শিলিগুড়ি। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার বাবা ও পিসেমশাই। শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া ব্লক থেকে উঠে আসছে এমনই ভয়ঙ্কর অভিযোগ। শিলিগুড়ি ফাঁসিদেওয়া ব্লকের গেওড়ামুনি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যুবতীকে (২০) তার বাড়ির ভেতরেই ধর্ষণ করে তার বাবা এবং পিসেমশাই মিলে বলে অভিযোগ। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যুবতীর বাঁ পায়ের কিছু সমস্যা রয়েছে। যার জন্য চলাফেরায় সমস্যা হয় তার। তার অভিযোগ সেদিন রাতে তার বাবা রবীন্দ্র মিনস ও পিসেমশাই হটন সোরেন তার সঙ্গে জোরপূর্বক কুকর্ম ঘটায়। কোনোক্রমে প্রাণ হাতে নিয়ে ছুটে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নেয় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যুবতী। গ্রামে জানাজানি হতেই গ্রামবাসীরা তার বাবা ও পিসেমশাই কে আটক গণধোলাই দেন। পরে বিষয়টি জানানো হয় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশকে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যুবতী অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা ও পিসেমশাই এর বিরুদ্ধে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। রবিবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয় দুই অভিযুক্তকে। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এসিপি গ্রামীন অচিন্ত্য গুপ্ত জানান বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ওই যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে তৎক্ষণাৎ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই যুবতীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে বাড়ির ভেতরে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর একটি বিষয় সামনে এসেছে। সে সমস্তটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরে ওই যুবতীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো তার বাবা। বাবা ও পিসেমশাই এর সঙ্গেই ওই বাড়িতে থাকতো একা যুবতী। তার মা ও পিসি দুজনেই নানা কারণ বশত তাদের সঙ্গে বসবাস করেন না। যুবতী বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। নিয়ম মেনে তার মেডিকেল টেস্ট করানো হবে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।

You cannot copy content of this page