নতুন রাজনৈতিক সমীকরন গড়তে চায় পাহাড়। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পাহাড়ের পথে টানা প্রচারে প্রার্থী গোপাল লামা। গোর্খাল্যান্ড নির্বাচনী ইস্যু হতে পারে না। তা গোর্খাদের আবেগ নির্বাচনে চূড়ান্ত রাজনৈতিক পারদ চড়া মুহূর্তে ঘোষণা তৃণমূল সমর্থিত বিজেপিএমের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অনিত থাপার। বিজেপি হটাও পাহাড় বাঁচাও তৃনমূল প্রার্থী গোপাল লামাকে ঘিরে সুকনা থেকে সমর্থকদের ঢলে পাহাড়ের চড়াই ধরে কলরব পাহাড়বাসী জনতার।২০শে এপ্রিল ব্যালট ভোটের মধ্য দিয়েই নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে দার্জিলিঙ লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী চূড়ান্ত প্রস্তুতি প্রক্রিয়া করলো কমিশন।
শিলিগুড়ি। নতুন রাজনৈতিক সমীকরন গড়তে চায় পাহাড়। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পাহাড়ের পথে টানা প্রচারে প্রার্থী গোপাল লামা। গোর্খাল্যান্ড নির্বাচনী ইস্যু হতে পারে না। তা গোর্খাদের আবেগ নির্বাচনে চূড়ান্ত রাজনৈতিক পারদ চড়া মুহূর্তে ঘোষণা তৃণমূল সমর্থিত বিজেপিএমের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অনিত থাপার। বিজেপি হটাও পাহাড় বাঁচাও তৃনমূল প্রার্থী গোপাল লামাকে ঘিরে শুকনা থেকে সমর্থকদের ঢলে পাহাড়ের চড়াইয়ে কলরব পাহাড়বাসী জনতার।২০শে এপ্রিল ব্যালট ভোটের মধ্য দিয়েই নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে দার্জিলিঙ লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী চূড়ান্ত প্রস্তুতি প্রক্রিয়া করলো কমিশন।ইতিমধ্যে দার্জিলিং পাহাড় সমতলে রাজনৈতিক ভারত চড়তে শুরু করেছে। বুধবার নির্বাচন কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয় বাইশে এপ্রিল ভোটের ডিউটি রত কর্মী ব্যালটে ভোটদানকারীদের দার্জিলিং সেন্ট রবার্ট হাই স্কুলে ২০এপ্রিল থেকে ২২এপ্রিল পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে। এদিন তৃনমূল প্রার্থী গোপাল লামাকে নিয়ে সমর্থকদের মিছিল পাহাড়ের চড়াইয়ে বাঁক নেয়।মিছিল যত সমতল থেকে উপরের দিকে উঠতে থাকে সমর্থকদের ভিড় ক্রমশ বাড়তে থাকে। সাংসদ প্রার্থী রাজু বিস্টকে বিতাড়িত করে বিজেপি হঠাও পাহাড় বাঁচাও দার্জিলিং লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামার পাহাড়ে প্রচারের দিনে বিজেপিকে বিতাড়িত করার কলরবে মুখরিত হয়ে উঠলো পাহাড়ের মানুষ। আর বহিরাগত পরিযায়ী সাংসদ আর ভাজপার প্রতারনা নয় তা এক প্রকার স্থির করে ফেলেছে পাহাড় বাসী জনতা।
এদিন নির্বাচনের প্রায় আট দিন আগে পাহাড়ের রাজনৈতিক নতুন সমীকরণের প্রতিচ্ছবি ষ্পষ্ট হয়ে উঠলো। এদিন সুকনায় একটি নির্বাচনী সভা করেন অনিত থাপা। সেখানে তাঁর ষ্পষ্ট মন্তব্য- গোর্খাল্যান্ড কোনো সস্তার রাজনৈতিক খোরাক নয়, বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন আমরা দেখেছি এতদিন গোর্খাল্যান্ড -এর নামে পাহাড়বাসীর আবেগকে উস্কানি দিয়ে নির্বাচনী মিথ্যে সংকল্পে ললিপপ ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাহাড়বাসী ১৫ বছর প্রতারণা থেকে পাল্টা জবাব দিতে রুখে দাঁড়িয়েছে এবারে। বিজেপিকে পাহাড় থেকে ধুঁয়ে মুছে সাফ করে দেবে। গোর্খাল্যান্ড নির্বাচনের ইস্যু হতে পারেনা। তিনি তাৎপর্যপূর্ন ভাবে বলেন গোর্খাল্যান্ডের ইস্যুকে দিল্লির মসনদে তুলে ধরতে ক্ষমতা দরকার। একজন পাহাড়ের গোর্খা ভূমিপুত্রের হাতে ক্ষমতা থাকলে সে দিল্লির দরবারে পাহাড় পাশের হয়ে নির্বাচনে জয়লাভের পর গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে নিয়ে কন্ঠ জোড়ালো করে চাপ দিতে পারবে। জনসভা থেকে গোপাল লামাকে নির্বাচনে জয় যুক্ত করে পাহাড়ে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ গড়ে তুলুন বলে জানায় জিটিএ সিইও তথা তৃনমূল সমর্থিত বিজিপিএম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অনিত থাপা। শুকনায় সভা বৈঠক সমাপন করে কর্মী সমর্থকদের ঢলে ভেসে পাহাড়ের উদ্দেশ্যে প্রচারে যান জোড়াফুল চিহ্নের প্রার্থী গোপাল লামা। প্রচারে কার্শিয়াং পৌঁছান। সেখানে পাহাড়ের দূর্গম গ্রাম থেকে ছুটে আসে তৃনমূল প্রার্থীর সমর্থনে ভুটিয়া ,শেরপা, গুরুং,নেওয়ার, ভুজেল,মগর, খাওয়াস জনজাতির অগণিত সাধারণ মানুষ। তার মিছিল যত পাহাড়ের চড়াই ধরে উঠতে শুরু করে তত তার সমর্থক সংখ্যা বাড়তে লাগে। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রার্থী গোপাল লামাকে নিয়ে শিলিগুড়িতে বিশাল পদযাত্রার পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকটা দিন প্রার্থী গোপাল লামাকে পাহাড়ে টানা প্রচারের নির্দেশ দেন। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিএম সভাপতি অনিত থাপার সঙ্গেও কথা বলেন। এরপরই সুপ্রিমো নির্দেশে সকাল হতেই সুকনায় সভা করে পাহাড়ের টানা প্রচার সফল শুরু করেন গোপাল লামা। হুড খোলা জিপে ও পাহাড় থেকে ১৩টি গাড়িতে সমর্থকদের নিয়ে কার্শিয়াংয়ের পথে রওয়ানা হন প্রার্থী।রংটং থেকে বেশ কিছু ছোট পাহাড়ি গ্রাম ও গয়াবাড়ি হয়ে মহানদী এলাকায় প্রচার করেন। বিকেল পাঁচটায় কার্শিয়াং পৌছান প্রার্থী। সেখানে বিকেলে কার্সিয়াং রেল স্টেশন এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে জনসভার আয়োজন করে অনিত থাপা। সেখানে তার সমর্থনে বিজেপি হঠাও স্লোগান তোলেন পাহাড়বাসী। তাদের চোখে মুখে ছিল ভূমিপুত্র দক্ষ প্রশাসন প্রার্থী গোপাল লামাকে ঘিরে উচ্ছ্বাস। সাংসদ প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতারক রব তোলে পাহাড়ি জনতা। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের মোট ভোটার ১৭লক্ষ৬৫হাজার৭৪৪। এরমধ্যে দার্জিলিং নির্বাচনী কেন্দ্রের অধীনে সাত বিধান সভা কেন্দ্র। কার্শিয়াঙ বিধানসভা ক্ষেত্রের ভোটার সংখ্যা ২লক্ষ ৩৯হাজার ২৩১। যার ৭০ শতাংশ ভোট জোড়া ফুল প্রতিকে ভোট বাক্সে পড়বে বলেই দাবি করছে তৃনমূল ও বিজিপিএম। শুকনা থেকে কাশিয়াঙ পর্য্ন্ত জনতার বহিরাগত নয়, নিজ ভূমিপুত্র প্রার্থীকে কেন্দ্র করে প্রবল উচ্ছ্বাস ই উন্মাদনার যে ছবি ধরা পড়ে তাতে অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে ওঠে। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ১৯৯৯টি বুথে হবে ভোট গ্রহন। এরমধ্যে অতিরিক্ত অক্সিলারি বুথ থাকছে সাতটি পোলিং স্টেশনে। এদিন মানুষের ব্যাপক উন্মাদনায় ভেসে প্রার্থী গোপাল লামা জানান- পাহাড়বাশী মানুষের কাছ থেকে প্রচুর ভালোবাসা মিলছে। আমি করজোড়ে ভোট প্রার্থনার আগেই তারা আমার কাছে এসে নিজেদের হাতের মুঠোয় আমার হাত নিতে শক্ত করে জানাচ্ছে আপনার হাতুড়ি পাহাড়ি নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ গড়ে উঠবে। উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের নিরিখে পাহাড়বাসি মানুষ নিজেরা সবল হয়ে নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে নেবে দিল্লির দরবার থেকে। তিনি বলেন জনগণ কলরব তুলে বলছে বহিরাগত সাংসদ আমরা আর চাই না। বিজেপির মিথ্যে প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে এবার পাহাড়বাসী ভোট বাক্সে জবাব দেবে। তিনি বলেন পাহাড়ের ৬৫-৭০ শতাংশ মানুষের ভোট আমি পাবো। মানুষ পাহাড় থেকে বিজেপি বিতাড়িত করার ডাক দিয়েছে।দার্জিলিং অন্য ছয় বিধানসভা ক্ষেত্র দার্জিলিং-এ মোট ভোটারের সংখ্যা ২লক্ষ৪৬হাজার ৮৪৮,কালিম্পঙ ২লক্ষ১৮হাজার৫০৮,শিলিগুড়ি২লক্ষ৩৮হাজার৭৭৫,মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি-৩লক্ষ৬২হাজার৯২,ফাঁসিদেওয়া ২লক্ষ৫২হাজার৫৭২,চোপড়া ২লক্ষ৬৩হাজার ৫১৮।