শিলিগুড়ি। জন্ম লগ্নেই বিনাশ বাণী! ঠিক এমন ভাবেই জন্ম লগ্ন থেকেই কয়েক মাসের মাথায় বিনাশের কাল নির্ধারিত হয়ে রয়েছে তার! তিন থেকে চার মাসের আয়ু!

 

শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড়ে বিশ্ব বাংলার গ্লোবকে কেন্দ্র করে ঠিক এমনই আশঙ্কা উঠে আসছে। পহেলা বৈশাখে শিলিগুড়িি দার্জিলিং মোড়ে ১৬লক্ষ টাকা ব্যয় তৈরি রাজ্য সরকারের প্রতিকী বিশ্ব্ব বাংলা গ্লোব  উদ্বোধন করেন শিলিগুড়ি পুরো নিগমের মেয়র গৌতম দেব।

 

কলকাতার শান্তিনিকেতনের ভাস্কর্য শিল্পী হাতে তৈরি হয়েছে রাজধানী কলকাতার আদলে শিলিগুড়ির বুকে বিশ্ব বাংলা গ্লোবটি। শহরের শিলিগুড়ি গেট সুপার ফ্লপ হওয়ার পরই শহরের পরিচিতি স্বরূপ দ্বিতীয় প্রতীকী তৈরীর ভাবনাচিন্তা করতে শুরু করেছিল রাখির সরকার পক্ষ। সে মতোই শিলিগুড়ি পুরো নিগমের বোর্ড গঠনের পর বিশ্ব বাংলার প্রতিটি ব্লগ তৈরীর পরিকল্পনা নিয়ে তা কয়েক মাসের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা হয়। শহরের ভৌগলিক ও পর্যটন মানচিত্র কে গুরুত্ব দিয়ে শিলিগুড়ির প্রবেশমুখে দার্জিলিং মোড়ে তৈরি করা হয়েছে গ্লোবটি। উদ্বোধনের দিনই মেয়র গৌতম দেব বলেন শিলিগুড়িতে পৌঁছে শহরের এই পথ ধরেই দার্জিলিঙে যান পর্যটকেরা। একটি কয়েক কিমি দূরেই ঐতিহাসিক শুকনা স্টেশন রয়েছে। ফলে ভৌগলিক ঐতিহাসিক এবং পর্যটনের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। তাই এই স্থানটি নির্ধারিত করি তেনজিং নোরগের মূর্তির পাশে তৈরি করা হয়েছে এই গ্লোবটি।

 

তবে এই স্থান নির্ধারণকে কেন্দ্র করেই জন্ম থেকেই আশঙ্কা তাড়া করছে গ্লোবটিকে ঘিরে। শিলিগুড়ি দার্জিলিং মোড় এর রাস্তা সম্প্রসারণ করে ফোর লেন করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফোর লেনের রাস্তার কাজ শুরু হলেই এই গ্লোবটি ভাঙা পড়বে। রাস্তার ওপর আইল্যান্ডে থাকা তেনজিং নারগে প্রতিকৃতিতেও হাত পড়বে। কয়েক মাসের মধ্যেই শুরু হবে এই কাজ। ফোরলেনের কাজ হলে এই বিস্তীর্ণ অংশ যে ভাঙা পড়বে তা জলের মতো স্পষ্ট সকলের কাছেই। তাহলে কেন এত লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় করে তৈরি করা হলো বিশ্ব বাংলা গ্লোবটি। যার কোনো ভবিষ্যত নেই। শুধুই টেন্ডার বাঁচতে তড়িঘড়ি কাজ শেষ করছে কন্ট্রাক্টটর। পুরসভাও শীলমোহর দিচ্ছে তাতে!

যদিও পুরনিগমের ডেপুটি মেয়রের মত বহু প্রতিকৃতি, মূর্তি  অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে স্থানান্তরিত করা হয়। তেমন পরিস্থিতি হলে বিকল্প পথ ভাবা হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

You cannot copy content of this page