সাফারিতে ফের খুশির হাওয়া!চনমনে মেজাজে সাফারির রয়্যাল পরিবারের নতুন সদস্য পাঁচ রয়্যাল ব্যাঘ্র শাবক।
চতুর্থ বার মাতৃত্বের স্বাদ নিয়ে শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারী পার্কে পাঁচ রয়্যাল বেঙ্গল ব্যাঘ্র শাবকের জন্ম দেয় বাঘিনী শিলা। সাফারির বনভূমিতে রয়েল বেঙ্গল এর সফল প্রজননে জোরালো হচ্ছে ব্যাঘ্র প্রজনন কেন্দ্রের ইস্যু
শিলিগুড়ি। সাফারিতে ফের খুশির হাওয়া!চনমনে মেজাজে সাফারির রয়্যাল পরিবারের নতুন সদস্য পাঁচ রয়্যাল ব্যাঘ্র শাবক।
চতুর্থ বার মাতৃত্বের স্বাদ নিয়ে শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারী পার্কে পাঁচ রয়্যাল বেঙ্গল ব্যাঘ্র শাবকের জন্ম দেয় বাঘিনী শিলা। বেশ কিছুদিন আগেই সাফারির বন ভূমিতে ফের সফল প্রজনন ঘটে রয়্যাল বেঙ্গলের। রয়্যাল পরিবারে সর্বকনিষ্ঠ পাঁচ ব্রাঘ্য শাবকের আগমনে ফের একবার সাফারির বনভূমি যে বিরল শিডিউল এক ব্যাঘ্র প্রজননের ক্ষেত্রে নয়া মাইলস্টোন গড়েছে। বিরল শিডিউল এক প্রজাতির রয়্যাল ঢাকাবেঙ্গল ব্যাঘ্র সফল প্রজননে শিলিগুড়ির অদূরে শালুগাড়ায় উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ উদ্যান সাফারী পার্কে দেশের বন্যপ্রাণ মানচিত্রে ছাপ ফেলেছে। ইতিমধ্যেই সাফারির রয়্যাল বেঙ্গলের ভরা সংসার। সম্প্রতি ত্রিপুরা সিপাহিজলা চিড়িয়াখানা ও আলিপুর চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়। সাফারী সূত্রে খবর
জানা গিয়েছে বেশ কিছুদিন আগে মার্চ মাসে শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারী পার্কে শিলার পাঁচটি রয়্যাল শাবকের জন্ম দেয়। শিলা ও বিভানের ঘনিষ্ঠতায় সাফারিতে এই পাঁচ রয়্যাল শাবকের জন্ম। বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ্য রয়েছে তারা। সাফারীর বুকে চতুর্থ দফায় রয়্যাল বেঙ্গল এই প্রজনন। পূর্বে বাঘিনী শিলা ও পুরুষ বাঘ স্নেহাশিসের মাঝে ঘনিষ্ঠতায় তিনটি ব্যঘ্র শাবকের জন্ম হয়। মুখ্যমন্ত্রী নামকরন করেন। পরবর্তীতে একটি রয়্যাল ব্যাঘ্র শাবকের মৃত্যুও হয়। এরপর বাঘিনী শিলা সঙ্গী বদল করে পুরুষ বাঘ বিভানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় দুই দফায় সাফারির বনভূমিতে রয়্যাল শাবকের সফল প্রজনন করে। বর্তমানে সব মিলিয়ে সাফারিতে রয়্যাল বেঙ্গলের সংখ্যা ১৪। পুরোনো সঙ্গী পুরুষ বাঘ স্নেহাশীষকে অন্য সঙ্গীর খোজে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হলে পুরুষ বাঘ বিভানের সঙ্গে বরাবরই সখ্যতা নজরে আসে শিলার।ফের কয়েক মাস আগে সাফারির বনভূমিতে শিলা ও বিভানের মধ্যে পুনরায় ঘনিষ্ঠতা দেখা যায়। যার ফলস্বরূপ মার্চ মাসে শিলা আরও পাঁচটি বাঘের জন্ম দেয়। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে এই পাঁচ ব্যাঘ্র শাবক এখন বাঘিনী মা সিনার সঙ্গে সাফারির টাইগার এনক্লোজারের ক্রলে রয়েছে। সেখানে বর্তমানে সুস্থ্য রয়েছে তারা। ব্যাঘ্র শাবক গুলির বয়স বয়স একমাসের কাছাকাছি। তাদের ২৪ ঘন্টা সাফারী কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরে রাখছে। বন্যপ্রাণ চিকিৎসকের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন। বাঘিনী মা শিলা ব্যাঘ্র শাবকদের একেবারেই আষ্টেপৃষ্ঠে রাখছে। নিজের থেকে কাছ ছাড়া করছে না। বনকর্মীদেরও ব্যাঘ্র শাবকদের কাছে যেতে দিচ্ছে না বাঘিনী মা। ফলে এখনও পাঁচ ব্যাঘ্র শাবকের মধ্যে পুরুষ বা স্ত্রী এই লিঙ্গ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে মায়ের সঙ্গেই ক্রলে রাখা হয়েছে তাদের।সাফারীতে দর্শকদের সামনে আনা হচ্ছে না শিলাকেও। লিকুইড জাতীয় খাবার প্রদান করা হচ্ছে। শিলার খাবারের পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে এই বিষয়ে সাফারি ডিরেক্টর ই বিজয় জানান উপরমহল থেকে নির্দেশ এলে জানানো হবে।এখন আমরা কিছু নিশ্চিত করতে পারছি না।
এদিকে পরপর রয়্যাল বেঙ্গল প্রজননের সফলতা সাফারির বনভূমির ব্যাঘ্র প্রজননের বিষয়টিকে জোড়ালো করছে। রাজ্যের তরফে বহুবার এই বিষয়ে সেন্ট্রাল জুয়ের কাছে জানানো হলেও ব্যাঘ্র প্রজনন কেন্দ্রের বিষয়টিকে ঝুলে রয়েছে।