🔺🔺দুর্মূল্য কোবরা সাপের বিষ সহ কোটি টাকার বন্যপ্রাণী অঙ্গ সমেত গ্রেপ্তার ভিন রাজ্যের দুই আন্তঃ রাষ্ট্র পাচারকারী। বিহার উত্তরপ্রদেশের সংযুক্ত পাচার চক্রের টার্গেটে ছিল চিন। শিলিগুড়ি কে করিডর করে নেপাল হয়ে চীনের পাচারের উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক এই পাচার চক্রের।
শিলিগুড়ি। দুর্মূল্য কোবরা সাপের বিষ সহ কোটি টাকার বন্যপ্রাণী অঙ্গ সমেত গ্রেপ্তার ভিন রাজ্যের দুই আন্তঃ রাষ্ট্র পাচারকারী। বিহার উত্তরপ্রদেশের সংযুক্ত পাচার চক্রের টার্গেটে ছিল চিন। সীমান্ত পেড়িয়ে চিনে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে বড় সাফল্য দার্জিলিং বন্যপ্রাণ ডিভিশনের। কাঁচের জারে প্রায় ৩৫০ মিলিলিটার দূর্লভ কোবরা সাপের বিষ উদ্ধার করেছে বন দপ্তর। বিহার ও উত্তরপ্রদেশ নিবাসী দুই ধৃতের হেফাজত থেকে বন দপ্তরের হাতে এসেছে তিন টুকরো হরিণের শিং, চার খন্ড করা হরিণের চামড়া। ধৃতরা উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সিকান্দার কুমার (৩৬), কার্টিহার বিহার নিবাসী সঞ্জু বৈধ( ৪৫)। গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে এই গোটা অপারেশনটি চালায় সুকনার র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স স্কোয়ার্ড এক। জানা গিয়েছে গোপন সূত্রে মেলা খবরের ভিত্তিতে র্যাপিড রেসপন্স স্কোয়ার্ড ১এর রেঞ্জ অফিসার দীপক রাসাইলির নেতৃত্বে শিলিগুড়ি তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস এলাকায় অভিযান চালায়। সন্দেহজনক দুই ব্যক্তিকে আটক করে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে আসে বড় আকৃতির বিশেষ কাঁচের জারে মজুদ ৩৫০মিলিলিটার দুর্লভ কোবরা সাপের বিষ।
তার সঙ্গে ছোট একাধিক ইনজেকশনের ভাওয়াল আকৃতির কাচের শিশিতে মজুদ কোবরার বিষ। যার আনুমানিক বাজার মূল্য কোটি টাকা ছাড়িয়ে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক এই পাচার চক্রের কাছ থেকে মিলেছে তিনটি চার খন্ড করা হরিণের চামড়া, হরিণের শিংয়ের তিনটি টুকরো। এই শিংয়ের এক একটির ওজন ৩০০গ্রাম,২১০গ্রাম,১৯০গ্রাম। শিলিগুড়িকে করিডর করে নেপাল হয়ে সীমান্ত পেড়িয়ে চিনে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল এই চক্রের বলেই বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স স্কোয়ার্ড ১এর রেঞ্জ অফিসার দীপক রসাইলি জানান-গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে আমাদের স্কোয়ার্ড টিম জংশন এলাকায় অভিযান চালায়। হাতেনাতে সাপের বিষ ও হরিনের চামড়া শিং সহ গ্রেপ্তার করা হয় ভিন রাজ্য নিবাসী দুই ব্যক্তিকে। বন্যপ্রাণ আইনে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কোথা থেকে এগুলি আনা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক পাচার কারবারের কিংকিনের নির্দেশে এই চক্র চলছে কিনা এই সমস্তটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।