*মহিলাকে প্রকাশ্য রাস্তায় শ্লীলতাহানি ও খুনের হুমকি! *গৃহবধূ মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলের শিক্ষক প্রবীর বর্মন

 

মহিলাকে প্রকাশ্য রাস্তায় শ্লীলতাহানি ও খুনের হুমকি! গৃহবধূ মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলের শিক্ষক প্রবীর বর্মন। ক্ষমতার আঁচড়ে গ্রেপ্তারির সময়তেও পুলিশকে সরকারি কাজে বাঁধাদান করেন শিক্ষককের। শিলিগুড়ি রথখোলার বাসিন্দা গৃহবধূ মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে বাড়ির প্রাচীর টপকে অভিযুক্ত শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক প্রবীর কুমারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে গত ৯ই ফেব্রুয়ারির গৃহবধূ মহিলা জয়শ্রী পাল ভৌমিক তার এবং তার বোনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও খুনের হুমকির অভিযোগ দায়ের করেন প্রধান নগর থানায়। এরপর থেকেই নানাভাবে পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে আড়ালেই ছিলেন অভিযুক্ত। বিভ্রান্তি এড়াতে স্কুলের ভেতর হানাদারি থেকে বিরত ছিল পুলিশ।অভিযোগকারী মহিলা জয়শ্রী পাল ভৌমিকের অভিযোগ গত ৭ই ফেব্রুয়ারি রাত নয়টা নাগাদ চম্পাসরি রেগুলেটেড মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় গৃহবধূ জয়শ্রী ও তার বোন তনুশ্রী পালের রাস্তা আটকে তাদের ওপর দলবল নিয়ে চড়াও হয় অভিযুক্ত শিক্ষক প্রবীর বর্মন। মহিলা তার প্রাক্তন ছাত্র স্বরূপ পালের স্ত্রী। সে সুবাদে স্বরূপ বাবুর বাড়িতে সমস্ত বিষয়েই অবাধ হস্তক্ষেপ শিক্ষক প্রবীর বাবুর।

মহিলাকে বধূ নির্যাতনের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে লাগেন। কিছু অসামাজিক লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে মহিলাকে পুলিশের খাতায় থাকা মামলা তুলে নিতে চাপসৃষ্টি করতে লাগেন শিক্ষক। তিনি রাজি না হলে জোড় পূর্বক মহিলাকে হাত ধরে টেনে হিচড়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক। এমনকি মহিলার অভিযোগ তার দিকে ভোজালি ধারালো অস্ত্র উঁচিয়ে তাকে খুনের হুমকি দেন।মহিলা বলেন শিক্ষক প্রবীর বর্মন হুমকি দেন যদি মামলা না তোলা হয় তাহলে তাকে ও তার পরিবারকে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে দেবেন। ঠিক যেভাবে তার শ্বশুরমশাইয়ের আকস্মিক মৃত্যু হয়েছিল! তার আক্রমনের মুখে কোনোক্রমে প্রাণ রক্ষা পায় দুই মহিলার।এরপরই ৯ই ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান নগর থানায় পুরো বিষয়টি জানিয়ে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ করেন গৃহবধূ। তদন্তে একাধিকবার স্কুল শিক্ষককে সন্দিহান না মেলায় বুধবার রাতে রবীন্দ্রনগরে তার বাড়িতে হানা দিয়েই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষককে। তার বিরুদ্ধে ৩৪১,৩৫৪,৫০৯,৫০৭ ও ৩৪ আইপিসি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিন শিলিগুড়ি আদালত অভিযুক্তের জামিন নাকোচ করে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। অভিযুক্ত আদালত চত্ত্বরেই জানান পুরোটাই ষড়যন্ত্র। আমার সঙ্গে তাঁর চার বছর ধরে কোন যোগাযোগ নেই। অভিযোগকারী মহিলা অবশ্য জানান ২০১৬সালে রবীন্দ্র নগরের নিবাসী স্বরূপ ভৌমিক এর সঙ্গে তার বিবাহের পর থেকেই তাদের বাড়িতে শিক্ষক প্রবীর বাবুর কথাতেই ওঠবস চলে। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর আগে গৃহবধূ জয়শ্রী পালকে জোড়পূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা শিক্ষক প্রবীর বাবুর নির্দেশেই। তার তিন বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। স্বামীর সঙ্গে তার বৈবাহিক সম্পর্ক আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে। মহিলার দাবি তার শাশুড়ি রত্না ভৌমিক ও ননদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছেন প্রবির বাবুর। তাকেও একাধিকবার কু প্রস্তাব দেন তিনি। তার পরামর্শেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা গৃহবধূর সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ রাখেননা।

 

 

 

 

You cannot copy content of this page