🔺🔺 আল-কায়দা জঙ্গি যোগের তদন্তে উত্তরবঙ্গে হানা এনআইএর। জঙ্গি যোগ সন্দেহে শিলিগুড়ির পাশাপাশি কোচবিহার জেলার হলদিবাড়িতে বিভক্ত হয়ে এনআই-এর তদন্তকারীরা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে হানা দেয়। এনআইয়ের হেফাজতে থাকা আহমেদাবাদের আলকায়দা জঙ্গি বাংলাদেশের নাগরিক যুবক মহম্মদ সজীব মিয়ানে যোগসূত্র ধরেই জঙ্গি যোগ ও আলকায়দায় তহবিল লেনদেনে যোগে সন্দেহভাজন যুবককে টানা এগারো ঘন্টা জেরা করে এনআইএ তদন্তকারী আধিকারিকদের দল।
শিলিগুড়ি। আল-কায়দা জঙ্গি যোগের তদন্তে উত্তরবঙ্গে হানা এনআইএর। জঙ্গি যোগ সন্দেহে শিলিগুড়ির পাশাপাশি কোচবিহার জেলার হলদিবাড়িতে বিভক্ত হয়ে এনআই-এর তদন্তকারীরা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে হানা দেয়। এনআইয়ের হেফাজতে থাকা আহমেদাবাদের আলকায়দা জঙ্গি বাংলাদেশের নাগরিক যুবক মহম্মদ সজীব মিয়ানে যোগসূত্র ধরেই জঙ্গি যোগ ও আলকায়দায় তহবিল লেনদেনে যোগে সন্দেহভাজন যুবককে টানা এগারো ঘন্টা জেরা করে এনআইএ তদন্তকারী আধিকারিকদের দল। ভুয়ো পরিচয় দিয়ে হলদিবাড়ি যুবক আস্তানা গেড়ে রয়েছে শিলিগুড়ির নিকট ফুলবাড়ী ক্যানাল রোড কাঞ্চনবাড়ি এলাকায়। বিগত কয়েক বছর যাবৎ রয়েছে যুবকের আস্তানা। ভিন রাজ্য গুজরাটের আহমেদাবাদে একটি কাপড়ের কারখানার আড়ালে গোপন ডেরা হয়ে ওঠে আলকায়দার।জাল আধার কার্ড, ভুয়ো নথি থেকে শুরু করে জঙ্গি গোষ্ঠি আলকায়দার হয়ে আর্থিক তহবিল সংগ্রহ ও মগজ ধোলাই করে দেশ বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠী সক্রিয় সদস্য তৈরি করে নাশকতার ছক তৈরীর পাঠাশালা হয়ে ওঠে। গোপন ডেরার বেআইনিভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সীমান্ত পারপার করে প্রবেশ করে দেশ বিরোধি কার্যকলাপ ও সক্রিয়ভাবে জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে কাজ করছে এমন চারজনের নাম হাতে এসেছে এন্টি টেরোরিজম স্কোয়ার্ড গুজরাটের হাতে। সে সূত্রে ধরেই
গুজরাটের আহমেদাদের ওই কাপড়ের কলের আড়ালে আল-কায়েদা জঙ্গি সন্দেহে শিলিগুড়ি ফুলবাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থ্যা এনআইএ। সোমবার দুটি দলে ভাগ হয়ে সন্দেহজনক যুবক সবুজ রায়ের শিলিগুড়ি ও হলদিবাড়ির দুটি ঠিকানায় হানা দেয় এনআইএ। গত ২০২৩সালের ২১শে মে বেআইনিভাবে সীমান্ত পারাপার করে বাংলাদেশের নাগরিকেরা ভারতে অনুপ্রবেশ এবং পাক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের সূত্র ধরে ফুলবাড়িতে ভাড়ার বাড়িতে হানা দেয়। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে ২০১৯ সালের মার্চ এপ্রিল মাস নাগাদ ভারত বাংলাদেশ কোচবিহার সীমান্ত হয়ে চার বাংলাদেশের নাগরিক যুবক চাল পরিচয় পত্র নিয়ে নিতাই বর্মন ও মিলন নামে দুই সীমান্ত পারাপারের চরের ভারতে অনুপ্রবেশ করে। সেখান থেকে গুজরাটে পৌঁছতে কাপড়ের কলের কাজের নামে আল-কায়েদার ছত্রছায়ায় তাদের সক্রিয় সদস্য হয়ে সংগঠন বিস্তার করতে যুবকদের মগজ ধোলাই ও আর্থিক তহবিল যোগানের কাজে নামে চার যুবক। এই চার যুবক মহম্মদ সজিব মিয়ান, মুন্না খালিদ আনসারি এলাইস ইভানা ঝাভেল, মুন্না খান,আজারুল ইসলাম কাফির উদ্দিন আনসারী এলাইস