতাব্দীতেও! কৌতুক সুরে শহরের বড় অংশের মন্তব্য উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাপাদাপিতে সে আতঙ্কই সাফারি পরিবারে আসা স্ত্রী সিংহের ক্ষেত্রে যেন ফের সত্য বচনে পরিণত হয়েছে। মুক্তচিন্তনশীল একাংশের মত রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হলেও সিতার সম্মান কি ফেরানো গিয়েছে তা নিয়ে বোধহয় ধন্ধে রয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনই। মঙ্গলবার সৌগত ভট্টাচার্য-এর এজলাসে সাফারীর সিংহীর নামকরণ নিয়ে মামলার শুনানী রয়েছে। জানা গিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের সার্কিট বেঞ্চে সিংহের নাম বদলে দাবি জানিয়ে একটি রিট পিটিশন ফাইল করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে এই নাম হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগকে আঘাত হেনেছে। যদিও ত্রিপুরা থেকেই সে নামকরণ রয়েছে অস্বীকার করে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়েছেন তারা।রিট পিটিশন ডব্লিউ পি ৩৬০-২০২৪ তে দাখিল হয়েছে। এই খেলায় যদিও ত্রিপুরা সহ কেন্দ্রের হাত রয়েছে বলেই অভিযোগ রাজ্যের বন মন্ত্রীর। রাজ্যের বনমন্ত্রীর বীরবাহা হাঁসদা বলেন- প্রথমত রাজ্য বনদপ্তর ও সিংহ দুটির কোনো নামকরণ করেনি। সাফারির সিংহ জুটির কোন নাম নেই। কারণ নামকরনের একমাত্র অধিকার আছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগামীতে অরণ্য ভবনের তরফে সিংহ জুটির নামকরণে প্রস্তাব পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।আমরা তার কাছে নাম জানতে চাইব আপাদত আমাদের তরফে ওই সিংহ দুটির কোন নাম দেওয়া হয়নি। মামলার বিষয়ে তিনি বলেন মঙ্গলবার আদালতের শুনানি রয়েছে আমাদের কাছে সঠিক তথ্য রয়েছে তা পেশ করা হবে। তিনি সরাসরি বিজেপির নাম না করে আক্রমণ শানিয়ে নিয়ে বলেন- ওরা যেটা করছে নোংরামি। ভোটের আগে কোনরকম রাজনীতি করার জায়গা পাচ্ছে না তাই একটা ইস্যু করে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কাজকর্ম করেনা সারাদিন এসব করে বেড়ায় ওরা।
রাজনীতির ময়দানে জায়গা পাচ্ছেনা বলেই ভোটের আগে এই ধরনের নোংরা অশান্তির সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিজেপির ছত্রছায়ায় এই দল। ত্রিপুরা ম্যালাইন করার চেষ্টা করছে। নোংরা রাজনীতি করে কোনোভাবে একটা অশান্তির উদ্দেশ্য তাদের। অন্যদিকে সার্কিট বেঞ্চে রিট পিটিশন ফাইল করা আইনজীবী শুভঙ্কর দত্ত জানান-একটি রিট পিটিশন ফাইল হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে ত্রিপুরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখান থেকে অ্যানিম্যাল এক্সচেঞ্জ প্রক্রিয়ায় ১২ই ফেব্রুয়ারি সাফারি থেকে সিংহ দুটি পাঠানো হয়েছে তার ডিসপাস সার্টিফিকেটের নমুনা চেয়ে পাঠানো হয় তাতে সিংহের বৈজ্ঞানিক নাম প্যান্থার লায়ন আইএল২৫ ও ২৬ পরিচয় হিসেবে এই শব্দবন্ধের ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। এদিকে সাফারির অন্দরে বন্য পরিবারে কিন্তু খোশ মেজাজেই রয়েছে সিংহ জুটি। আট কেজি করে নিত্যদিন চেটেপুটে পর্যাপ্ত বিফ মিট খাবারে গ্রহণ করছে তারা। জানা গিয়েছে মাংসের সঙ্গে হাড়ও চেটেপুটে নিচ্ছে সিংহ জুটি। দূর থেকে ২৪ ঘন্টা নজরদারি চালানো হচ্ছে। এছাড়া সাফারির এনক্লোজারে বসানো ৪টি মোশন ডিটেক্টর ক্যামেরাতেও তাদের গতিবিধি নজরে আসছে যাতে চনমনে মেজাজে রয়েছে সিংহ জুটি বলেই সাফারী সূত্রের খবর। পর্যটকেরাও উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন। লায়ন সাফারি ঘিরে উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ উদ্যান শিলিগুড়ির অদূরে শালুগাড়ার সাফারি পার্কে যে পর্যটকদের ঢল নামতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।