আঙ্গিনায় পলাশের ছোঁয়ায় বসন্ত উৎসবে মাতলো শিলিগুড়ির সুকান্ত নগর! দোলের আগেই রঙের স্পর্শে আগাম বসন্তকে বরন। নাইবা হল তা অযোধ্যা পাহাড়ের গহীন পলাশ, উত্তরের কৃষ্ণচূড়ার সাম্রাজ্যে বসন্তের কটা দিনে বেজায় দাপট চলে পলাশের। যদিও এ সময়টাতে উত্তরবঙ্গের মাটিতে একচেটিয়া রাজত্ব কৃষ্ণচূড়ার, দর্জিলিং তার পাহাড়ি ভূমি যদিও বসন্তদিনের রনড্রেনডনের নামে লিখে দিয়েছে। তবে বসন্ত উদযাপনে লালামাটির দেশের রানী পালশকেই অপরিহার্যের তালিকায় রেখে বাজার দর চড়ছে। কারণ শান্তিনিকেতনের আদলে বসন্ত উৎসবই হোক কিংবা অযোধ্যার ঐতিহাসিক পলাশ পার্বণ এর অনুকরণ সবতেই পলাশ ফুল অপরিহার্য হয়ে উঠছে বসন্ত প্রিয় বাঙালির কাছে। কেজি কেজি দরে গাঁদা পলাশ কিনছেন বসন্ত উৎসবের উদ্যোক্তারা।
আর আঙ্গিনা জুড়েই রাশিরাশি পলাশকে সাক্ষী রেখে অযোধ্যা পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী পলাশ পার্বনের নামেই বসন্ত উদযাপন সেরে ফেললেন শিলিগুড়ি সুকান্তনগর সাহা পরিবার। নাইবা রইলো লালমাটির গহীন অরন্যের পলাশের তেজ, বাড়ির উঠোনে পার্বনের স্বাদ তুলতে ক্ষতি কি!
রবিবার কিছুটা আগেভাগেই বসন্ত বরনে মেতে ওঠেন তারা। সম্পূর্ণ ঘরোয়া পারিবারিক আমেজের ছোঁয়া রেখেই মহিলাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় পার্বন। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা পারমি সাহা বলেন টানা দু’বছর ধরে অনুষ্ঠান করছেন তিনি। দীর্ঘ কোভিডের পর বিধিনিষেধের বেড়া ডিঙিয়ে প্রিয়জন পরিচিতদের নিয়ে একসঙ্গে মেতে ওঠা। এদিন নাচ গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বসন্ত উৎসব কে উদযাপন করেন তারা। একে অপরকে আবির রঙে রাঙিয়ে খড়া জড়া কাটিয়ে জীবন যেন বসন্ত রঙের মতোই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে সে শুভেচ্ছা বার্তাই ছড়িয়ে দেন।
শিলিগুড়ি শহরে বহু সংগঠন বেশ কিছু বছর ধরেই বসন্ত উৎসব উদযাপন করে আসছে। তবে বর্তমানে এ বঙ্গের মানুষের মাঝেও পারিবারিক আঙিনায় পরিবার পরিচিতদের নিয়ে বসন্ত উৎসবের ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে। থিম পার্টির ধাঁচে বাঙালি সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রেখেই ছোট পরিসরে চলছে বসন্ত উদযাপন ।