Site icon উত্তরবঙ্গ Journal

ভ্যালেন্টাইন উইকে ভালোবাসার উদযাপনে বিভোর শিলিগুড়িতে বাণিজ্যিক আয়ের গ্রাফ ছুঁয়েছে তিন কোটি টাকায়

উত্তরে শীত খানিক গুড বাই মুডে, তবে শীত শেষের ফেব্রুয়ারি ভালবাসার জ্বরে কাবু শিলিগুড়ি। সপ্তাহব্যাপী ভালোবাসার উদযাপনে বিভোর শিলিগুড়িতে বাণিজ্যিক গ্রাফ ছুঁয়েছে তিন কোটি টাকায়।

শিলিগুড়ি। উত্তরে শীত খানিক গুড বাই মুডে, তবে শীত শেষের ফেব্রুয়ারিতে ভালবাসার জ্বরে কাবু শিলিগুড়ি। সপ্তাহব্যাপী ভালোবাসার উদযাপনে বিভোর শিলিগুড়িতে বাণিজ্যিক গ্রাফ ছুঁয়েছে তিন কোটি টাকায়। বাণিজ্যিক শহর শিলিগুড়ির ব্যবসায়িক মহলের দাবি ১৪ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্রমশ ক্রেতার চাহিদা রেখার সঙ্গে উর্ধমুখী অবস্থানে দেখা যায় শহরের বানিজ্যিক আয়ের অংকে। শেয়ার মার্কেটে হুড়মুড়িয়ে ধসে লগ্নিকারীরা বড় ধাক্কার মুখে।তবে বিপরীত অবস্থানে লাভ বার্ডসদের গুচ্ছের গোলাপ থেকে উপহারের দেদার চাহিদায় শিলিগুড়ি বাজার চড়েছে তরতরিয়ে। চড়া দামে বিকোচ্ছে হরেক রঙা গোলাপ থেকে টেডি,কার্ড,চকলেট নামি দামি উপহার। আর শুধু কি তাই বর্তমানে নতুন প্রজন্মের পাশাপাশি ভালোবাসা দিবসের বিশেষ দিনে প্রাপ্ত বয়স্ক থেকে মধ্যবয়স্ক দম্পতি এমনকি প্রবীণ প্রবীনারাও খানিক ভালোবাসার ইজহার করে প্রেম নিবেদনে প্রিয়জনের ঠোঁটের কোণে হাসি আনতে কার্পন্য করেন না। তাই সুদূর ব্যাঙ্গালোর থেকে উড়ানে এসে পৌছছে শিলিগুড়ির বাজারে ডাচ গোলাপ। আর এই বিশেষ আকর্ষণীয় এক একটি গোলাপের দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন বাঙ্গালোর থেকে ফ্লাইটে আনাতে হয় এই গোলাপ।শিলিগুড়ি হাসপাতাল মোড়ের ফুল ব্যবসায়ী অরূপ বিশ্বাস জানান ডাচ গোলাপের বিশেষত্ব হলো কোনটি ৩০সেমি কোনটি ৬০সেমি। সে অনুযায়ী দাম। ৩০সেমি ডাচের অন্য সময়তে ২৮০ টাকা ডজন হলেও এই দিনে তা ৩২০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত পৌছে যায়। ৬০সেমি ডজন ৫০০টাকা দরে বিকোচ্ছে। ৩০-৫০টাকা পিস গোলাপ রয়েছে তবে তা স্থানীয় বাগানের।শুধুমাত্র শিলিগুড়ি শহরের গোলাপ,কার্ড চকলেট, কেক উপহারের দোকান নয় আকর্ষণীয় ছাড় দিয়ে ক্রেতাদের ভিড় টানছে সোনা,হিরের অলঙ্কারের দোকানগুলিও। হালকা ডিজাইনের সোনার গহনার উপর ভালোবাসার বিশেষ দিনে বিশেষ ছাড়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের নজর কাড়ছে। তাই এই বিশেষ দিনে হালকা গহনা প্রিয়জনকে উপহার হিসেবে তুলে দিচ্ছে অনেকেই। শিলিগুড়ি শহরে এমিনিতেই হরেক সংস্কৃতির সমন্বয়, তাই পাশ্চাত্যের নেশায় বুদ হয়ে ওঠা যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে সংস্কৃতি চর্চাও। তাই শিলিগুড়ির ব্যবসায়িক মহলের দাবি যে কোন সামাজিক কিংবা হাল ফ্যাশনের অনুষ্ঠান বা ডে-কে ঘিরে শহরে বাজারে লক্ষী লাভ ঘটে। কেনা কাটায় মেতে ওঠে মানুষ। বেশ কয়েকটা বছর আগেও প্রেমের এই বিশেষ দিনের উদযাপন ছিল আড়াল আবডালে। তবে গত কয়েক বছরে শিলিগুড়ি শহরের ছবিটা বদলেছে। সাত দিন ব্যাপী শিলিগুড়ির বাজার গুলিতে কেনাকাটা থেকে খোলামেলা উদযাপনের ছবি ধরা পড়ে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন শুধুমাত্র উপহার নয় এই সাত দিনব্যাপী হোটেল, রেস্তোরাঁ, মাল্টিপ্লেক্স, বার পাব থেকে শপিংমল গুলিতেও ভিড় উপচে পড়ে।ফলে সবমিলিয়ে সাতদিনে কয়েক কোটি টাকার ব্যবসা হয় বলেই জানাচ্ছেন শহরের শিল্পপতি ও ব্যবসায়িক মহল। ব্যবসায়ীদের দাবি প্রায় দুই থেকে তিন কোটি টাকার উপরে ব্যবসা হয়েছে এ সাতদিনে। তার ওপর এবারে ছুটির দিন হওয়ায় আয় আরও খানিকটা বেড়েছে। উঠতি বয়সের কিশোর কিশোরী যুবক যুবতী প্রেমিক যুগলের পাশাপাশি নব দম্পতি থেকে মধ্যবয়স্ক, প্রাপ্তবয়স্ক দম্পত্তিরাও এখন শপিংমলে দিনটিকে নিজেদের মতো করে উদযাপন করতে দেখা যায়। আবার অনেকে ভিন্ন স্বাদে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেন প্রিয়জনেদের নিয়ে।
শিলিগুড়ি ব্যবসায়ী তথা নর্থ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিস চেয়ারম্যান সঞ্জয় টিব্রুওয়াল জানান-ভালোবাসা এখন দেশে দরকার আছে। তার দাবি শুধু ফুল চকলেট টেডিতে সীমাবদ্ধ নয়, রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়া থেকে শপিংমলে কেনাকাটা মাল্টিপ্লেক্সে বিনোদন সবমিলিয়ে এই বিশেষ দিনে উষ্ণতার জোয়ার বানিজ্যের উপর পড়ে। এই সাতদিনে শহরে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বানিজ্য হয় বলে দাবি শিল্পপতির।

Exit mobile version