🔺🔺বছর শেষে পর্যটক ও আয়ের অংকে মাইলস্টোন শিলিগুড়ি উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ উদ্যান বেঙ্গল সাফারী পার্কে। আর্থিক বর্ষের একদিনে সর্বোচ্চ পর্যটক সমাগম ও আয়ের রেকর্ড। একদিনে আয়ের অংক গিয়ে পৌঁছয় প্রায় ৬লক্ষ ৯২ হাজারে
শিলিগুড়ি। বছর শেষে পর্যটক ও আয়ের অংকে মাইলস্টোন শিলিগুড়ি উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ উদ্যান বেঙ্গল সাফারী পার্কে। আর্থিক বর্ষের একদিনে সর্বোচ্চ পর্যটক সমাগম ও আয়ের রেকর্ড। বর্ষ বিদায়ের ২৪ ঘন্টা আগে শনিবার সাফারিতে পর্যটক সংখ্যা ও আয়ের অংক চলতি আর্থিক বর্ষের হিসেবে সর্বোচ্চ অংকে পৌছয়। সাফারিতে শনিবার ৩০শে ডিসেম্বর পর্যটক পরিসংখ্যান ছিল ৪৭১৫।একদিনে আয়ের অংক গিয়ে পৌঁছয় প্রায় ৭লক্ষের কাছাকাছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প বেঙ্গল সাফারী পার্কে সর্বোচ্চ পর্যটক ভিড় ভেঙে পড়ে। পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে দূর দূরান্তের পর্যটকদের নিয়ে বড়দিন থেকে ইংরেজি নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ফি বছরই পর্যটক সমাগমে জমজমাট হয়ে ওঠে সাফারী। তবে এবছরের ইংরেজি নববর্ষে সাফারি পার্ক পর্যটকদের জন্য গুচ্ছের উপহারের ঝাঁপি নিয়ে হাজির! শহর শিলিগুড়ি ও পার্শ্ববর্তী জেলার উইকেন্ডে ট্যুর ডেস্টিনেশনের পাশাপাশি দেশ বিদেশ থেকে আগত দূর দূরান্তের পর্যটকদের পছন্দের ট্যুর প্ল্যানের তালিকায় উপরের সারিতে পাকাপাকি স্থান দখলে নিয়েছে বেঙ্গল সাফারী পার্ক। দূরদূরান্ত থেকে দার্জিলিং কিংবা সিকিম বেড়াতে আসা পর্যটকদের কিংবা ভ্রমন পিপাসুদের উত্তর সফরনামার মাঝে শিলিগুড়ির অদূরে শালুগাড়ায় উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ উদ্যান বেঙ্গল সাফারী পার্কে ভ্রমন মাস্ট হয়ে উঠেছে।আগে যেখানে শিলিগুড়ি পেড়িয়ে দার্জিলিং সিকিম মুখী রওনা হলেও
শহরকে কেন্দ্র করে কোনোরকম পর্যটন পরিকল্পনা রাখতেন না বিভূঁইয়ের পর্যটকেরা। তবে বর্তমানে সাফারী ভ্রমন পর্যটকদের কাছে ট্যুর প্লানে অতি আবশ্যক হয়ে উঠেছে।বেড়াতে যাওয়া পর্যটকেরা আসা যাওয়ার পথে সাফারী পার্কের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে রাখেন। আবার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে অনলাইনে টিকিট কেটে ছুটে আসেন সাফারিতে উইকেন্ড কিংবা সপরিবারের ছোটখাটো একদিনের হলিডে ট্রিপে। ক্রমশ দূরদূরান্ত ও দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা সাফারী মুখী হওয়ায় দেশের পর্যটন মানচিত্রে উত্তরবঙ্গের বেঙ্গল সাফারী নিজ স্থান পাকা করেছে। পর্যটকের ব্যাপক চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবারে ইংরেজী নতুন বছরের আগে নিউ ইয়ারের এক সপ্তাহ ব্যাপী উৎসব মুখরিত সময়তে পাঁচটি বন্যপ্রাণ ও বিদেশি প্রজাতর পাখি সাফারিতে পর্যটকদের সম্মুখে আনতে চলেছে সাফারী কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যেই তিনটি ম্যানড্রিল বানর ও দুই জোড়া সাদা হরিণ (হোয়াইট বাককে)পরীক্ষামূলক ভাবে পর্যটকদের সম্মুখে আনা হয়েছে। এই উভয় বন্যপ্রাণীদেরই আনা হয় জামশেদপুর টাটা জুওলজিক্যাল পার্ক থেকে বেঙ্গল সাফারিতে।এরওপর বিদেশি প্রজাতির পাখি হেলমেটেড কুরাশো,মারাবু স্ট্রক,হোয়াইট চাইনিজ গ্যজি সহ বেশ গিভন চলতি বর্ষ বিদায় ও নতুন বছরের আগমনকে কেন্দ্র করে এই ফেস্টিভ সময়তে পর্যটকদের সামনে আনা হচ্ছে। যা ঘিরে পর্যটকদের ব্যাপক উৎসাহ নজরে আসছে। বেঙ্গল সাফারি পার্কে নতুন অতিথিদের আগমন ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। হিমালয়ের ব্ল্যাক বিয়ার এনক্লজারে পর্যটকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়ে যাচ্ছে খুদে ভাল্লুকের। যা সাফারিতে রয়াল বেঙ্গল ব্যঘ্র পরিবারের পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এসব চমকের কারণে বেঙ্গল সাফারি কর্তৃপক্ষের দাবি ৩০ শে ডিসেম্বর শনিবার চলতি বর্ষে সর্বোচ্চ আয়ের অংক দেখেছে সাফারি পার্ক। পর্যটক পরিসংখ্যানেও রেকর্ড ছুঁয়েছে। একদিনে সাফারিতে আয়ের অংক ৬ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা। পর্যটকদের চাহিদা সামালে নিয়মিত ৯ টি সাফারি বাসের পাশাপাশি অতিরিক্ত চারটি বিশেষ সাফারী উপযোগী ছোট গাড়ি ও বাস সাফারিতে নামানো হয়। এ বিষয়ে বেঙ্গল সাফারি ডিরেক্টর কমল সরকার বলেন- চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ যে সাল শেষ হতে চলেছে সেখানে গত ১লা জানুয়ারির সর্বাধিক রেকর্ডকে হার মানিয়েছে শনিবারের পর্যটক সমাগম। যা চলতি বছরে সর্বাধিক রেকর্ড বলেই দাবি তার। আগামী রবি এবং সোমবার বর্ষ বিদায় ও ইংরেজি নতুন বছর বরণকে কেন্দ্র করে পর্যটক সমাগম সমস্ত পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দেবে বলেই আশাবাদী সাফারি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে মাথায় রেখে অতিরিক্ত পুলিশ নজরদারির আবেদনও জানানো হয়েছে।