জাহাঙ্গীর এলাইস আকাশ খান এবং আব্দুল লতিফ এলাইস মমিনুল আনসারী। একাধিক নাম ব্যবহার করে তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন ভোর পাঁচটা নাগাদ শিলিগুড়িতে এনআই-এর তদন্তকারী আধিকারিকেরা বাড়ির তিনতলায় ওই যুবকের সন্ধানে পৌঁছয়। তিনতলায় ভাড়ার ঘরে একাই থাকতো যুবক সোজা এনআই-এর তিন আধিকারীক। ঘরে দীর্ঘক্ষণ যুবককে নজরবন্দি করে নথিপত্র তল্লাশির পর গাড়িতে চাপিয়ে ১০টা নাগাদ বেড়িয়ে পড়ে তদন্ত কারী দলটি। নিউ জলপাইগুড়ি থানায় বসিয়ে রেখে বিভিন্ন নথিপত্র ও জেরা চলে টানা প্রায় দুপুর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত। এনআইএর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের এসটিএফ, আইবি দফায় দফায় জেরা করে। শিলিগুড়ি থানার ওসি রুমে বসে জেরা চলে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের টিমও জেরা করে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে ওই যুবকের একাধিক ক্রেডিট কার্ড ব্যাংকের পাস বই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার সঙ্গে ভিসা এবং পাসপোর্ট ও মিলেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ এর ভিতর নথি হাতে এসেছে। ১৪১এ ওই যুবকের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করে তাকে ছেড়ে দেয় এনআইএ দল ফের ফুলবাড়ির ওই ভাড়ার বাড়িতে। এদিকে জঙ্গি যোগের সন্দেহ সামনে আসতেই ওই আল-কায়েদা জঙ্গি সংগঠনের ডেরা হয়ে ওঠা গুজরাটের ওই কারখানার সঙ্গে যোগ রয়েছে তার স্বীকার করে যুবক। পাক জঙ্গি আঁতাত সন্দেহে যুবককে দীর্ঘক্ষণ জেরার মাঝেই তার পরিচয় আত্মগোপন করে নথি দেখিয়ে বাড়ি ভাড়া এবং এলাকায় বসবাসের বিষয় উঠে আসে।
বাড়ির মালিকের পরিবারের তরফে কলেজ ছাত্রী জানান পুটিমারি বাসিন্দা সবুজ রায় নামে পরিচয় পত্র পেশ করেছিল ঘর ভাড়া নেওয়া ক্ষেত্রে যুবক। এক আত্মীয়ের মারফত যে ভাড়া এসেছিল তাদের বাড়িতে এখন বুঝতে পারছি আসল পরিচয় আত্মগোপন করে জাল পরিচয়পত্ৰ দিয়েছে সে। এমনকি সে এতদিন পর্যন্ত বাড়ির মালিক এবং এলাকায় বসবাসকারীদের ফুলবাড়ি ক্যানেল রোড থেকে কয়েক মিটারের মধ্যে একটি প্রসাধনী সামগ্রীর দোকান চালিয়ে পেশা নির্বাহ করে। কিন্তু জেরার পর নিজ মুখে যুবক এদিন জানায় হলদিবাড়িতে তার বাড়ি। এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর ব্যবসা করে। কি আমদানি রপ্তানি করেন সে নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চায়নি সে। যুবক সবুজের বক্তব্য আলকায়দা হলে আমাকে ছাড়তো না। আমি আসামি নই। ৬-৭ বছর আগে এক জায়গায় কাজ করতাম সেখানে একটা ঝামেলা হয়। যদিও বাড়িরমালিক পরিবার ঘটনার পর স্তম্ভিত তাদের দাবি যুবক ভাড়া নেওয়ার সময় তার পরিজন পরিচয় দিয়ে বেশ কয়েকজন জানিয়েছিল ১২-১৩ বছর ধরে ফুলবাড়ি এলাকাতে বসবাস। এখন বুঝতে পারছি সবটাই তাহলে মিথ্যে।এদিকে এই মামলায় দেশবিরোধী নাশকতার একাধিক ফাইল আকারে নথি,কোডে লেখা কিছু বাক্য, বার্তা আদান প্ৰদানে ব্যবহার হয়েছে উর্দুর আদলে গোপন কোডে লেখা কিছু শব্দ যা ভারতে বিনাশ এ ধরনের ইঙ্গিত দেয়। মানচিত্র,ডায়েরি ও ইঙ্গিতবাহী মহাত্মা গান্ধীর একটি ছবি এসব নথি হাতে এসেছে এনআইএ-র হাতে।