স্কুল জীবনের বন্ধুকে সুপারি দিয়েই নিঃশব্দে প্রেমিকাকে খুন। প্রেমিকার স্মার্ট ফোনের গোপন ভিডিওই ছিল খুনের নেপথ্যে আক্রোশের কারন বিএসএফ কর্মী প্রেমিকের। সোমবার থানায় অভিযুক্তের ওপর চড়াও পরিজনেরা। মূল অভিযুক্ত মাস্টার প্ল্যানার বিএসএফ কর্মীকে গ্রেপ্তারির দাবিতে
শিলিগুড়ি। স্কুল বন্ধুকে সুপারি দিয়েই নিঃশব্দে প্রেমিকাকে খুন। প্রেমিকার স্মার্ট ফোনের গোপন ভিডিওই ছিল খুনের নেপথ্যে আক্রোশের কারন বিএসএফ কর্মী প্রেমিকের। সোমবার থানায় অভিযুক্তের ওপর চড়াও পরিজনেরা। মূল অভিযুক্ত মাস্টার প্ল্যানার বিএসএফ কর্মীকে গ্রেপ্তারির দাবিতে
ডিসিপি অফিস ঘেরাও পরিজনেদের। নিহত যুবতীর সঙ্গে স্কুল সময় থেকে বন্ধুত্ব সুপারি কিলার হয়ে ওঠা অভিষেক দর্জির। বান্ধবীর প্রেমিকের কাছে মোটা টাকার সুপারি নিয়ে নিজ হাতে গলা কেটে বান্ধবীকে নৃশংস খুন করে সহপাঠি বন্ধু। ছোট বেলা থেকেই মালবাজার থানার অধীনে বাগড়াকোট এলাকায় বসবাস নিহত যুবতি সহ সুপারি কিলার অভিষেক দর্জি ও রুস্তম ঢালির সহ বিএসএফ কর্মী অরুণ পোর্টেল ও তার স্ত্রী প্রীতিকা পোর্টেল। বাগড়াকোট এলাকার ওয়াশারবাড়ি স্কুলে পড়াশুনো করতেন অভিষেক দর্জি। স্কুল জীবন থেকেই দুজনের মধ্যেই ছিল বন্ধুত্ব। ছোট বেলার বান্ধবি নিয়মিত খোঁজ খবরও রাখতেন।চা বলয় ঘেরা ছোট এলাকা। সেখানেই সম্পর্কের জটিল সমীকরন থেকেই শান্ত মাথায় কার্যত মাস্টার প্ল্যানার কর্মসূত্রে পাঞ্জাবে থাকা প্রেমিক বিএসএফ জওয়ান ও তার স্ত্রী খুনের নিখুঁত ছক কষে। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে যাবতিয় পরিকল্পনাকে আঞ্জাম দিতে সুপারি কিলারের সঙ্গে টাকার লেনদেন স্ত্রীর সামনে রেখেই করে বিএসএফ। জানা গিয়েছে বহু বছর ধরেই বিএসএফ কর্মী যুবতীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে তোলে। নানাভাবে তাকে জালে ভাসিয়ে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়। যুবতীকে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে তার সঙ্গে বিবাহের কথাও বলেছিল ঘনিষ্ঠ সময়তে বিএসএফ কর্মী বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে যুবতী ও পরিবার মতানৈক্যের মাঝে পুরো পাশা বদলে দেয় বিএসএফ কর্মী। যুবতির ফোনে ছিল ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও সে ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয়ে দেখিয়ে যুবতীর হুঁশিয়ারি দেয় বিএসএফ কর্মীকে। সে ভিডিও বিএসএফ কর্মীর স্ত্রীর হাতেও আসে। এরপরই বিএসএফ কর্মী ও তার স্ত্রী দুজনে মিলে সুপারি কিলার দিয়ে খুনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজে নেমে পড়ে। প্রত্যেকেই ওই এলাকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠার কারণে একে অপরের সুপরিচিত।
ফলে বিএসএফ কর্মী ও তার স্ত্রীর যুবতীর বন্ধুকে সুপারি কিলার হিসেবে কাজে লাগাতে সমস্যা হয়নি। এলাকার বাগড়াকোর্টে চা বলায় বসেই যুবতী বন্ধু অভিষেককে মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে খুনির সুপারি দেয় অভিযুক্ত বিএসএফ কর্মীর স্ত্রী প্রিতিকা। আবার স্কুল জীবন থেকে একসঙ্গে পড়াশোনা ভালো বন্ধু হওয়ার সুবাদে অভিষেকের ভোররাতে যুবতীর ঘরে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে কোনো রকম অসুবিধে হয়নি। যুবতী ও অভিষেকের সহপাঠি অপর বন্ধু সুনীল ওরাও জানায় যুবতীর সঙ্গে সহজেই ফোনে যোগাযোগ করে তার ঠিকানায় এসে পৌঁছায় অভিষেক অপর অভিযুক্ত রুস্তমকে নিয়ে। নিয়মিতভাবেই আমাদের পুষ্পা সঙ্গে আমাদের সকল বন্ধুদের যোগাযোগ ছিল। অভিষেক চেন্নাই তে রেস্তোরাঁর কাজ করে চপিং এর কাজে তার দক্ষ হাত আমরা সকলেই বন্ধুরা জানি। কিন্তু আমাদের বন্ধু হয়েই সে এভাবে আমাদেরই অপর সহপাঠী বান্ধবীকে খুন করবে তা ভাবতেও পারছি না। এদিন ভক্তিনগর থানায় অভিযুক্ত কে আদালতে পেশের সময়তে চড়াও হয় পরিজনেরা।মার মুখী হয়ে ওঠে মৃতা যুবতীর পরিবার পরিচালক এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ এর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির পরিস্থিতিও তৈরি হয়। অভিযুক্ত বিএসএফ কর্মীর দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবিতে এদিন ডিসিপি অফিস বিক্ষোভ দেখায় পরিজনেরা। তাদের দাবি মূল অভিযুক্ত বিয়েতে কর্মীকে গ্রেফতার করে তাকে যথোপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনায় যারা যারা জড়িত প্রত্যেকের ফাঁসির দাবি জানায় তারা।